লু ভিনসেন্ট (জন্ম: ১১ নভেম্বর, ১৯৭৮) অকল্যান্ডের ওয়ার্কওর্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার ও ব্যাটসম্যান।[১] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিকটুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে অকল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ারল্যাঙ্কাশায়ার দলের সদস্য ছিলেন।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...
লু ভিনসেন্ট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
লু ভিনসেন্ট
জন্ম (1978-11-11) ১১ নভেম্বর ১৯৭৮ (বয়স ৪৬)
ওয়ার্কওর্থ, অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২১৭)
৩০ নভেম্বর ২০০১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১৬ নভেম্বর ২০০৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১২১)
৬ ফেব্রুয়ারি ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ ওডিআই১৬ ডিসেম্বর ২০০৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই শার্ট নং৪০
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৭/৯৮-২০০৮অকল্যান্ড
২০০৮ল্যাঙ্কাশায়ার
২০০৬ওরচেস্টারশায়ার
২০০৫সাফোক
২০১০নর্দাম্পটনশায়ার
২০১১সাসেক্স
২০১৩খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৩ ১০২ ৯৮ ২২০
রানের সংখ্যা ১,৩৩২ ২,৪১৩ ৫,১৮৪ ৬,০৭৯
ব্যাটিং গড় ৩৪.১৫ ২৭.১১ ৩৪.৫৬ ৩০.৭০
১০০/৫০ ৩/৯ ৩/১১ ১০/২৯ ১১/৩০
সর্বোচ্চ রান ২২৪ ১৭২ ২২৪ ১৭২
বল করেছে ২০ ১,০০৯ ২৫৭
উইকেট ১০
বোলিং গড় ২৫.০০ ৫৩.৫০ ৩৭.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ০/২ ১/০ ২/৩৭ ৩/৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৯/– ৪১/– ১১৫/– ১২৮/৩
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ৩ জানুয়ারি ২০১৬
বন্ধ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

২০০১-০২ মৌসুমে পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। প্রথম ইনিংসে ১০৪ রান ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ রান তোলেন।

২০০৫-০৬ মৌসুমে হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে ১৭২ রান তোলেন। মাত্র ১২০ বলে ১৬ বাউন্ডারি ও ৯ ছক্কায় এ রান সংগ্রহ করেন। তার এ সংগ্রহ নিউজিল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যায়। এরফলে তিনি ১৯৭৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে গ্লেন টার্নারের[২] পূর্ব আফ্রিকা দলের বিপক্ষে গড়া অপরাজিত ১৭১* রানের রেকর্ড ভঙ্গ করেন।

ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলায় সেঞ্চুরি করেন। ২২ মার্চ, ২০০৭ তারিখে বিউসেজাউর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় কানাডার বিপক্ষে ১১৭ বলে ১০১ রান তোলেন। তার এ ইনিংসে ৯ চার ও ১ ছক্কার মার ছিল। খেলায় তার দল জয়লাভ করে।[৩] পরবর্তীতে অনুশীলনী খেলায় শেন বন্ডের বলে তার কব্জিতে ফাটল ধরে। ফলে হামিশ মার্শালকে তার স্থলাভিষিক্ত করতে হয়।

নিষেধাজ্ঞা

ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে আইসিসি'র দূর্নীতি বিরোধী ইউনিট (আকসু) তার বিরুদ্ধে পেশাদার ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ, ইসিবি ৪০, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগচ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার বেশকিছুসংখ্যক খেলায় পাতানো খেলার অভিযোগ উত্থাপন করে।[৪] জুন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত্ করে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।[৫] এরপর ১ জুলাই, ২০১৪ তারিখে পাতানো খেলায় তিনি তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে স্বীকার করেন।[৬] ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড যে-কোন ধরনের ক্রিকেট খেলায় ইসিবি কর্তৃক আয়োজিত খেলাসহ আইসিসি কিংবা অন্য কোন জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনের খেলায় তাকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা করে।[৭]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.