ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল পূর্ব-নির্ধারিত সময়সূচী মোতাবেক জানুয়ারি থেকে এপ্রিল, ১৯৩০ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। এ সফরে দলটি চারটি টেস্ট স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়। সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। ইংল্যান্ডের পক্ষে ফ্রেডি ক্যালথর্প অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত প্রত্যেক মাঠে পৃথক পৃথক অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়েছিল।[1] এগুলোই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলা ছিল।

একই সময়ে হ্যারল্ড জিলিগানের নেতৃত্বাধীন অপর একটি ইংরেজ দল নিউজিল্যান্ড গমন করে। সেখানে সফরকারী দলটি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট সিরিজে অংশ নেয়।[2]

ইংল্যান্ড দল

বয়সের দিক দিয়ে ইংল্যান্ড দল সর্বাপেক্ষা সর্বকালের বয়ষ্ক টেস্ট দল হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছে। দলে সদস্যদের গড় বয়স ছিল প্রায় ৩৮ বছর।[3] সুপরিচিত প্রশাসক হ্যারি মলেট দলের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন।[4]

সংক্ষিপ্ত বিবরণী

প্রথম টেস্ট

১১-১৬ জানুয়ারি, ১৯৩০
(৫-দিনের খেলা)
স্কোরকার্ড
৩৬৯ (১১৪.১ ওভার)
সিএ রোচ ১২২
জিটিএস স্টিভেন্স ৫/১০৫ (২৭ ওভার)
৪৬৭ (১৫৩ ওভার)
এ স্যান্ডহাম ১৫২
এলএন কনস্ট্যান্টাইন ৩/১২১ (৩৯ ওভার)
৩৮৪ (১৫২.৪ ওভার)
জিএ হ্যাডলি ১৭৬
জিটিএস স্টিভেন্স ৫/৯০ (২৬.৪ ওভার)
১৬৭/৩ (৬৫ ওভার)
এ স্যান্ডহাম ৫১
এইচসি গ্রিফিথ ২/৩৭ (১৫ ওভার)
খেলা ড্র
কেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন, বার্বাডোস
আম্পায়ার: ডব্লিউ ব্যাডলি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও জে হার্ডস্টাফ (ইংল্যান্ড)

দ্বিতীয় টেস্ট

১-৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০
(৫-দিনের খেলা)
স্কোরকার্ড
২০৮ (৭২.১ ওভার)
ইএইচ হেনড্রেন ৭৭
এইচসি গ্রিফিথ ৫/৬৩ (২২ ওভার)
২৫৪ (৮৭.২ ওভার)
ইএসি হান্ট ৫৮
ডব্লিউই অ্যাসটিল ৪/৫৮ (২৪.২ ওভার)
৪২৫/৮ডি. (১২৫ ওভার)
ইএইচ হেনড্রেন ২০৫*
এলএন কনস্ট্যান্টাইন ৪/১৬৫ (৪০ ওভার)
২১২ (১১২.২ ওভার)
এফআই ডি কেয়ার্স ৪৫
ডব্লিউ ভোস ৭/৭০ (৩৭.২ ওভার)
ইংল্যান্ড ১৬৭ রানে বিজয়ী
কুইন্স পার্ক ওভাল, পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ
আম্পায়ার: কেএল গ্র্যান্ট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও জে হার্ডস্টাফ (ইংল্যান্ড)

তৃতীয় টেস্ট

২১-২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০
(৫-দিনের খেলা)
স্কোরকার্ড
৪৭১ (১৪৮ ওভার)
সিএ রোচ ২০৯
এলএফ টাউনসেন্ড ২/৪৮ (১৬ ওভার)
১৪৫ (৬১.৩ ওভার)
ইএইচ হেনড্রেন ৫৬
এলএন কনস্ট্যান্টাইন ৪/৩৫ (১৬.৩ ওভার)
২৯০ (১২৭.৩ ওভার)
জিএ হ্যাডলি ১১২
ডব্লিউই অ্যাসটিল ৪/৭০ (৪৩ ওভার)
৩২৭ (১৫৮.৫ ওভার)
ইএইচ হেনড্রেন ১২৩
এলএন কনস্ট্যান্টাইন ৫/৮৭ (৪০ ওভার)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৮৯ রানে বিজয়ী
বোর্দা, জর্জটাউন, ব্রিটিশ গায়ানা
আম্পায়ার: জে হার্ডস্টাফ (ইংল্যান্ড) ও আরডিআর হিল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জয়লাভ করে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্রামবার ছিল।
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সিইএল জোন্স ও ইংল্যান্ডের পক্ষে এলএফ টাউনসেন্ডের অভিষেক ঘটে।

চতুর্থ টেস্ট

৩-১২ এপ্রিল, ১৯৩০
(অসীম সময়ের খেলা)
স্কোরকার্ড
৮৪৯ (২৫৮.২ ওভার)
এ স্যান্ডহাম ৩২৫
ওসি স্কট ৫/২৬৬ (৮০.২ ওভার)
২৮৬ (১১১.৫ ওভার)
আরকে নুনেস ৬৬
এনই হেইগ ৩/৭৩ (৩০ ওভার)
ডব্লিউই অ্যাসটিল ৩/৭৩ (৩৩ ওভার)
২৭২/৯ডি. (৭৯.১ ওভার)
ইএইচ হেনড্রেন ৫৫
ওসি স্কট ৪/১০৮ (২৫ ওভার)
৪০৮/৫ (১৬৪.৩ ওভার)
জিএ হ্যাডলি ২২৩
আরইএস ওয়াট ২/৫৮ (২৪.৩ ওভার)
খেলা ড্র
সাবিনা পার্ক, কিংস্টন, জ্যামাইকা
আম্পায়ার: জে হার্ডস্টাফ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও ই নিবস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

  • ইংল্যান্ড টসে জয়লাভ করে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ৬ এপ্রিল বিশ্রামবার ছিল।
  • অষ্টম কিংবা নবম দিনে কোন খেলা হয়নি।
  • দেশে প্রত্যাবর্তনকল্পে জাহাজের প্রস্তুতি থাকায় নবম দিনে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।[5]
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সিসি পাসাইলাইগু, আইএম ব্যারো, ওসি দা কস্তাজিজি মোরাইজের একযোগে টেস্ট অভিষেক ঘটে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.