Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গ্রাহাম ডেভিড হিউজ (ইংরেজিতে: Graham David Hughes, জন্ম ১৯৭৯) একজন ব্রিটিশ অভিযাত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং গিনেস বিশ্ব রেকর্ডধারী। হিউজ সফলভাবে বিশ্বের ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ভ্রমণ করেছেন কোন ধরনের উড়োজাহাজে চড়া ছাড়াই বা আকাশপথে না গিয়েই।[2] তিনি চার বছর ধরে এই অভিযান চালিয়েছিলেন এবং ২০১২ সালের নভেম্বরে তার এই অভিযান শেষ হয়।[3] এই অভিযান চলাকালে হিউজ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক অ্যাডভেঞ্চার চ্যানেলে গ্রাহাম’স ওয়ার্ল্ড নামের একটি সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতেন। এই অনুষ্ঠানে হিউজ পূর্বের সব বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে আকাশপথে না গিয়েও পৃথিবীর সবগুলো দেশ ভ্রমণ অভিযানের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।[4]
দ্য ওডেসি এক্সপিডিশন গ্রাহাম হিউজের একটি অভিযান যার উদ্দেশ্য জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রে পদার্পণ করা। হিউজ যুক্তরাজ্যের প্রতিটা দেশেই গিয়েছিলেন। হিউজ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ছাড়াও বেশ কিছু দেশ ও অঞ্চলে গিয়েছিলেন, যেমন- ভ্যাটিকান সিটি, ফিলিস্তিনের আংশিক স্বীকৃত রাষ্ট্রসমূহ, পশ্চিম সাহারা, কসোভো এবং তাইওয়ান। জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রসমূহ মিলিয়ে তিনি মোট ২০১টি দেশে ভ্রমণ করেছেন। তবে হিউজ উত্তর কোরিয়াতে যাননি।[5] তার ভ্রমণ অভিযানের নিয়ম ছিল: আকাশপথে যাওয়া যাবে না, কোন ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করা যাবে না, কোন রাষ্ট্রের দূরবর্তী কোন অঞ্চল বা বিশেষ অঞ্চলে গিয়ে দেশটি ভ্রমণ করা হয়েছে বলে বিবেচনা করা যাবে না।[6]
২০১২ সালের নভেম্বরের ২৬ তারিখে হিউজ তার অভিযান সমাপ্ত করেন দক্ষিণ সুদানে প্রবেশের মাধ্যমে। অভিযান শেষে তিনি তার শহর লিভারপুলে ফিরে যান। গিনেস বিশ্ব রেকর্ড অবশ্য হিউজের রাশিয়ায় প্রবেশ করা নিয়ে অসন্তষ্ট ছিল।[7] কারণ এটাই একমাত্র দেশ ছিল যেখানে হিউজ কোন স্বীকৃত সীমান্ত প্রবেশ পথ দিয়ে প্রবেশ করেননি। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে হিউজ সঠিকভাবে ভিসা গ্রহণ করে পুনরায় রাশিয়ায় যান। দ্য ওডেসি এক্সপিডিশনে হিউজেস দাতব্য সংস্থা ওয়াটারএইড-এর পক্ষে প্রচারণা চালান।
গ্রাহাম হিউজ এক বছরের মধ্যেই ১৩৩টি দেশে গণপরিবহন (বাস, ট্রেন, ট্রাম ইত্যাদি) ব্যবহার করে ভ্রমণ করার মাধ্যমে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেছেন।[8][9] তিনি তার ৪ বছরব্যাপী অভিযানের প্রথম বছরেই এই স্বীকৃতি অর্জন করেন। ২০১৪ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নিশ্চিত করে যে, হিউজের “অভিযানটি ছিল সবচেয়ে কম সময়ে সব দেশে গণপরিবহন ব্যবহার করে ভ্রমণ অভিযান। এটির সত্যতা যাচাই করতে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড দীর্ঘ সময়ে ব্যয় করেছে।“ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের প্রধান মার্কো ফ্রিগেটি বলেন, “সাম্প্রতিককালে কোন রেকর্ড যাচাই করতে এতো সময় লাগেনি।“[10]
হিউজ তার নিজের কোম্পানি হাইড্রা স্টুডিও থেকে বেশ কয়েকটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ২০০৬ সালে তার একটি চলচ্চিত্র লিভারপুল ৪৮ ঘণ্টা ফিল্ম চ্যলেঞ্জ পুরস্কার পায়। ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ এক্সপিডিশন্স নামক একটি ভ্রমণ পরিষেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য হিউজ কয়েকটি ভ্রমণ বিষয়ক ভিডিও তৈরি করেছেন। তিনি লিভারপুল-ভিত্তিক অনেক সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত-প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেছেন।[11] ইউটিউবে হিউজের 'ওয়ান সেকেন্ড এভরি কান্ট্রি' ভিডিওটি তুমুল জনপ্রিয় হয়।[12] এটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রায় এক মিলিয়ন বার দেখা হয়। পরবর্তীকালে বিবিসি[13] এবং সিবিএস[14] এটি নিয়ে সংবাদও প্রচার করে। হিউজের বিশ্ব ভ্রমণ নিয়ে বাজফিড[15] এবং এস্কুইয়ার ম্যাগাজিনে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।[16]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.