Loading AI tools
ভারতের রাজনৈতিক দল উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সংক্ষেপে সিপিআই(এম) হল ভারতের একটি কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯৬৪ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর কলকাতায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) সপ্তম কংগ্রেসে সিপিআই ভেঙে এই দল গঠিত হয়। ২০২৩ সালের পরিস্থিতি অনুসারে, সিপিআই(এম) কেবল কেরালা রাজ্যের শাসকদল। প্রধানত কেরল রাজ্যে অধিক শক্তিশালী হলেও একসময় পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় এই দল সরকার গঠন করেছিল। দলের দাবি অনুসারে, ২০১৩ সালে এই দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ১,০৬৫,৪০৬।[৬]
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) भारत की कम्युनिस्ट पार्टी (मार्क्सवादी) Communist Party of India (Marxist) | |
---|---|
মহাসচিব | সীতারাম ইয়েচুরি[১] |
লোকসভায় নেতা | পি. করুণাকরণ[২] |
রাজ্যসভায় নেতা | এলামরাম করিম[৩] |
প্রতিষ্ঠা | ১৭ ই অক্টোবর, ১৯২০ [৪] |
বিভক্তি | সিপিআই |
সদর দপ্তর | গোল মার্কেট, নতুন দিল্লি, ভারত |
ছাত্র শাখা | ভারতের ছাত্র ফেডারেশন |
যুব শাখা | ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন |
মহিলা শাখা | অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক উইমেন’স অ্যাসোসিয়েশন |
শ্রমিক শাখা | সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস |
কৃষক শাখা | সারা ভারত কৃষক সভা |
সদস্যপদ | ১,০৬৫,৪০৬ (২০১৩) |
রাজনৈতিক অবস্থান | বামপন্থী |
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তি | ইন্টারন্যাশনাল মিটিং অফ কমিউনিস্ট অ্যান্ড ওয়ার্কার্স’ পার্টিজ |
আনুষ্ঠানিক রঙ | Red |
স্বীকৃতি | জাতীয় দল[৫] |
জোট | বামফ্রন্ট |
লোকসভায় আসন | ৩ / ৫৪৫
|
রাজ্যসভায় আসন | ৯ / ২৪৫
|
-এ আসন | ৪৯ / ৬০ (ত্রিপুরা বিধানসভা (২০১৩))
৬২ / ১৪০ (কেরল বিধানসভা (২০২১))
১৭৪ / ২৯৪ (পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা (২০০৬))
২ / ২৩৪ (তামিলনাড়ু বিধানসভা (২০১১)
০ / ৮৭ (জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা (২০১৪))
০ / ১১৯ (তেলঙ্গানা বিধানসভা (২০১৪))
২ / ১৪৭ (ওড়িশা বিধানসভা (২০১৪))
১ / ২৮৮ (মহারাষ্ট্র বিধানসভা (২০১৪))
|
নির্বাচনী প্রতীক | |
ওয়েবসাইট | |
www | |
ভারতের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
সিপিআই(এম)-এর সাংগঠনিক ভিত্তি হল ভলাদিমির লেনিন কর্তৃক প্রবর্তিত গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদ। এই মতবাদ অনুসারে, দলের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ও মুক্ত আলোচনার পদ্ধতি স্বীকৃত। দলের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব পলিটব্যুরো।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) বিভাজনের পর "ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)"-র উদ্ভব হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বছরগুলিতে অবিভক্ত সিপিআই ছিল একাধিক গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী। তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরা ও কেরলে এই দল সশস্ত্র বিপ্লবে নেতৃত্বদান করে। যদিও পরবর্তীকালে সংসদীয় গণতন্ত্রে যোগ দিয়ে পার্টি পরিত্যাগ করে সশস্ত্র বিপ্লবের পন্থা। ১৯৫০ সালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক তথা দলের চরমপন্থী গোষ্ঠীর এক বিশিষ্ট প্রতিনিধি বি. টি. রণদিভে বাম-অ্যাডভেঞ্চারবাদের অভিযোগে পদচ্যুত হন।
ভারতের স্বাধীনতার পর জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার কৌশলগত কারণে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে। সোভিয়েত সরকারও চাইত ভারতীয় কমিউনিস্টরা ভারত রাষ্ট্রের সমালোচনার ব্যাপারে মধ্যপন্থা অবলম্বন করুক এবং কংগ্রেস সরকারের সহায়ক মনোভাবাপন্ন হোক। যদিও সিপিআই-এর একটি বিরাট অংশ দাবি করে যে ভারত একটি অর্ধ-সামন্ততান্ত্রিক দেশই রয়ে গেছে। আর তাই সোভিয়েত বাণিজ্য ও বিদেশনীতির খাতিরে শ্রেণি সংগ্রামের গুরুত্ব হ্রাস করা অনুচিত হবে। অধিকন্তু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ব্যাপারে তখনও প্রতিকূল মনোভাবাপন্নই রয়ে গিয়েছিল। ১৯৫৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের একমাত্র অ-কংগ্রেসি রাজ্য সরকার ই. এম. এস. নাম্বুদিরিপাদ ক্যাবিনেটকে বরখাস্ত করে কেরলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে।
একই সময়কালে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিএসইউ) ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হয়। ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিক থেকে সিপিসি অভিযোগ করতে থাকে যে সিপিএসইউ ক্রমশ সংশোধনবাদী হয়ে পড়ছে এবং মার্কসবাদ-লেনিনবাদের আদর্শ থেকে সরে আসছে। ইতোমধ্যে চীন-ভারত বৈদেশিক সম্পর্কেরও অবনতি ঘটে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের সূচনা হয়।
এই রাজনৈতিক দলের পক্ষে অনেক সাহিত্যিক লেখক নাট্যকার কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে সফদর হাশমি, উৎপল দত্ত, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ননী ভৌমিক অন্যতম। বর্তমান প্রজন্মের কবি ও লেখিকা মন্দাক্রান্তা সেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.