গেভিন কোর্টনি টঞ্জ (ইংরেজি: Gavin Tonge; জন্ম: ১৩ জানুয়ারি, ১৯৮৩) অ্যান্টিগুয়ায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...
গেভিন টঞ্জ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
গেভিন কোর্টনি টঞ্জ
জন্ম (1983-01-13) ১৩ জানুয়ারি ১৯৮৩ (বয়স ৪১)
অ্যান্টিগুয়া
উচ্চতা ফুট ৩ ইঞ্চি (১.৯১ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২৮৩)
১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৫১)
২৮ জুলাই ২০০৯ বনাম বাংলাদেশ
শেষ ওডিআই৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০২/০৩ -লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস
২০০৬ - ২০০৭/০৮অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুদা
২০১৩ - ২০১৪অ্যান্টিগুয়া হকসবিল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৮৭ ৬২
রানের সংখ্যা ২৫ ১০ ১,৭৯২ ৩৩৭
ব্যাটিং গড় ২৫.০০ ৫.০০ ১৪.১১ ১০.৮৭
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/৬ ০/০
সর্বোচ্চ রান ২৩* ৭৩ ২৮*
বল করেছে ১৬৮ ৩০০ ১২,১৩৯ ২,৮০৯
উইকেট ২৪৯ ৮৮
বোলিং গড় ১১৫.০০ ৪৪.৮০ ২৬.৭৮ ২৬.৬১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২৮ ৪/২৫ ৭/৫৮ ৪/২৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ০/– ২৯/– ১৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ আগস্ট ২০২০
বন্ধ

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে অ্যান্টিগুয়া, অ্যান্টিগুয়া হকসবিল, লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন গেভিন টঞ্জ

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

২০০০ সাল থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলতে থাকেন। ২০০২-০৩ মৌসুম থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গেভিন টঞ্জের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ফাস্ট বোলার গেভিন টঞ্জ ১৯ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলতে নামেন। তবে, ২০০৮-০৯ মৌসুমেই তার স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত হয়।

২০০২-০৩ মৌসুমে গেভিন টঞ্জের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে। ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ তারিখে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের পক্ষে প্রথম খেলায় অংশ নেন।[1] প্রথম পাঁচ মৌসুমে তার উইকেট সংগ্রহের হার এক অঙ্কের কোটায় অবস্থান করতো। কোন পাঁচ-উইকেট লাভের সন্ধান পাননি। তবে, ২০০৮-০৯ মৌসুমে ২৫.০৯ গড়ে ৪৪ উইকেট পান। তন্মধ্যে, চারবার ইনিংসে পাঁচ-উইকেট পেয়েছিলেন।[2] তার এ ক্রীড়াশৈলীর স্বীকৃতি প্রদানে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ অগ্রসর হয় ও তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একদিনের দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়।[3]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও পাঁচটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন গেভিন টঞ্জ। ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে পার্থে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, ২৮ জুলাই, ২০০৯ তারিখে রোজিওতে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে জোহেন্সবার্গে ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।

আর্থিক মতবিরোধের কারণে নিয়মিত খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওডিআই দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ সিরিজটি তার মোটেই সুখকর হয়নি। দুই খেলায় অংশ নিয়ে ১০৮ রান খরচ করে উইকেট শূন্য অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে, উভয় দলের মধ্যকার একমাত্র টি২০আইয়ে তুলনামূলক ভালো খেলা উপহার দিয়েছিলেন।

২০০৯ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে পাকিস্তানের কাছে দলের প্রথম পরাজয় প্রত্যক্ষ করেন। খেলায় তিনি নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৪/২৫ দাঁড় করিয়েছিলেন।[4]

ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এ পর্যায়ে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত ড্যারেন স্যামি’র স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.