আবু আল-আসার হাফিজ জলন্ধরি (উর্দু: ابو الاثر حفیظ جالندھری) (১৪ জানুয়ারি ১৯০০ - ২১ ডিসেম্বর ১৯৮২) ছিলেন পাকিস্তানি উর্দু কবি। তিনি পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা।[1] সংক্ষেপে তিনি হাফিজ জলন্ধরি নামে পরিচিত। পাকিস্তানের ডাক বিভাগ তার সম্মানে প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকেটে এই নাম ব্যবহার করেছে।[2]
আবু আল-আসার হাফিজ জলন্ধরি حفیظ جالندھری | |
---|---|
জন্ম | জলন্ধর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত | ১৪ জানুয়ারি ১৯০০
মৃত্যু | ২১ ডিসেম্বর ১৯৮২ ৮২) (৮২ বছর) লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান | (বয়স
ছদ্মনাম | আবু আল-আসারr |
পেশা | উর্দু কবি |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৮২) ব্রিটিশ ভারত ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯০০-১৯৪৭) |
ধরন | গজল ও নজম |
বিষয় | পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ |
সাহিত্য আন্দোলন | পাকিস্তান আন্দোলন |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা শাহনামা-এ-ইসলাম কাশ্মিরের প্রশস্তি |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | প্রাইড অফ পারফরম্যান্স (১৯৫৮) হিলাল-এ-ইমতিয়াজ |
দাম্পত্যসঙ্গী | জিনাত বেগম খুরশিদ বেগম |
আত্মীয় | শামসউদ্দিন (বাবা) |
প্রারম্ভিক জীবন
হাফিজ জলন্ধরি ১৯০০ সালের ১৪ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শামসউদ্দিন ছিলেন কুরআনের হাফেজ। জলন্ধরি প্রথমে মসজিদের মক্তবে পড়াশোনা করেছেন। পরে তিনি স্থানীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি মাত্র সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করেছেন।
সাহিত্য জীবন
১৯২২ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত হাফিজ জলন্ধরি কয়েকটি মাসিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ননেহাল, হাজার দাস্তান, তেহজিব-এ-নিশওয়ান এবং মাখজিন। ১৯৩৫ সালে তার প্রথম কবিতা সঙ্কলন প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি সঙ্গীত প্রচারণা বিভাগের পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এসময় তিনি লেখা গান জনপ্রিয়তা পায়।[3]
হাফিজ জলন্ধরি পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। এসময় তার রচনাসমূহ জনগণকে উদ্দীপিত করেছে। ১৯৪৮ সালে তিনি কাশ্মিরের স্বাধীনতার জন্য গঠিত বাহিনীতে যোগ দেন এবং আহত হন। তিনি কাশ্মিরি সঙ্গীত "ওয়াতান হামারা আজাদ কাশ্মির" রচনা করেছেন। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তিনি অনেক দেশপ্রেমমূলক গান রচনা করেছেন।[4]
তিনি রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের উপদেষ্টা নিয়োগ পান। পরবর্তীতে পাকিস্তানের লেখক সংঘের পরিচালক হন।[4]
জলন্ধরির রচিত শাহনামা-এ-ইসলাম তাকে ব্যাপক খ্যাতি এনে দেয়। এটি ফেরদৌসির শাহনামা মহাকাব্যের আদলে রচিত যাতে ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস কাব্য আকারে বর্ণিত হয়েছে। তিনি পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা।
মৃত্যু
হাফিজ জলন্ধরি ১৯৮২ সালের ২১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের লাহোরে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে লাহোরের মডেল টাউনে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে লাহোরের মিনার-এ-পাকিস্তানের নিকটে নির্মিত সমাধিতে তার দেহাবশেষ স্থানান্তর করা হয়।
পুরস্কার ও সম্মাননা
- সাহিত্য ও দেশপ্রেমমূলক কর্মের জন্য হাফিজ জলন্ধরি রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে হিলাল-ই-ইমতিয়াজ খেতাব লাভ করেছিলেন।[2]
- ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পুরস্কার প্রদান করেন পদার্থবিজ্ঞান এ উলেখ্যযোগ্য অবদান এর জন্য।[2]
সাহিত্যকর্ম
কওমি তারানা: পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত
হাফিজ জলন্ধরি ১৯৫২ সালে কওমি তারানা রচনা করেছেন। এটি পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত। এই সঙ্গীতের জন্য তিনি অধিক খ্যাত।
শাহনামা-এ-ইসলাম
তার রচিত শাহনামা-এ-ইসলাম তাকে ব্যাপক খ্যাতি এনে দেয়। এতে ফেরদৌসির শাহনামার আদলে ইসলামের ইতিহাসের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.