হিলফুল ফুজুল
সপ্তম শতকের সংঘ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হিলফুল ফুজুল (আরবি: حلف الفضول) ছিল একটি সামাজিক সংঘ। এর শাব্দিক অর্থ হলো "শান্তি " বা "কল্যাণের শপথ" (হলফ অর্থ শপথ এবং ফুযুল বা ফযিলত মানে মঙ্গল)। এটি জিলকদ মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭ বছর বয়সে এই সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন মুহাম্মাদ। এটি পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম শান্তি সংঘ।[১] এই সংঘ পবিত্র মক্কায় প্রতিষ্ঠিত হয়। মুহাম্মাদ ইসলাম পূর্বযুগে এই সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের কাজ ছিল পীড়িতদের সাহায্যদান, দুস্থদের আশ্রয়দান এবং অসহায়দের সহায়তা করা। বিদেশি ব্যবসায়ীদের জান মালের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয়া ইত্যাদি। এ সংগঠনের প্রভাবে মক্কা অনেক বিপর্যয় থেকে রেহাই পায়। কাবা ঘরের কালোপাথর পুনঃস্থাপনেও এই সংঘটি ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া হিলফুল ফুজুল মক্কাবাসীদের অনেক বিপর্যয় ঝামেলা ইত্যাদি আরো নানা সমস্যা থেকে সমগ্র মক্কাবাসীকে রক্ষা করেছিল।
ইতিহাস
কুরাইশ জাতি নিজেদের মধ্যে নানা ঝামেলায় জড়িয়েছিল। এক অমীমাংসিত খুনের মামলায় যুদ্ধ অবধি বেধে যায়। যা ফিজার যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধ ৫ বছর অব্যাহত ছিল অনেক কুরাইশ নেতা সিরিয়া ও আবিসিনিয়ায় চলে যান, যেখানে তারা শান্তি পাবেন। এইসব জায়গায় শক্ত আইন বলবৎ থাকলেও আরবে ছিল না।[২]
ফিজর যুদ্ধের পরিণতি হিসাবে কুরাইশরা বুঝতে পারে, মক্কা শহরের অবনতি নিজেদের মধ্যকার ঝামেলার ফল। ইয়েমেনের যাবিদ শহরের এক বণিক শাম এলাকার কিছু ব্যক্তিকে কিছু দ্রব্য বিক্রি করে প্রতারিত হয়ে কুরাইশদের দ্বারস্থ হন।[২] এই সব ঘটনার জেরে আব্দুল্লাহ ইবন জা'দানের ঘরে সভা বসে।[৩] এর বক্তব্য ছিল
- মুল্যবোধের ন্যায়কে সম্মান দেওয়া।
- গৃহবিবাদ বন্ধ করা।
- যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে বিরত থাকা।
- সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা
এই সভাকে সফল করার জন্য কিছু ব্যক্তি কাবা ঘরে মিলিত হন। কাবাঘরের কালো পাথরে জল ঢেলে তা পান করেন। এই চুক্তিকে কাবাঘরের ভেতরে রাখা ছিল। প্রত্যেকে মাথার উপর নিজের ডান হাত রাখেন।[২] তারা বিশ্বাস করতেন আল্লাহ তাদের সহায়।[৪] এই ব্যক্তিদের মধ্যে মুহাম্মাদও ছিলেন।[৫] আবু বকর সিদ্দিককেও এই চুক্তির অন্যতম অংশগ্রহণকারী মনে করা হয়।[৫][৬][৭]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.