Loading AI tools
ভারতীয় রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পুচাপাল্লি সুন্দরাইয়া (পি. সুন্দরাইয়া, জন্ম- ১লা মে, ১৯১৩, মৃত্যু -১৯শে মে, ১৯৮৫) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও হায়দ্রাবাদ রাজ্যের তেলেঙ্গানা ক্রিশক বিদ্রোহের একজন নেতা। কমিউনিস্ট মতাদর্শ ও সাম্যের অধিকারে অনুপ্রানিত হয়ে উচ্চবর্ণের ধর্মীয় পরিচয় মুছে ফেলতে সুন্দরামি রেড্ডি থেকে তিনি তার নাম বদলে ফেলেন। তিনি 'কমরেড পি.এস.' নামেই সর্বজন পরিচিত ছিলেন[1]। তিনি হায়দ্রাবাদের নিজাম সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে তেলেঙ্গানা সশ্রস্ত্র সংগ্রামে সশরীরে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পি. সুন্দরাইয়া | |
---|---|
সাধারণ সম্পাদক, সিপিআইএম | |
কাজের মেয়াদ নভেম্বর ১৯৬৪ - এপ্রিল ১৯৭৬ | |
পূর্বসূরী | পদ প্রতিষ্ঠিত |
উত্তরসূরী | ই.এম.এস. নাম্বুদ্রিপাদ |
বিধায়ক, অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৮ - ১৯৮৩ | |
পূর্বসূরী | টি.এস. আনন্দ বাবু |
উত্তরসূরী | এম. রত্না বোস |
সংসদীয় এলাকা | গান্নাভারাম |
কাজের মেয়াদ ১৯৫৫ - ১৯৬৭ | |
পূর্বসূরী | আসন প্রতিষ্ঠিত |
উত্তরসূরী | ভি. সীতা রামাইয়া |
সংসদীয় এলাকা | গান্নাভারাম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১লা মে, ১৯১৩ নেল্লোর, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৯শে মার্চ, ১৯৯৮ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | লীলা |
পি. সুন্দরাইয়া একটি জমিদার পরিবারের সন্তান ছিলেন। ছয় বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে তিনি কলেজে ভর্তি হন কিন্তু মাত্র ১৭ বছর বয়সে গান্ধীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করার উদ্দেশ্যে কলেজ ছাড়েন। এই সময়টাতে তিনি গ্রেফতার হন এবং কয়েকজন কমিউনিস্ট এবং দলিত নেতার সংস্পর্শে আসেন।
আমির হায়দার খান তাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেন এবং কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হতে অনুরোধ করেন। এই সময়টাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন পার্টি তখন নিষিদ্ধ ছিল। এই সময়টাতে তিনি কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টির ই.এম.এস. নাম্বুদ্রিপাদ, সাজ্জাদ জাহির, সোলি বাটলিওয়ালাদের মতো নেতৃত্বের সাথে পরিচিত হন এবং ধীরে ধীর এই দলের সম্পাদকের পদে উন্নীত হন।
আমির হায়দার খান গ্রেফতার হবার পর দক্ষিণ ভারতে দলের প্রভাব বাড়ানোর জন্য দলের তরফ থেকে সুন্দরাইয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই সময় তিনি ই.এম.এস. নাম্বুদ্রিপাদ, পি. কৃষ্ণ পিল্লাইয়ের মতো নেতাদের কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি ছেড়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করার জন্য প্রভাবিত করেন। তিনি সর্বভারতীয় কৃষক সভার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪২ পর্যন্ত যখন পার্টি যখন নিষিদ্ধ ছিল, পি. সুন্দরাইয়া তখন আত্মগোপনে থাকতেন।
১৯৪৩ সালে কমিউনিস্ট পার্টির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে মুম্বই শহরে প্রথম পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পার্টি কংগ্রেসে সুন্দরাইয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। এই পার্টি কংগ্রেসে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ভারতে সশস্ত্র আন্দোলনের রাস্তা বেছে নেয় যা 'কলকাতা থিসিস' নামে পরিচিত। যার ফলে ত্রিপুরা , তেলেঙ্গানা , পশ্চিমবঙ্গ , ত্রিবাঙ্কুর সহ বিভিন্ন জায়গায় বিদ্রোহ শুরু হয়।
এই সমস্ত বিদ্রোহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল তেলেঙ্গানায় হায়দ্রাবাদের নিজামের বিরুদ্ধে আন্দোলন। পি. সুন্দরাইয়া এই আন্দোলনের একজন অন্যতম সংগঠক ছিলেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। ১৯৫২ সালে একটি বিশেষ পার্টি কংগ্রেসের মাধ্যমে পুনরায় তিনি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। তিনি দলের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ পলিটব্যুরোর সদস্য হন। বিজয়ওয়াড়া্য তৃতীয় ও পালক্কাড় চতুর্থ পার্টি কংগ্রেসে পি. সুন্দরাইয়া পুনরায় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৫২ সালে তিনি ভারতীয় আইনসভার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় ভারতের পার্লামেন্টে কমিউনিস্ট অংশের নেতা ছিলেন পি. সুন্দরাইয়া। তিনি এই সময়টাতে একটি সাইকেল চেপে পার্লামেন্টে যেতেন। তৎকালীন আইনসভার বেশির ভাগ সদস্য হয়তো জমিদার বংশ অথবা ধনী শ্রেণীর অন্তর্গত ছিলেন, তারা দামী গাড়িতে চেপে পার্লামেন্ট আসতেন[2]।
১৯৫৫ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য ছিলেন। তারপর কিছু বছরের বিরিতির পর সুন্দরাইয়া ১৯৭৮ সালের অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি বিধায়ক ছিলেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.