উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হিরোশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল (広島県? হিরোশিমা কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউগোকু অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী হিরোশিমা নগর।[২]
হিরোশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল 広島県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 広島県 |
• রোমাজি | Hiroshima-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | চুউগোকু |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | হিরোশিমা |
আয়তন | |
• মোট | ৮,৪৭৬.৯৫ বর্গকিমি (৩,২৭২.৯৭ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ১১শ |
জনসংখ্যা (১লা মার্চ ২০১১) | |
• মোট | ২৮,৫৭,৯৯০ |
• ক্রম | ১২শ |
• জনঘনত্ব | ৩৩৭.১৫/বর্গকিমি (৮৭৩.২/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-34 |
জেলা | ৫ |
পৌরসভা | ২৩ |
গাছ | জাপানি ম্যাপ্ল (এসার পামেটাম) |
পাখি | লালগলা ডাইভার (গেভিয়া স্টেলাটা) |
ওয়েবসাইট | pref.hiroshima.lg.jp |
হিরোশিমা ও তার সন্নিহিত অঞ্চলগুলি মেইজি পুনর্গঠনের আগে অবধি বিঙ্গো প্রদেশ ও আকি প্রদেশে বিভক্ত ছিল।[৩] জাপানের নথিভুক্ত ইতিহাসের প্রাচীনতম পর্ব থেকেই এখানে বাণিজ্য ও সংস্কৃতির চর্চার নিদর্শন পাওয়া যায়। হিরোশিমা চুউগোকু অঞ্চলের ঐতিহ্যগত কেন্দ্র ও সেকিগাহারার যুদ্ধের আগে অবধি এখানে মোরি পরিবারের কর্তৃত্ব বজায় ছিল।
হিরোশিমায় দুটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে:
হিরোশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল চুউগোকু অঞ্চলের মধ্যভাগে অবস্থিত। এর অধিকাংশে প্রসারিত রয়েছে শিমানে প্রশাসনিক অঞ্চল অভিমুখী পর্বতমালা; মধ্যে মধ্যে রয়েছে এই সমস্ত পর্বতে উৎপন্ন নদীর পলিগঠিত সমভূমি, যা উপকূলভাগ অবধি বিস্তৃত।
সেতো অন্তর্দেশীয় সাগরের অপর পাড়ে রয়েছে শিকোকু দ্বীপ। হিরোশিমা উপসাগরকে সেতো অন্তর্দেশীয় সাগরের প্রবেশদ্বার বলা যায়।[৪] এছাড়া হিরোশিমা প্রশাসনিক অঞ্চলের শাসনাধীনে আছে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ।
নিকটবর্তী পর্বত ও শিকোকু দ্বীপ দ্বারা হিরোশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল ঘেরা বলে এর জলবায়ু মৃদু প্রকৃতির।
২০১৪ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী হিরোশিমার ৪ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং এই অনুপাত জাপানের সমস্ত প্রশাসনিক অঞ্চলের মধ্যে নিম্নতম। এর মধ্যে আছে সেতোনাইকাই জাতীয় উদ্যান; হিবা-দোওগো-তাইশাকু ও নিশি-চুউগোকু সাঞ্চি উপ-জাতীয় উদ্যান এবং ছয়টি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৫]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা প্রশাসনিক অঞ্চলে জাপানি সেনা ও নৌবাহিনীর অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ কারখানা ছিল। এগুলির মধ্যে কুরের নৌ-অস্ত্রভাণ্ডার ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। যুদ্ধের পর থেকে স্থানীয় কারিগর ও প্রকৌশলীরা এই প্রযুক্তিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করে আসছেন এবং এই কারখানাগুলি বর্তমানে বর্ধিষ্ণু। হিরোশিমার ভারী শিল্পের মধ্যে মোটরগাড়ি নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণ, লৌহ-ইস্পাত শিল্প উল্লেখযোগ্য। এখানে সেতোউচি শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে। অবশ্য হেইসেই যুগের গোড়ায় অর্থাৎ ১৯৯০ এর দশক নাগাদ জাপানের বুদ্বুদ অর্থনীতি ধসে যাওয়ার সময় ভারী শিল্পের ক্ষতি হয়।
২০০৪ খ্রিঃ অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন হলে এবং বিশেষত চীন থেকে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে আবার হিরোশিমার শিল্প লাভজনক হয়ে ওঠে ও দশ বছর পর পশ্চিম জাপানে আবার ফুকুওকাকে পিছনে ফেলে হিরোশিমার অর্থনীতি এগিয়ে যায়।
হিরোশিমা প্রশাসনিক অঞ্চলে বহুসংখ্যক জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এদের মধ্যে আছে মিসেন পর্বত, হিরোশিমা ও ফুকুয়্যামা দুর্গ, মিতাকি, সেঙ্কোও-জি, জোদো-জি ও সাইকোকু-জি মন্দির। পূর্বোক্ত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানদুটি বিখ্যাত।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.