পিনারাই বিজয়ন

ভারতীয় রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

পিনারাই বিজয়ন

পিনারাই বিজয়ন (মালয়ালম: പിണറായി വിജയൻ, আধ্বব: [piɳɐrɐːji ʋid͡ʒɐjɐn̺]; জন্ম ২৪শে মে ১৯৪৫)[], একজন ভারতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি ২৫শে মে, ২০১৬ তারিখ থেকে কেরল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন।[] বিজয়ন বর্তমানে তার দল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পলিটব্যুরো কমিটির সদস্য, এবং এখনও পর্যন্ত সিপিআইএম কেরালা রাজ্য্ কমিটির সর্বাধিক দিন অবধি দায়িত্ব পালন করা রাজ্য সম্পাদক (১৯৯৮ থেকে ২০১৫)। তিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত কেরল রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ২০১৬ সালের কেরল বিধানসভা নির্বাচনে পিনারাই বিজয়ন ধারাদাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিআই(এম) প্রার্থী হিসাবে ভোটে জেতেন এবং বাম গনতান্ত্রিক মোর্চার নেতা মনোনীত হন এবং কেরলের ১২তম মুখ্যমন্ত্রী রুপে শপথ নেন। পিনারাই বিজয়ন কেরলের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি একবার পূর্ণ সময়কাল (৫ বছর) মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন।[]

দ্রুত তথ্য পিনারাই বিজয়ন, ১২তম মুখ্যমন্ত্রী, কেরল সরকার ...
পিনারাই বিজয়ন
Thumb
১২তম মুখ্যমন্ত্রী, কেরল সরকার
কাজের মেয়াদ
২৫শে মে, ২০১৬ - বর্তমান
রাজ্যপালপি. সৎশিভম
আরিফ মহম্মদ খান
পূর্বসূরীওমেন চাণ্ডী
মন্ত্রী, কেরল সরকার
কাজের মেয়াদ
২৫শে মে, ২০১৬ - বর্তমান
দপ্তরস্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
রাজ্যপালপি. সৎশিভম
আরিফ মহম্মদ খান
পূর্বসূরীরমেশ চেন্নিথালা
বিদ্যুৎ মন্ত্রী, কেরল সরকার
কাজের মেয়াদ
২০শে মে, ১৯৯৬ - ১৯শে অক্টোবর, ১৯৯৮
মুখ্যমন্ত্রীই. কে. নায়ানার
পূর্বসূরীজি. কার্ত্তিকেয়ন
উত্তরসূরীএস. শর্মা
কো- অপরাটিভ মন্ত্রী, কেরল সরকার
কাজের মেয়াদ
২০শে মে, ১৯৯৬ - ১৯শে অক্টোবর, ১৯৯৮
পূর্বসূরীএম. ভি. রাঘবন
উত্তরসূরীএস. শর্মা
বিধায়ক, কেরল বিধানসভা
কাজের মেয়াদ
২রা জুন, ২০১৬ - বর্তমান
পূর্বসূরীকে. কে. নারায়নন
নির্বাচনী এলাকাধরমাদাম
কাজের মেয়াদ
১৯৯৬ - ২০০১
পূর্বসূরীসি. পি. নারায়নন
উত্তরসূরীপি. কে. শ্রীমাথি
নির্বাচনী এলাকাপায়ানুর
কাজের মেয়াদ
১৯৯১ - ১৯৯৬
পূর্বসূরীকে. পি. মাম্মো মাস্টার
উত্তরসূরীকে. কে. শৈলজা
নির্বাচনী এলাকাকুথুপারাম্বা
কাজের মেয়াদ
১৯৭০ - ১৯৭৯
পূর্বসূরীকে. কে. আবে
উত্তরসূরীএন. ভি. রাঘবন
নির্বাচনী এলাকাকুথুপারাম্বা
পলিটব্যুরো সদস্য, সিপিআইএম
কাজের মেয়াদ
২৪শে মার্চ, ২০০২ - বর্তমান
সম্পাদক, সিপিআইএম, কেরল রাজ্য কমিটি
কাজের মেয়াদ
২৫শে সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ - ২৩শে ফ্রেব্রুয়ারি, ২০১৫
পূর্বসূরীচাদায়ন গোবিন্দন
উত্তরসূরীকোডিয়ারি বালাকৃষ্ণন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম২৪শে মে, ১৯৪৫
পিনারায়ি, মালাবার জেলা, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
রাজনৈতিক দলভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)
দাম্পত্য সঙ্গীটি. কমলা
সন্তান১ পুত্র, ১ কন্যা
বাসস্থানক্লিফ হাউজ, তিরুবনন্তপুরম, কেরালা
প্রাক্তন শিক্ষার্থীগর্ভমেন্ট ব্রেনেন কলেজ, থালাসারি
বন্ধ

কেরলের প্রথম রাজনৈতিক হত্যা মামলা, ১৯৬৯ সালের ভাডিক্কল রামকৃষ্ণন হত্যাকাণ্ডে পিনারাই বিজয়ন অভিযুক্ত ছিলেন। যদিও পিনারাই সহ বাকি সমস্ত অভিযুক্তই আদালত থেকে বেকসুর মুক্তি পান। কেরলের কান্নুর জেলায় সিপিএম - আরএসএস রাজনৈতিক হানাহানির নৃশংসতার উদাহরন দিতে গিয়ে অনেক বিরোধী রাজনিতিক এই ঘটনার কথা বলেন। এখনও পর্যন্ত দু-পক্ষের মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন নিহত হয়েছেন এই সিপিএম - আরএসএস রাজনৈতিক সংঘর্ষে।

ব্যক্তিগত জীবন ও পড়াশোনা

পিনারাই বিজয়ন ১৯৪৫ সালের ২৪শে মে তৎকালীন ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির মালাবার জেলার পিনারায়ি গ্রামের হিন্দু থিয়ার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। থিয়ার হিন্দুরা কেরলের বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়গুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী সম্প্রদায়। কেরলের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৪ শতাংশই এই থিয়ার সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।[] স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে গর্ভমেন্ট ব্রেনেন কলেজে ভর্তি হবার আগে পিনারাই বিজয়ন হ্যান্ডলুম তাঁতি হিসাবে কাজ করতেন। এই কলেজ থেকেই পিনারাই বিজয়ন অর্থনীতিতে স্নাতক হন।

পিনারাই বিজয়নের স্ত্রী'র নাম কমলা বিজয়ন একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা, তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান আছে।[][]

রাজনৈতিক জীবন

সারাংশ
প্রসঙ্গ

থালাসারিতে গর্ভমেন্ট ব্রেনেন কলেজে পড়ার সময়ই ছাত্র রাজনীতির মধ্যে দিয়ে পিনারাই বিজয়নের রাজনীতিতে প্রবেশ ঘটে। ১৯৬৪ সালে বিজয়ন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলে যোগ দেন। বিজয়ন কেরালা ছাত্র ফেডারেশনের কান্নুর জেলা কমিটির সম্পাদক হন, যে সংগঠনটি পরবর্তীকালে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন রুপে আত্মপ্রকাশ করে। বিজয়ন কেরল ছাত্র ফেডারেশনের রাজ্য কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক দুই পদের দায়িত্বই সামলেছেন। তারপর বিজয়ন কেরালা রাজ্য যুব ফেডারেশনে যোগ দেন, যে সংগঠনটির বর্তমান নাম ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন। বিজয়ন এই যুব সংগঠনের কেরল রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এই সময় পিনারাই বিজয়নকে তার কমিউনিস্ট কর্মকাণ্ডের জন্য দেড় বছর জেলে বন্দী করে রাখা হয়।

পরবর্তীতে বিজয়ন কেরালা রাজ্য কো- অপরেটিভ ব্যাংকের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ভারতে জরুরি অবস্থা চলাকালীন পিনারাই বিজয়ন পুলিশের হাতে বন্দী এবং অত্যাচারিত হন। এম. ভি. রাঘবন সিপিআই(এম) থেকে বহিষ্কৃত হবার পর পিনারাই বিজয়ন কান্নুর জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক হন এবং তিন বছরের মধ্যের তিনি কেরল সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হন। বিজয়ন কুথুপারাম্বা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৭০, ১৯৭৭ এবং ১৯৯১ সালে তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি কেরল রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০০২ সালে সিপিআইএম কেরল রাজ্য কমিটির তৎকালীন সম্পাদক চাদায়ন গোবিন্দনের মৃত্যু হলে পিনারাই বিজয়ন কেরল রাজ্য কমিটির পরবর্তী সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি কেরল রাজ্য কমিটির সম্পাদক ছিলেন। ২০০২ সালে পিনারাই বিজয়ন কে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ পলিটব্যুরোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০০৭ সালে সিপিআইএম পার্টির প্রবীন নেতা এবং কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভি. এস. অচ্যুতানন্দনের নামে কটূক্তি করায় পিনারাই বিজয়নকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে আবার পিনারাই বিজয়নকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এবং পলিটব্যুরোতে পুনর্বহাল করা হয়।[]

পদ সমূহ

আরও তথ্য পদ, প্রতিষ্ঠান ...
পিনারাই বিজয়নের পদ সমূহ
পদ প্রতিষ্ঠান সময়কাল
রাজ্য সম্পাদক কেরল ছাত্র ফেডারেশন
রাজ্য সম্পাদক কেরল যুব ফেডারেশন
রাজ্য সভাপতি কেরল যুব ফেডারেশন
বিধায়ক কেরল বিধানসভা ১৯৭০-১৯৭৯

১৯৯১-২০০১

২০১৬- বর্তমান

মন্ত্রী কেরল রাজ্য সরকার ১৯৯৬-১৯৯৮
সম্পাদক সিপিআই(এম) ,

কেরল রাজ্য কমিটি

১৯৯৮-২০১৫
পলিটব্যুরো সদস্য ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০২ - বর্তমান
মুখ্যমন্ত্রী কেরল রাজ্য সরকার ২০১৬- বর্তমান
বন্ধ

নির্বাচনী ইতিহাস

আরও তথ্য বছর, আসন ...
পিনারাই বিজয়ন
বছর আসন নিকটতম প্রার্থী ফলাফল ব্যবধান
১৯৭০ কুথুপারাম্বা টি. রাঘবন(পি.এস.পি.) জয়ী ৭৪৩[]
১৯৭৭ কুথুপারাম্বা আব্দুল করে(আর.এস.পি) জয়ী ৪৪০১[]
১৯৯১ কুথুপারাম্বা পি. রামকৃষ্ণন (কংগ্রেস) জয়ী ১২,৯৬০[১০]
১৯৯৬ পায়ানুর কে.এন. কান্নথ(কংগ্রেস) জয়ী ২৮,০৭৮[১১]
২০১৬ ধারমাদাম মাম্বরন দিবাকরন(কংগ্রেস) জয়ী ৩৬,৯০৫[১২]
২০২১ ধারমাদাম সি. রঘুনাথ(কংগ্রেস) জয়ী ৫০,১২৩[১৩]
বন্ধ

মুখ্যমন্ত্রী রূপে কৃতিত্ব

সারাংশ
প্রসঙ্গ

২০১৬ সালের নির্বাচনে কেরলে বাম গনতান্ত্রিক জোট জয়ী হলে পিনারাই বিজয়ন সেই জোটের নেতা নির্বাচিত হন। ২৫শে মে,২০১৬ তারিখে বিজয়নের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। পিনারাই বিজয়ন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও ভিজিল্যান্স ডিপার্টমেন্ট নিজের অধীনে রাখেন।[১৪]

  • পিনারাই বিজয়ন সরকারের দায়িত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে প্রতি বছর 'প্রগতি পত্র' প্রকাশ করার রীতি চালু করেন।[১৫] এই পত্রে তার সরকারের সমস্ত কাজকর্মের হিসাব ও মুল্যায়ন করা হয়। নির্বাচনী ইস্তেহারে দেওয়া মোট ৬০০টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে ৫৭০টি প্রতিশ্রুতি ডিসেম্বর,২০২০ মধ্যেই পালন করে পিনারাই বিজয়নের সরকার রেকর্ড সৃষ্টি করে।[১৬]
  • বিজয়ন মন্ত্রিসভা কেরলের উন্নয়নের স্বার্থে 'নব কেরলম' নামে একটি কর্মসূচি নেয়। এই কর্মসূচির মধ্যে অনেকগুলি প্রজেক্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। যেমন, 'লাইফ মিশন', এই কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে ভুমিহীন ও ঘরহীন কেরলবাসীর জন্যে বাসস্থানের বন্দোবস্ত করা হয়। ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী এই কর্মসূচীতে ২ লক্ষ ঘরহীন মানুষের জন্য বসতবাড়ি নির৫মান করে দেওয়া হয়[১৭]'দ্য আরদ্রাম মিশনে' জনস্বাস্থ্য বিভাগকে মানুষের জন্য আরও সুবিধাদায়ক করা হয়[১৮]। হারিথা কেরলম মিশনের মধ্য দিয়ে কেরলের সমস্ত জলাশয় থেকে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের কর্মসূচী নেওয়া হয়[১৯]। 'এডুকেশন মিশনের মধ্যে দিয়ে কেরলের ১০০০টি সরকারি মাধ্যম স্কুলকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করার কথা বলা হয়[২০]। এবং এই কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে কেরল শিক্ষাক্ষেত্রে প্রথম ডিজিটাল রাজ্য হয় যেখানে সমস্ত সরকারি স্কুলেই হাইটেক প্রযুক্তির ক্লাস্রুম এবং হাইটেক মানের ল্যাব রয়েছে[২১]
  • তার সরকার ১৭,১২২ কিলোমিটার জলাশয় পুনর্নির্মাণ করেন[২২]
  • পিনারাই বিজয়নের মুখ্যমন্ত্রীত্বে কেরল ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য সরকারি সংরক্ষণ রয়েছে। কোচি মেট্রো প্রকল্পে প্রথম এই সংরক্ষণ চালু করা হয়[২৩]।পরবর্তীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভাগে পড়াশোনার জন্যও তৃতীয় লিঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হয়[২৪]
  • পাবলিক প্লেসে মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা দেবার উদ্দেশ্যে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসাবে বিজয়নের সরকার 'পিঙ্ক প্যাট্রোল' নামে মহিলা পুলিশ ডিপার্টমেন্ট চালু করে[২৫]
  • তার আমলে কেরল ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ বিদ্যুতায়িত ও উন্মুক্ত শৌচহীন রাজ্যে পরিনত হয়। তার আমলে সমস্ত বাড়িতে এলইডি বাল্বের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ফিলামেন্ট ফ্রী স্টেট কর্মসূচী নেওয়া হয়[২৬]
  • পিনারাই বিজয়ন কেরালা ব্যাংক[২৭] ও কেরল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস চালু করেন[২৮]
  • পিনারাই বিজয়ন কোচি - ম্যাঙ্গালোর প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপ লাইন ও গেইল পাইপ লাইনের কাজ শেষ করেন।
  • পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ইনডেক্স এর বিচারে পিনারাই বিজয়নের শাসনে কেরালা ভারতের সেরা পরিচা্লিত রাজ্য হিসাবে বিবেচিত হয়[২৯]
  • ২০১৭ সালে আঁখি ঘূর্ণিঝড়, ২০১৮ সালে কেরলে নিপা ভাইরাস আক্রমণ, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের কেরলের দু-দুটি বন্যা এবং ২০১৯ সালের করোনা মহামারি সফল ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্যে পিনারাই বিজয়ন ক্রাইসিস ম্যানেজার নামে পরিচিত[৩০]

বিতর্ক

কেরলের প্রথম রাজনৈতিক হত্যা মামলা, ১৯৬৯ সালের ভাডিক্কল রামকৃষ্ণন হত্যাকাণ্ডে পিনারাই বিজয়ন অভিযুক্ত ছিলেন। যদিও পিনারাই সহ বাকি সমস্ত অভিযুক্তই আদালত থেকে বেকসুর মুক্তি পান। কেরলের কান্নুর জেলায় সিপিএম - আরএসএস রাজনৈতিক হানাহানির নৃশংসতার উদাহরন দিতে গিয়ে অনেক বিরোধী রাজনিতিক এই ঘটনার কথা বলেন। এখনও পর্যন্ত দু-পক্ষের মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন নিহত হয়েছেন এই সিপিএম - আরএসএস রাজনৈতিক সংঘর্ষে।

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.