Remove ads
কানাডীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নীতিশ রোণিক কুমার (জন্ম: ২১ মে ১৯৯৪) একজন কানাডিয়ান ক্রিকেটার যিনি কানাডা জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন। কুমার মাত্র ২২ বছর বয়সে ২০১৬ সালের অক্টোবরে জাতীয় পুরুষ দলের অধিনায়ক হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি ডানহাতে ব্যাট করেন এবং ডানহাতি অফ স্পিন বোলিং করে থাকেন। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার পর, কুমার পরের মাসে ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয়তম কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসাবে ওয়ানডে ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে যখন কানাডা অংশ নিয়েছিল তখন কুমার টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন। ২০১২ সালের মার্চ মাসে তিনি তার প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক খেলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | নীতিশ রোণিক কুমার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | স্কারবরাহ, অন্তারিও | ২১ মে ১৯৯৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডান-হাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডান-হাত অফ-ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬৯) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বনাম আফগানিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ বনাম নেদারল্যান্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ 33) | ১৩ মার্চ ২০১২ বনাম নেদারল্যান্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৭ অক্টোবর ২০১৯ বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫-বর্তমান | লাফবরাহ এমসিসিইউ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬-বর্তমান | আইসিসি আমেরিকাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬-১৭ | সেন্ট লুসিকা জুকস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: CricketArchive, ২৭ অক্টোবর ২০১৯ |
১৪ আগস্ট ২০০৯ সালে নীতিশ কুমার তার প্রথম ফার্স্ট ক্লাসের ম্যাচ খেলেন, একই ম্যাচে সতীর্থ জিমি হানস্রার সাথে অভিষেক করেছিলেন। ম্যাচটি ২০০৯-১০-এর আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের অংশ ছিল এবং কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে কুমার আউট হওয়ার আগে ১২ রান করেছিলেন, যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম বলে আউট হন।[১] কুমার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক করেন ছয় মাস পর ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালেআফগানিস্তানের বিপরীতে, যেখানে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ওয়ানডে খেলোয়াড়। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে, নিউজিল্যান্ডে আয়োজিত ২০১০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে কুমার কানাডার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। যেখানে কানাডা ১৬টি দলের মধ্যে ১১তম স্থান অর্জন করে।[২] ২০০৯-১০-এর আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে কানাডার অংশগ্রহণ ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হয়েছিল, সেখানে সাত দলের গ্রুপ পর্বে কানাডার অবস্থান ছিল সর্বনিম্ন। কুমার চারটি কাপ ম্যাচ খেলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে যেখানে সর্বোচ্চ ৭৪ রানসহ সর্বমোট ১১৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[৩][৪]
কানাডা বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ২০১১ বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিল। ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে ২১ বছরের কম বয়সী পাঁচজন খেলোয়াড় (কুমার সহ) অন্তর্ভুক্ত ছিল, তারা প্রত্যেকেই পূর্ববর্তী বছরে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছিল।[৫] ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে কানাডা যখন জিম্বাবুয়ের সাথে হেরে যায় তখন কুমারের বয়স ছিল ১৬ বছর ২৮৩ দিন, বিশ্বকাপে খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়।[৬][৭] যেমনটি প্রত্যাশিত ছিল, কানাডা টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের বাইরে অগ্রসর হতে ব্যর্থ হয়েছিল, তবে তাদের গ্রুপের একমাত্র টেস্ট মর্যাদাবিহীন দল কেনিয়ার বিপক্ষে জয় অর্জন করেছিল।[৮] জুলাইয়ে আয়ারল্যান্ড ২০১১-এর অনূর্ধ্ব -১৯ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আয়োজক ছিল। কানাডা দশটি দলের মধ্যে অষ্টম স্থানে করে ফলে পরের বছর এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়।[৯][১০] কুমার বাছাইপর্বের টুর্নামেন্টে কানাডার শীর্ষ রান সংগ্রহকারী এবং সর্বসাকুল্যে নয় খেলায় ২টি সেঞ্চুরি সহ মোট ৩৭০ রান নিয়ে চতুর্থ ছিলেন।[১১] তার অফ-ব্রেক বোলিংয়ে ৮ উইকেট নিয়ে গড় ছিল ২২.৮৭, যার ফলে তিনি ছিলেন কানাডার চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।[১২] ২০১১-১৩ আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের কানাডার প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল আগস্ট ২০১১ সালে।
২০১২ সালের মার্চ মাসে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কানাডার উদ্বোধনী ম্যাচের সময় টুয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩তম ব্যাটসম্যান হিসাবে অভিষেক। তিনি এক রানেই রান আউট হন। টুর্নামেন্টের তার দ্বিতীয় ম্যাচে সফলতা আসে এবং তিনি টি২০ ম্যাচে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড করেন (উক্ত ম্যাচটি টি২০ মর্যাদাসম্পন্ন ছিল না) তিনি ৪৪ বল খেলে ৫৭ রান করার ফলে পাপুয়া নিউ জিনির বিরুদ্ধে কানাডা ৬-রানের জয় পায়। ৯ ম্যাচে ১৭২ রান নিয়ে কুমার ছিল উক্ত প্রতিযোগিতায় কানাডার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী।
২০১১-১৩ আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ২০১৩ ম্যাচ কুমারকে আরও প্রথম শ্রেণির অভিজ্ঞতা দেয় এবং পরপর দুটি ম্যাচে তিনি তার সর্বোচ্চ রান অর্জন করেছিলেন। মার্চ মাসে কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথমে কুমার ৮৯ রানের স্কোর করেছিল যা প্রথম ইনিংসে তার দলের স্কোরের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল, যদিও ম্যাচটিতে কেনিয়া জয় পেয়েছিল।[১৩] ওই বছর আগস্টে কুমার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১০৩ নিয়ে তার প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান।[১৪]
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে, তাকে আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগ টুর্নামেন্টের জন্য কানাডার স্কোয়াডের অধিনায়ক মনোনীত করা হয়।[১৫]
৩ জুন ২০১৮ এ, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী সংস্করণের জন্য খেলোয়াড়দের খসড়ায় টরন্টো জাতীয়দের হয়ে খেলতে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল।[১৬][১৭]
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে, তাকে ২০১৮-১৯ আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ আমেরিকাস বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতার জন্য কানাডার স্কোয়াডের অধিনায়ক মনোনীত করা হয়।[১৮] টুর্নামেন্টে তিনি কানাডার শীর্ষ উইকেট শিকারী ছিলেন এবং ছয় ম্যাচে মোট ১১টি উইকেট লাভ করেন।[১৯]
অক্টোবর ২০১৮ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০১৮-১৯ আঞ্চলিক সুপার ৫০ প্রতিযোগিতার জন্য তাকে কানাডার স্কোয়াডভুক্ত করা হয়েছিল।[২০] ২০১৯ সালের এপ্রিলে নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগ টুর্নামেন্টের জন্য তাকে কানাডার দলে জায়গা দেওয়া হয়েছিল।[২১]
২০১৯ সালের জুনে, তিনি ২০১৯ গ্লোবাল টি২০ কানাডা টুর্নামেন্টে ব্র্যাম্পটন ওলভস ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেলতে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[২২] আগস্ট ২০১৯ এ, তাকে ২০১৮-১৯ আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ আমেরিকাস বাছাইপর্ব টুর্নামেন্টের আঞ্চলিক ফাইনালের জন্য কানাডার দলে নির্বাচিত করা হয়েছিল।[২৩] ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, ২০১৯ মালয়েশিয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লীগ এ টুর্নামেন্টের জন্য তাকে কানাডার দলীয় স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল।[২৪] অক্টোবরে ২০১৯, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ২০১৯ আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব টুর্নামেন্টের জন্য তাকে কানাডার স্কোয়াডে নির্বাচিত হন।[২৫] কানাডা টুর্নামেন্টের তাদের প্রথম তিনটি ম্যাচই জয় পায় এবং কুমারকে তিনটি ম্যাচেই ধারাবাহিকভাবে অর্ধশতক স্কোর করায় ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হিসাবে নির্বাচিত করা হয়।[২৬] টুর্নামেন্টে কানাডার হয়ে তিনি ছয় ম্যাচে ২৪৫ রান নিয়ে সেরা রান সংগ্রহকারী ছিলেন।[২৭]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.