Loading AI tools
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইয়ান অ্যান্ড্রু হিলি (ইংরেজি: Ian Healy; জন্ম: ৩০ এপ্রিল, ১৯৬৪) কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেনে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সময়কালে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবেই 'হিলস' ডাকনামে পরিচিত ইয়ান হিলি দলে খেলেছেন। এছাড়াও, ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি কুইন্সল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করতেন।[1]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইয়ান অ্যান্ড্রু হিলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ব্রিসবেন, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া | ৩০ এপ্রিল ১৯৬৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | হিলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এ হিলি (নাতনি); গ্রেগ হিলি (ভাই); কেন হিলি (ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৪৪) | ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ অক্টোবর ১৯৯৯ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১০২) | ১৪ অক্টোবর ১৯৮৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ মে ১৯৯৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৬–১৯৯৯ | কুইন্সল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৮ এপ্রিল ২০১৭ |
১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে আঘাতপ্রাপ্ত পিটার অ্যান্ডারসনের পরিবর্তে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রধানত ব্যাটসম্যান হিসেবে কুইন্সল্যান্ড কোল্টসের সদস্য মনোনীত হন ও অভিষেক ঘটে তার। তারপরও রাজ্য দলের উইকেট-রক্ষক হিসেবে অ্যান্ডারসন পরবর্তী আঠারো মাস প্রথম পছন্দরূপে উইকেট-রক্ষক ছিলেন। এ সময়ে হিলি মাত্র ছয়টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিতে পেরেছিলেন।
মাত্র ছয়টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেয়ার পর ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। ঐ সময়ে অস্ট্রেলিয়া দল বেশ দূর্বল ছিল। পরবর্তী এক দশক দলের অন্যতম সদস্যে পরিণত হন তিনি ও যথেষ্ট সফলতার সাথে স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে স্বল্পসংখ্যক খেলায় অংশগ্রহণের পর ১৯৮৮ সালের শেষদিকে পাকিস্তান সফরের জন্য অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য মনোনীত হলে সকলেই আশ্চর্যান্বিত হন।[2] ১৯৮৪ সালে হিলি'র শৈশবের আদর্শ ক্রিকেটার রড মার্শের অবসরের পর থেকেই অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষণের মান বেশ দূর্বল ছিল। ওয়েন বি. ফিলিপস, টিম জোরার, গ্রেগ ডায়ার ও স্টিভ রিক্সন - সকলেই চেষ্টা চালালেও খুব কমই সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দল নির্বাচক গ্রেগ চ্যাপেল কুইন্সল্যান্ডে হিলি'র খেলার ধরন সম্পর্কে সম্যক অবগত ছিলেন। নিচেরসারির ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে ও অভাব পূরণ করতে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেন।[3]
নিজস্ব ক্রিকেট জীবনের মাঝামাঝি সময় থেকে সর্বাপেক্ষা কার্যকর ব্যাটসম্যানে পরিণত হন। তন্মধ্যে তার চারটি প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরিগুলোর সবকটিই টেস্ট খেলার মাধ্যমে পান। এছাড়াও একদিনের আন্তর্জাতিকে শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ সফলকাম হন। ব্যাটিং গড় মাত্র ২১ হলেও প্রতি ১০০ বলে তার রান তোলার গড় ছিল ৮৩.৮।
১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কা দল অতি-আক্রমণধর্মী উদ্বোধনী ব্যাটিং উপহার দিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে। এরপূর্বের বছর থেকেই অ্যাডাম গিলক্রিস্ট উইকেট-রক্ষক হিসেবে একদিনের খেলার উপযোগী করে তোলেন নিজেকে। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের জন্য অস্ট্রেলিয়া দল টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকের জন্য পৃথক দল গঠন করে বেশ বিতর্কের জন্ম দেয়। এরফলে হিলি ও অধিনায়ক টেলর - উভয়েই একদিনের দল থেকে বাদ পড়েন ও একদিনের আন্তর্জাতিক দলে উইকেট-রক্ষক হিসেবে তার যথার্থতা তুলে ধরেন।[4] কিন্তু পূর্বের মৌসুমে কার্লটন ও ইউনাইটেড সিরিজের চূড়ান্ত খেলায় উঠতে ব্যর্থ হলেও গিলক্রিস্টের চমকপ্রদ সেঞ্চুরিতে ফাইনালে উঠে।[4] ফলে হিলির একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলার পরিসমাপ্তি ঘটে। এ সময় তিনি ২৩৩ ডিসমিসাল করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন যা পরবর্তীতে গিলক্রিস্ট, মার্ক বাউচার, মঈন খান ও কুমার সাঙ্গাকারা অতিক্রম করেন।[5]
নিয়মিত অধিনায়ক মার্ক টেলরের আঘাতজনিত অনুপস্থিতিতে তিনি সর্বমোট আটটি একদিনের আন্তর্জাতিকে দলকে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৬-৯৭ সময়কালে তিনি আট খেলায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে পাঁচটিতে জয় এনে দেন। ১৯৪৬ সালে বিল ব্রাউনের এক টেস্টে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের পর দ্বিতীয় কুইন্সল্যান্ডার হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।[6]
৪ অক্টোবর, ১৯৯৮ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে ৩৫৫ ডিসমিসাল করে মার্শের গড়া রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন। রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে কলিন মিলারের বোলিংয়ে ওয়াসিম আকরামের ডিসমিসালের মাধ্যমে তিনি এ অর্জনের সাথে সম্পৃক্ত হন। এ সময় তিনি ১০৪তম টেস্ট খেলেন; তুলনান্তে মার্শ করেছেন ৯৬ টেস্টে।[7] অবসরগ্রহণকালীন সময়ে উইকেট-রক্ষক হিসেবে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাপেক্ষা অধিক ডিসমিসালের মাধ্যমে রেকর্ড গড়েন।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড রড মার্শ, ওয়ালি গ্রাউট ও ডন টলনকে পাশ কাটিয়ে তাকে বিংশ শতকের দলে উইকেট-রক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এছাড়াও উইজডেন কর্তৃপক্ষ ১৯৯৪ সালে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা দেয় তাকে। অবসর নেয়ার পর ব্রিসবেনের চ্যানেল নাইনে সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি সমারভিল হাউজ ক্রিকেট দলে কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ক্রিকেট ধারাভাষ্যকারের সাথে জড়িত তিনি। ২০০০ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া প্রণীত শতাব্দীর সেরা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড দলে তাকে উইকেট-রক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[8] ২০০৪ সালে স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।[9] পরবর্তীতে ২০০৮ সালে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট হল অব ফেমে ঠাঁই হয় তার।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.