কৃষ্ণনগর
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার সদর শহর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার সদর শহর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কৃষ্ণনগর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার সদর শহর ও পৌরসভা এলাকা। কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণীর মাটির পুতুল ও মূর্তি পশ্চিমবঙ্গের শ্রেষ্ঠ কুটির শিল্পগুলির অন্যতম। এটি বর্তমানে নদিয়া জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ও প্রাচীন বাংলার অন্যতম শিক্ষা ও সংস্কৃতির শহর বলে পরিচিত। কৃষ্ণনগরের বারদোলের মেলা বাংলার অতি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মেলা। নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র এই মেলার প্রবর্তক হিসাবে জানা যায়।[১]
কৃষ্ণনগর রেউই | |
---|---|
শহর | |
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩.৪° উত্তর ৮৮.৫° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | নদিয়া |
প্রতিষ্ঠাতা | ১৭০০ |
নামকরণের কারণ | কৃষ্ণচন্দ্র রায় |
সরকার | |
• ধরন | মিউনিসিপ্যালিটি |
• শাসক | কৃষ্ণনগর মিউনিসিপ্যালিটি |
• সংসদ সদস্য | মহুয়া মৈত্র |
উচ্চতা | ১৪ মিটার (৪৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ১,৩৯,০৭০ |
ভাষাবাংলা | |
• অফিসিয়াল | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
সংস্কৃতি ও বিদ্যোৎসাহী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নামানুসারে এই স্থান কৃষ্ণনগর নামে খ্যাত। অতীতে এই জায়গার নাম ছিল রেউই। নদিয়া রাজপরিবারের শ্রেষ্ঠ পুরুষ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজধানী ছিল কৃষ্ণনগর। তিনি বিদ্বানসংস্কৃত ও ফার্সিভাষায় শিক্ষিত, সংগীতরসিক ছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ছিলেন শাক্তপদাবলিকার রামপ্রসাদ সেন, অন্নদামঙ্গল কাব্য প্রণেতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর, হাস্যরসিক গোপাল ভাঁড় প্রমুখ বাংলার প্রবাদপ্রতিম গুণী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষক। তাঁর চেষ্টায় এই স্থানে গুণী ব্যক্তিদের সমাবেশ হয় এবং কৃষ্ণনগর বাংলার সংস্কৃতিচর্চার পীঠস্থান হয়ে ওঠে। ১৮৫৬ সালে সারস্বত চর্চ্চার কেন্দ্র রূপে গড়ে কৃষ্ণনগর সাধারণ গ্রন্থাগার। কৃষ্ণনগরের জগদ্বিখ্যাত মৃৎশিল্পের সূত্রপাত ও জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলন তার সময়ে তারই উদ্যোগে ঘটেছিল। কৃষ্ণনগর পৌরসভা ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৩.৪° উত্তর ৮৮.৫° পূর্ব।[২] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৪ মিটার (৪৫ ফুট)।
ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কৃষ্ণনগর শহরের জনসংখ্যা হল ১৩৯,০৭০ জন।[৩] এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%।
এখানে সাক্ষরতার হার ৭৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৩% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কৃষ্ণনগর এর সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় মেমোরিয়াল স্টেডিয়াম বা ডিস্ট্রিক্ট স্টেডিয়াম হচ্ছে শহরের প্রধান ক্রীড়াঙ্গন। এখানে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল-এর প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রধান সংযোগস্থাপনকারী রাস্তা জাতীয় সড়ক ১২ (ভারত) বা পূর্বতন ৩৪ নং জাতীয় সড়ক কৃষ্ণনগর শহরের ওপর দিয়ে গেছে। সড়কপথে কৃষ্ণনগর পশ্চিমনবঙ্গের অন্যান্য শহরের সাথে যুক্ত। কৃষ্ণনগর সিটি জংশন রেলওয়ে স্টেশনটি পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত একটি রেলওয়ে স্টেশন।[৫]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.