অসম গণ পরিষদ বা অগপ ভারতের অসম রাজ্যের একটি আঞ্চলিক দল। ১৯৮৫ সালে ঐতিহাসিক অসম শান্তিচুক্তির পর প্রফুল্ল কুমার মহন্ত দেশের কনিষ্ঠতম মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হলে অগপ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৫-১৯৮৯ ও ১৯৯৬-২০০১ সময়কালের মধ্যে দুইবার অগপ অসমে সরকার গঠন করে।
অসম গণ পৰিষদ (অসম গণ পরিষদ) | |
---|---|
সংক্ষেপে | অগপ |
নেতা | প্রফুল্ল কুমার মহন্ত |
সভাপতি | অতুল বরা |
মহাসচিব | রমেন্দ্র নারায়ণ কলিতা |
প্রতিষ্ঠাতা | প্রফুল্ল কুমার মহন্ত
ভৃগু কুমার ফুকন বিরাজ কুমার শর্মা |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৮৫ |
সদর দপ্তর | অগপ কমপ্লেক্স, গোপীনাথ বড়দলৈ রোড, আমবাড়ী, গুয়াহাটি - ৭৮১০০১ |
ছাত্র শাখা | অসম ছাত্র পরিষদ |
যুব শাখা | অসম যুব পরিষদ |
মহিলা শাখা | অসম মহিলা পরিষদ |
কৃষক শাখা | অসম কৃৃষক পরিষদ |
ভাবাদর্শ | আঞ্চলিকবাদ জাতিগত স্বাদেশিকতা |
রাজনৈতিক অবস্থান | কেন্দ্র-দক্ষিণ |
স্বীকৃতি | আঞ্চলিক দল[1] |
জোট | উত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোট (২০১৬-বর্তমান) জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (২০১৬-২০১৯), (২০১৯-বর্তমান) |
লোকসভায় আসন | ০ / ৫৪৩
|
রাজ্যসভায় আসন | ১ / ২৪৫
|
আসাম-এ আসন | ৯ / ১২৬
|
নির্বাচনী প্রতীক | |
হাতি | |
ভারতের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
২০০৫ সালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত দলত্যাগ করে অসম গণ পরিষদ (প্রগতিশীল) নামক নতুন দল গঠন করলে অগপ ভেঙে যায়। কিন্তু ২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর গোলাঘাটে দুই দলের পুনর্মিলন ঘটে।[2]
লোকসভায় অগপের কোন আসন না থাকলেও রাজ্যসভায় অগপ-র সদস্য সংখ্যা এক।
বর্তমানে এই দলটি উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক রাজনৈতিক জোটের অন্তর্গত, যা জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট-কে সমর্থন করা উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন দল নিয়ে গঠিত৷ আগত বিধানসভার নির্বাচনে এটি বিজেপি-র সাথে জোট গঠন করবে।[3]
ইতিহাস
বাংলাদেশ থেকে অবৈধ বিদেশীদের আসামে আসা থেকে আটকাতে সদৌ অসম ছাত্র সন্থা পরিচালিত ছয় বছর ব্যাপী আসাম চুক্তির ফলস্বরূপ অগপ বা আসাম গণ পরিষদ রাজনৈতিক দলটি গঠিত হয়৷[4] বহুবছর ধরে আসামের অসমীয়া নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে আসামে আসা অবৈধ ও অযাচিত অনুপ্রবেশকারীদের ক্রমাগত আগমনে আসামের জনতাত্ত্বিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মানচিত্র পরিবর্তন হবে বলে আশঙ্কা করেন৷
১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে আসু শান্তিপূর্ণভাবে আইন মেনে আসামে আগত বহিরাগতদের বৈধতা বিচার করে অবৈধদের নির্বাচনী তালিকা থেকে বাতিল করার দাবীতে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেন৷ আন্দোলনটি বেশ কিছুবছর ধরে চললেও ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে চুক্তিবদ্ধভাবে এবং আইনসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়৷
আসুর নেতৃৃত্বে আসামের আঞ্চলিক পরিষদগুলি, যেমন- অসম সাহিত্য সভা, অসম জাতীয়তাবাদী দল, পূর্বাঞ্চলীয় লোক পরিষদ, সদৌ আসাম কর্মচারী পরিষদ, অসম জাতীয়তাবাদী যুব-ছাত্র পরিষদ, অসম যুবক সমাজ, সদৌ আসাম কেন্দ্রীয় ও অর্ধকেন্দ্রীয় কর্মচারী পরিষদ প্রভৃতি থেকে প্রতিনিধিরা একত্র হয়ে সদৌ আসাম গণ সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে৷
নতুন দিল্লিতে এবাধিকবার কেন্দ্র-রাজ্য আলোচনা হয় এবং অবশেষে ১৫ই আগস্ট ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে সাক্ষী রেখে আসু এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে অসম চুক্তি সাক্ষরিত হয়৷ ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের পর সংঘটিত বৃৃহত্তম শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হিসাবে আসাম আন্দোলনের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে৷ কিন্তু এরই মধ্যে আসামে ঘটে যাওয়া নেলি হত্যাযজ্ঞটি ভারতে অতি বর্বরোচিত ঘটনাগুলির মধ্যে একটি৷
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.