আনোয়ার আল-আওলাকি ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত- ধর্মপ্রচারক । যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, আরব উপদ্বীপে আল কায়েদা গোষ্ঠীর (একিউএপি) সক্রিয় নেতা ছিলেন আওলাকি। ইয়েমেনের আল কায়েদা শাখার সঙ্গে তার যোগসাজশ ছিলো।[4] ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর থেকে আওলাকি ছিলেন আল কায়দার সবচাইতে সোচ্চার ও অন্যতম মুখ্য সদস্য।[5]
আনোয়ার আল-আওলাকি أنور العولقي | |
---|---|
জন্ম | আনোয়ার বিন নাসের বিন আব্দুল্লাহ আল-আওলাকি ২১ এপ্রিল ১৯৭১(UPI gives April 22) লাস ক্রুসেস, নিউমেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ৪০) | (বয়স
মৃত্যুর কারণ | ড্রোন হামলা |
নাগরিকত্ব | ইয়েমেন এবং মার্কিন (দ্বৈত) |
মাতৃশিক্ষায়তন | কলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় (B.S.) জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় (Ph.D., incomplete) |
পেশা | প্রভাষক, পূর্বে ইমাম ছিলেন। |
প্রতিষ্ঠান | আল-কায়েদা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা |
পরিচিতির কারণ | Alleged senior al-Qaeda recruiter and spokesman[2] |
সন্তান | 5[3] |
পিতা-মাতা | নাসের আল-আওলাকি (পিতা) |
জন্ম
আওলাকির জন্ম ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউমেক্সিকো রাজ্যে। তার মা-বাবা ইয়েমেনী তাই তিনি ছিলেন ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত। তিনি ইংরেজি ও আরবী ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।[5][6]
প্রাথমিক জীবন
ইয়েমেনে স্কুলজীবন শেষ করে আওলাকি কলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।[6] তিনি পশ্চিম উপকূলে সান দিয়েগোর এক মসজিদ যেখানে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলায় জড়িত ২ ব্যক্তি প্রায়ই যাতায়াত করতো সেই মসজিদসহ, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মসজিদে ইমামতি করেন এবং পরে ইয়েমেনে যাতায়াত শুরু করেন।[5]
জঙ্গি কার্যক্রম
২০০৬ সালে ইয়েমেনের এক ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানকে অপহরণের অভিযোগে আওলাকিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আল-কায়েদার তহবিল সংগ্রহের জন্যই তিনি ওই অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে কথিত আছে। ২০০৭ সালে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর ইয়েমেনে পালিয়ে থেকে আল-কায়েদাকে সংগঠিত করছিলেন আওলাকি।[6] তিনি মার্কিন হয়েও, আমেরিকার জোর সমালোচক হয়ে ওঠেন এবং ইন্টারনেটে বিপুল সাড়া জাগিয়ে বহু অনুসারীর সৃষ্টি করেন যার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ইসলাম মতাদর্শীরা তার প্রচার শুনতো। আমেরিকা ও ইয়েমেন, বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলায় তার কথিত ভূমিকার জন্য তার অনুসন্ধান চালায় । ইয়েমনী কর্তৃপক্ষ ২০১০ সালে ইয়েমেনে একজন ফরাসী তেল শিল্প কর্মীকে হত্যার ঘটনার জন্য তার বিরুদ্ধে ‘বিদেশীদের বিরুদ্ধে হানাহানিতে ইন্ধন যোগানোর’ অভিযোগ করে।[5]
মৃত্যু
পূর্ব ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে খাশিফ শহর থেকে পাঁচ মাইল দূরে মার্কিন ড্রোন হামলায় কয়েকজন সঙ্গী এবং তিনজন শিশুসহ আওলাকি নিহত হয়।[7]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
আরও পড়ুন
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.