উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শিমানে প্রশাসনিক অঞ্চল (島根県? শিমানে কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউগোকু অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী মাৎসুয়ে নগর।[২]
শিমানে প্রশাসনিক অঞ্চল 島根県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 島根県 |
• রোমাজি | Shimane-ken |
![]() | |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | চুউগোকু |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | মাৎসুয়ে |
আয়তন | |
• মোট | ৬,৭০৭.৯৫ বর্গকিমি (২,৫৮৯.৯৫ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ১৮শ |
জনসংখ্যা (১লা সেপ্টেম্বর ২০১৬) | |
• মোট | ৬,৮৯,৯৬৩ |
• ক্রম | ৪৬ তম |
• জনঘনত্ব | ১০২.৮৫/বর্গকিমি (২৬৬.৪/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-32 |
জেলা | ৫ |
পৌরসভা | ১৯ |
ফুল | মৌতান (পিওনিয়া সাফ্রুটিকোসা) |
গাছ | জাপানি কালো পাইন (পাইনাস থান্বার্জিয়াই) |
পাখি | হুপার রাজহাঁস (সিগ্নাস সিগ্নাস) |
মাছ | উড়ুক্কু মাছ |
ওয়েবসাইট | www1 |
বর্তমান শিমানে প্রশাসনিক অঞ্চল ভূতপূর্ব ইওয়ামি, ইযুমো ও ওকি প্রদেশে বিভক্ত ছিল।[৩] নারা যুগে এখানে গভর্নর হয়ে আসা কাকিনোমোতো নো হিতোমারো শিমানে অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপর একটি কবিতা রচনা করেন।[৪]
কামাকুরা যুগে কামাকুরা শোগুনতন্ত্র সম্রাট গোতোবা ও গো-দাইগোকে ওকিতে নির্বাসনে পাঠায়। সম্রাট গো-দাইগো ওকি থেকে পালিয়ে সমর্থন গড়ে তুলে কেন্মু পুনর্গঠনে বৃত হন।[৫]
ইওয়ামি গিন্যান রৌপ্যখনি সেন্গোকু যুগে আমাগো ও মাৎসুদা পরিবারের মালিকানাধীন অঞ্চলের মাঝখানে পড়ে যায়, ফলে এই খনিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘকাল দুই পরিবারের সংগ্রাম চলে। ১৫৬৬ খ্রিঃ মোরি মোতোনারি ইযুমো, ইওয়ামি ও ওকি – তিন প্রদেশই জয় করে নেন। ১৬০০ খ্রিঃ সেকিগাহারার যুদ্ধে মোরি পরিবারের পরাজয়ের পর হোরিও য়োশিহারু এই অঞ্চলের শাসনকর্তা হয়ে ওঠেন। তার আমলে মাৎসুয়ে দুর্গ নির্মাণ আরম্ভ হয় এবং এই কাজ তার মৃত্যুর পর শেষ হয়। হোরিও পরিবারের কোনও উত্তরাধিকারী না থাকায় ১৬৩৮ খ্রিঃ তোকুগাওয়া ইয়েআসুর নাতি মাৎসুদাইরা নাওমাসা এখানকার শাসনভার পান। হান্ ব্যবস্থার শেষ অবধি অর্থাৎ মেইজি পুনর্গঠনের আগে অবধি এই ব্যবস্থা বজায় ছিল।[৬]
১৮৭১ খ্রিঃ হান্ ব্যবস্থার লোপের সময় পূর্বতন শিমানে ও হামাদা প্রদেশ নিয়ে শিমানে প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয়। সীমানার একাধিক পুনর্বিন্যাসের পর ১৮৮১ খ্রিঃ শিমানে তার বর্তমান চেহারা পায়।
শিমানে প্রশাসনিক অঞ্চল জাপান সাগরের উপকূলে অবস্থিত। এটি তোত্তোরির পরেই জাপানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন জনসংখ্যার প্রশাসনিক অঞ্চল। শিমানের আকার সংকীর্ণ; পূর্ব পশ্চিমে এর বিস্তৃতি উত্তর-দক্ষিণের চেয়ে অনেক বেশি। উত্তরে জাপান সাগরের উপকূল ও দক্ষিণে তার সমান্তরাল চুউগোকু পর্বতমালা এই প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রাকৃতিক সীমা। ওকি অঞ্চলটি এর উপকূল থেকে কিছু দূরে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত কতকগুলি দ্বীপের সমষ্টি। অধিকাংশ নগর উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত। ইযুমো নগর সন্নিহিত সমভূমিতে অধিকাংশ কৃষিকাজ হয়। এই নগরের ইযুমো তাইশা জাপানের অন্যতম প্রাচীনতম শিন্তো তীর্থ।
শিমানের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিরূপ হল শিমানে উপদ্বীপ, যা তোত্তোরির সীমানায় অবস্থান করছে। এই উপদ্বীপের মধ্যে শিঞ্জি ও নাকাউমি নামে দুটি লবণাক্ত জলের হ্রদ আছে। এছাড়া ওকি দ্বীপটির পুরোটাই দাইসেন-ওকি জাতীয় উদ্যান। জাপান নিকটবর্তী দক্ষিণ কোরিয়া শাসিত লিয়াঙ্কোর্ট রক্সকেও শিমানে প্রশাসনিক অঞ্চলের অংশ বলে দাবি করে।
২০১২ এর ১লা এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী শিমানের মোট ভূমির ৬ শতাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে পূর্বোক্ত দাইসেন-ওকি জাতীয় উদ্যান; হিবা-দোওগো-তাইশাকু ও নিশি-চুউগোকু সাঞ্চি উপ-জাতীয় উদ্যান এবং এগারোটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৭]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.