যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের,পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় । দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গণটি অবস্থিত। দ্বিতীয় নবনির্মিত শিক্ষাপ্রাঙ্গনটি চালু হয়েছে কলকাতার সল্টলেকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স ও সেন্ট্রাল গ্লাস অ্যান্ড সেরামিকস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর মতো অগ্রণী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত।
পূর্বনাম: কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি | |
লাতিন: Jadavpur University | |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ১৯০৬: জাতীয় শিক্ষা পর্ষদ ১৯৫৫': যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় |
আচার্য | পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল |
উপাচার্য | ভাস্কর গুপ্ত |
রেজিস্ট্রার | স্নেহমঞ্জু বসু[1] |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৯০২ [2] |
শিক্ষার্থী | ১৩,৫৭০[3] |
স্নাতক | ৮১৪৮[4] |
স্নাতকোত্তর | ৩১৩৪[5] |
২২৮৮[6] | |
ঠিকানা | ১৮৮, রাজা সুবোধ চন্দ্র মল্লিক রোড, যাদবপুর , , , ভারত - ৭০০০৩২ |
শিক্ষাঙ্গন | যাদবপুর (নগরাঞ্চলীয় ; ৫৮ একর) বিধাননগর (শহরতলীয়; ২৬ একর) |
অনুমোদন | |
সংক্ষিপ্ত নাম | যা.বি. (JU) |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
১৯০৫ সালে ব্রিটিশ ভারতে জাতীয় শিক্ষা পর্ষদ স্থাপিত হয়। ১৯১০ সালে, সোসাইটি ফর দ্য প্রোমোশন অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন বঙ্গে "বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট" প্রতিষ্ঠা করে। ১৯২০ সালে এটিকে "কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, বেঙ্গল" নামে নামকরণ করা হয়।[7]
স্বাধীনতার পর, ১৯৫৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভারত সরকারের সম্মতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে।
অবস্থান
মূল শিক্ষাঙ্গন
বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত এবং এর প্রধান ক্যাম্পাস পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা শহরে যাদবপুর এলাকায় ৬০ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এই ক্যাম্পাসে কারিগরি ও প্রযুক্তি শাখা, বিজ্ঞান ও কলা শাখার প্রধান বিভাগগুলি রয়েছে। মূল ক্যাম্পাসে ৭টি প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে: এইচএল রায় প্রেক্ষাগৃহ, ত্রিগুণা সেন প্রেক্ষাগৃহ, কে.পি. বসু মেমোরিয়াল হল, বিবেকানন্দ হল, অনিতা ব্যানার্জি মেমোরিয়াল হল এবং গান্ধী ভবন। ক্যাম্পাসে একটি ওপেন এয়ার থিয়েটারও রয়েছে যার বসার ক্ষমতা প্রায় ৩০০০।
৬ একর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ব্যাডমিন্টন কোর্ট, টেনিস কোর্ট, কাবাডি কোর্ট এবং ক্রিকেট ও ফুটবলের মতো অন্যান্য খেলার জন্য খেলার মাঠ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি ক্যান্টিন, গেস্ট হাউস, ক্যাফেটেরিয়া, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, জিমনেসিয়াম, পিডব্লিউডি সেন্টার এবং ব্যাংক, পোস্ট অফিস, বইয়ের দোকান ইত্যাদির মতো অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।
সল্ট লেক শিক্ষাঙ্গন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধাননগর সেক্টর-III-এ ২৬ একর এলাকায় একটি দ্বিতীয় ক্যাম্পাস রয়েছে। ক্যাম্পাসে নির্মাণ প্রকৌশল, ইন্সট্রুমেন্টেশন প্রকৌশল, মুদ্রণ কারিগরি, তথ্য ও প্রযুক্তি এবং শক্তি প্রকৌশল নামে ৫টি বিভাগ রয়েছে। ইউজিসি এর পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কার্যালয় এবং পারমাণবিক শক্তির জন্য ইন্টার-ইউনিভার্সিটি কনসোর্টিয়ামও এই ক্যাম্পাসে অবস্থিত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠ এই ক্যাম্পাসে অবস্থিত।
বিভাগ
অনুষদ | বিভাগ |
---|---|
কারিগরি ও প্রযুক্তি শাখা |
|
বিজ্ঞান শাখা |
|
কলা শাখা |
|
খ্যাতনামা শিক্ষক
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন -
- অমর্ত্য সেন (অর্থনীতি)
- বুদ্ধদেব বসু (তুলনামূলক সাহিত্য)
- অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত (তুলনামূলক সাহিত্য)
- শঙ্খ ঘোষ (বাংলা)
- নবনীতা দেবসেন (তুলনামূলক সাহিত্য)
- পরিতোষ সেন (চিত্র শিল্পি)
- মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (তুলনামূলক সাহিত্য)
- গোপালচন্দ্র সেন (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং)
- সুকুমারী ভট্টাচার্য (সংস্কৃত)
সমালোচনা ও বিতর্ক
এই প্রতিষ্ঠানটি ছাত্র রাজনীতির অন্যতম পীঠস্থান বলে গণ্য। বিভিন্ন সময় বাম ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন সংক্রান্ত নানা অসুবিধাকে কেন্দ্র করে, নানা সামাজিক ঘটনা নিয়ে।
বিষয়ভিত্তিক বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৪ সালে ভারতসেরার তকমা পেলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নানান কারণে ছাত্র আন্দোলন বা ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে হোক, বদনামও কম নেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের।[8] প্রধানত টানা ছাত্রআন্দোলনের জেরে, প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়। রাজ্য প্রশাসন, প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে শুরু করে ডোমিসাইল সিস্টেম চালু নিয়ে নানান বিতর্কের নজির রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি ছাত্রনির্বাচনের দাবিতে টানা আন্দোলন করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা, ঘেরাও হতে হয়েছে উপাচার্যকেও। আন্দোলন আর অচলাবস্থার পরেও রাজ্যের মেধাবী পড়ুয়ারা ভিন শহরের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিচ্ছেন। [9]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.