Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আমিনুল করিম (জন্ম: ১ জুলাই ১৯৫৫) হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যানেন্ট জেনারেল ও শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সামরিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মালোশিয়ার মালেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া ইউরোপ ইন্সটিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ছিলেন।[1][2][3]
আমিনুল করিম এনডিসি, আইডিএমসি, পিএসসি | |
---|---|
জন্ম নাম | আমিনুল করিম রুমী |
ডাকনাম | রুমী |
জন্ম | ১ জুলাই ১৯৫৫ চাঁদপুর, রাণীবাড়ি, চককির্তী, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পূর্ব পাকিস্তান। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
আনুগত্য | বাংলাদেশ |
সেবা/ | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
পদমর্যাদা | লেফটেন্যান্ট জেনারেল |
মাতৃশিক্ষায়তন | হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ |
আমিনুল করিম ১ জুলাই ১৯৫৫ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জের চককির্তীর রাণীবাড়ির চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মনতাজ উদ্দিন আহমদ। তিনি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৭২ সালে এসএসসি ও ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। কুয়ালালামপুরের আর্মড ফোর্সেস স্টাফ কলেজ থেকে ১৯৮৫ সালে স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি ভারতের সেকেন্দ্রাবাদের কলেজ অফ ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট থেকে ১৯৯২ সালে লং ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর (এমএসসি) ডিগ্রী অর্জন করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৯৫ সালে ডিফেন্স স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। আমেরিকার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জন এফ কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট থেকে ২০০০ সালে এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রাম (কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট) কোর্স সম্পন্ন করেন। ২০০১ সালে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এমফিল) সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির এনইএসএ সেন্টারে থেকে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রাম কোর্স সম্পন্ন করেন। তাকে ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়।[4][5][6][3]
আমিনুল করিম ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ফ্যাকাল্টি মেম্বার, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এবং স্টাফ কলেজ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ২০০১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তার উচ্চতর ব্যবস্থাপনায় সিনিয়র সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। ২০০২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে ২০০৪ সালে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা বিভাগের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[4][5][6][3]
সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট হিসেবে তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সামরিক সচিব (বাংলাদেশ সরকারের সচিবের মর্যাদা সহ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল হিসাবে ও ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালের সাথে অধিভুক্ত ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।[6][5][4][3] তাকে ১২ মার্চ ২০০৯ সালে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।[2]
নভেম্বর ২০০৮ থেকে জানুয়ারি ২০০৯ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওস্টেট ইউনিভার্সিটির মারশোন সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের ভিজিটিং স্কলার ছিলেন। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া-ইউরোপ-ইনস্টিটিউটে জুন ২০০৯ থেকে জুন ২০১০ সাল পর্যন্ত ভিজিটিং সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও অক্টোবর ২০১০ থেকে আগস্ট ২০১১ সাল পর্যন্ত সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। জানুয়ারী ২০১১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া-ইউরোপ-ইনস্টিটিউটে ২০০১ সাল থেকে অধ্যাপকের মর্যাদা সহ সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[4][5][6][3]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর নন-প্রলিফারেশন স্টাডিজে সিনিয়র ফেলো (অনাবাসী) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বেইজিংএর চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[6][5][4][3]
তিনি মার্চ ২০১৮ সাল থেকে ঢাকার ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ডিন ও অধ্যাপক।[5][6][4][3]
আমিনুল করিমের উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:[7][8]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.