কেরল
ভারতের একটি রাজ্য উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কেরল (মালয়ালম: കേരളം; ইংরেজি: /ˈkɛrələ/ KERR-ə-lə; মালয়ালম: [ke:ɾɐɭɐm] ) ভারতের একটি রাজ্য। রাজধানী তিরুবনন্তপুরম একটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত। কোচি একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর এবং তেল শোধনাগার। কালিকট অপর আরেকটি বন্দর শহর। মালয়ালম কেরলের রাজ্যভাষা। ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বরে টানা এক মাস কেরলবাসী ভয়াবহ বন্যার মুখে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বন্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘর ছাড়া হয়। এবং ৪৭৫ জন মানুষ মারা যায়। এই দুর্ভিক্ষের সময় কেরলবাসীর ২০০০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভারতীয় সব মন্ত্রী, দেশের প্রতিটি রাজ্যের মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতে প্রথম কমিউনিস্ট পার্টি ১৯৫৭ সালে কেরলে সরকার স্থাপন করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কেরল കേരളം | |
---|---|
রাজ্য | |
কেরল ব্যাকওয়াটারস আথিরাপিলি জলপ্রপাত কেরল গভর্নমেন্ট সেক্রেটারিয়েট চীনা মাছ ধরার জাল মেরিন ড্রাইভ, কোচি | |
ডাকনাম: ঈশ্বরের আপন দেশ, ভারতের মশলা বাগান, নারকেলের দেশ , মশলার দ্বীপ , ঈশ্বরের নিজের দেশ | |
![]() কেরলের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক (তিরুবনন্তপুরম): ৮.৫° উত্তর ৭৭° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্যত্ব প্রাপ্তি | ১লা নভেম্বর ১৯৫৬ |
রাজধানী | তিরুবনন্তপুরম |
জেলা | তালিকা |
সরকার | |
• শাসক | কেরল সরকার |
• রাজ্যপাল | আরিফ মোহাম্মদ খান[১] |
• মুখ্যমন্ত্রী | পিনারাই বিজয়ন (সি পি আই (এম)) |
• মুখ্য সচিব | এস.এম. বিজয়ানন্দ আইএএস[২] |
• পুলিশের মহাপরিচালক | লোকনাথ বেহেরা আইপিএস[৩] |
• আইনসভা | এককক্ষীয় (১৪১ আসন)† |
আয়তন | |
• মোট | ৩৮,৮৬৩ বর্গকিমি (১৫,০০৫ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ২২তম |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ২,৬৯৫ মিটার (৮,৮৪২ ফুট) |
সর্বনিন্ম উচ্চতা | −২.২ মিটার (−৭.২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩,৩৩,৮৭,৬৭৭[৪] |
• ক্রম | ১৩তম |
বিশেষণ | কেরলীয়, মালয়ালি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-KL |
এইচডিআই | ০.৭৯০ (উচ্চ) |
মানব উন্নয়ন স্থান | ১ম (২০১১) |
সাক্ষরতা | ৯৩.৯% (১ম) (২০১১) |
সরকারী ভাষা | মালয়ালম[৫] |
ওয়েবসাইট | kerala |
† নির্বাচিত ১৪০, মনোনীত ১ |
নামের উত্পত্তি
"কেরল" নামের উৎপত্তি নিয়ে বহু মত বিদ্যমান । সবচেয়ে প্রচলিত মত অনুযায়ী নামটি "কের'" ( মালয়ালম ভাষায় অর্থ 'নারকেল গাছ' ) এবং "আলম" ( অর্থ 'দেশ' বা 'ভূমি ') শব্দ দুটির সমন্বয়ে সৃষ্ট, যার অর্থ দাঁড়ায় "নারকেল বৃক্ষের দেশ" । কেরল নামের সর্বপ্রথম লিখিত উল্লেখ পাওয়া যায় মৌর্য সম্রাট অশোকের তৃতীয় শতকের শিলালিপিতে। এই লিপিতে স্থানীয় শাসককে "কেরলপুত্র" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে । যদিও এর আরেকটি অর্থ হতে পারে, যা হল "চেরার পুত্র " । এই সুত্র সঠিক হলে নামের উৎপত্তির প্রচলিত মত নিয়ে দ্বিমতের অবকাশ থাকে ।
ইতিহাস
ভূগোল
কেরল রাজ্য লাক্ষাদ্বীপ সমুদ্র ও পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মাঝে বিস্তৃত । রাজ্যটি সমুদ্র উপকূল বরাবর লম্বায় ৫৯০ কিমি (৩৭০ মাইল ), যদিও প্রস্থ স্থানভেদে ১১ থেকে ১২১ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
জলবায়ু
প্রাণী ও উদ্ভিদ জগত্
পশ্চিমঘাট পর্বতমালার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত হওয়ায় এই রাজ্য জীববৈচিত্রে অত্যন্ত সমৃদ্ধ । ১৮শ শতক পর্যন্তও কেরলের তিন চতুর্থাংশ অঞ্চল ঘন জঙ্গলে ভরা ছিল ।
সরকার এবং প্রশাসন
কেরল রাজ্যটিতে ১৪ টি জেলা ৭৭ টি তালুক এবং ১৫২ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ৯৫১ গ্রাম পঞ্চায়েত ৬ টি পৌরসংস্থা এবং ৮৭ টি পৌরসভা রয়েছে। একজন জেলাশাসক প্রতিটি জেলা পরিচালিত করেন। কেরল সরকার প্রতি জেলাশাসককে একটি নির্দিষ্ট জেলার জন্য প্রেরণ করেন।
অর্থনীতি
এই রাজ্যে অধিক মুদ্রাস্ফীতি(পণ্য-সেবার মূল্য টাকার অঙ্কে বেড়ে যাওয়া) দেখা যায়। প্রায় ৬% মুদ্রাস্ফীতি হার , যা ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। [৬] বেকারত্ব হার-এ এই রাজ্য ভারতের সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। ১৫-২৯ বর্ষীয়দের ৩৫.২% এবং সামগ্রিকভাবে ৯% রয়েছে ।
কৃষি


কেরলে নারিকেল চাষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
জনপরিসংখ্যান
লিঙ্গ অনুপাতে ভারতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ(৯৪৮ জন নারী প্রতি ১০০০ পুরুষে )। নবীন প্রজন্মের (২৫ এর কম বয়স) জনসংখ্যায় ভারতে সর্বনিম্ন (মোট রাজ্য জনসংখ্যার ৩৭.৪%) । নবীন প্রজন্মের (২৫ এর কম বয়স) জনসংখ্যায় লিঙ্গ বৈষম্য ভারতে সর্বোচ্চ (৮৯৬ মহিলা প্রতি ১০০০ জন পুরুষে)।
জন স্বাস্থ্য
এই রাজ্যে শিশু মৃত্যুর হার ভারতে সর্বনিম্ন (১০টি প্রতি ১০০০ এ যা বিশ্বের উন্নত দেশের সমতুল্য ) । গড় আয়ু ভারতে সর্বোচ্চ (৭৫ বছর )। মাত্র ৭.১% লোক দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন যা ভারতে সর্বনিম্ন । শিক্ষিতের হারে ভারতে সর্বোচ্চ। কিন্তু বেকারত্বের হারে ভারতে সর্বোচ্চ (১১.৪%) ।
যোগাযোগ ব্যবস্থা


কণ্ণুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (3.05 KM)

কালিকট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (2.86 KM)

কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (3.4 KM)

তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (3.4 KM)
কেরলয় বিমানবন্দরগুলোর অবস্থান
খেলাধুলা
ফুটবল এই রাজ্যের জনপ্রিয় খেলা। তবে ক্রিকেটও অন্যতম জনপ্রিয়।
প্রধান ক্রীড়াঙ্গনগুলোর অবস্থান
সংস্কৃতি

ভ্রমণ
বন্য জীবন
রাজ্যে হাতির এক বিপুল জনসংখ্যা রয়েছে, যা দেশে তৃতীয়। মালায়ালাম সাহিত্যে, হাতিকে "সৌহাদ্রির পুত্র" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখযোগ্য রিজার্ভ হলো নীলামপুর হাতি রিজার্ভ, ইরাভিকুলাম জাতীয় উদ্যান এবং পেরিয়ার জাতীয় উদ্যান। এছাড়া বাঘ ও চিতাবাঘ রয়েছে রাজ্যে।
আরও দেখুন
- পুজহাক্কাল নদী
- ত্রিসসুর কোলে জলাভূমি
তথ্যসূত্র
বহি:সংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.