Loading AI tools
ঢাকার জাদুঘর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
স্বাধীনতা জাদুঘর বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত একটি জাদুঘর যা দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস চিত্রিত করে। জাদুঘরটি ঢাকার ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত। মুঘল শাসনামল থেকে শুরু করে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বিজয় দিবস পর্যন্ত দীর্ঘ সংগ্রাম-ইতিহাসের সচিত্র বর্ণনা প্রদর্শন করছে জাদুঘরটি। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৭ মার্চ তার ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন এবং এখানেই একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। স্বাধীনতা জাদুঘর বাংলাদেশের ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ২৫ মার্চে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।[1] স্বাধীনতা জাদুঘর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর এখতিয়ারে একটি শাখা জাদুঘর হিসাবে পরিচালিত।
স্থাপিত | ২৫ মার্চ ২০১৫ |
---|---|
অবস্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
ধরন | জাতীয় ইতিহাস জাদুঘর |
সংগ্রহ |
|
প্রতিষ্ঠাতা | বাংলাদেশ সরকার |
মালিক | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |
স্বাধীনতা জাদুঘরটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মিত একটি বৃহৎ পরিকল্পিত নকশার অংশ। এই নকশায় রয়েছে একটি অ্যাম্ফিথিয়েটার, তিনটি জলাধার, শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা সংগ্রামের চিত্রবিশিষ্ট একটি ম্যুরাল এবং ১৫৫ আসন বিশিষ্ট একটি অডিটোরিয়াম। তবে পুরো নকশাটির প্রধান বিষয় হল একটি ৫০ মিটার বিশিষ্ট আলোক স্তম্ভ, যা স্বাধীনতা স্তম্ভ নামে পরিচিত। স্তম্ভটি কাচের প্যানেল দ্বারা নির্মিত। জাদুঘরটি এই স্তম্ভের নিচে অবস্থিত। পুরো জাদুঘরটি ভূগর্ভস্থ। এটিই বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ভূগর্ভস্থ জাদুঘর। জাদুঘরটির প্লাজাটি ৫৬৬৯ বর্গমিটার বিশিষ্ট টাইল দ্বারা আবৃত স্থান। জাদুঘরের মাঝখানে রয়েছে একটি ঝর্ণা, যাতে উপর থেকে পানি পরে। বাংলাদেশী স্থপতি কাশেফ মাহবুব চৌধুরী এবং মেরিনা তাবাসসুম ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে একটি জাতীয় স্থাপত্যিক নকশা প্রতিযোগিতা জয়ের মাধ্যমে এই প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়নের সুযোগ লাভ করেন। ৬৭ একরজুড়ে বিস্তৃত পুরো প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা।[2]
জাদুঘরটিতে ১৪৪টি কাচের প্যানেলে ৩০০-এরও বেশি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। টেরাকোটা, ঐতিহাসিক আলোকচিত্র, যুদ্ধের ঘটনা সংবলিত সংবাদপত্রের প্রতিবেদনও প্রদর্শিত হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন বিদেশী পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিলিপি এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিদেশে প্রচারণা সৃষ্টিতে তৈরিকৃত বিভিন্ন পোস্টারও জাদুঘরটিত প্রদর্শনীতে রয়েছে। বাংলাদেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এবং স্থাপনার চিত্রও রয়েছে এখানে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে যে টেবিলে তৎকালী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্ব জোনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি আত্মসমর্পণ করে স্বাক্ষর করেন, তার একটি অনুলিপি রয়েছে জাদুঘরটিতে। তবে মূল টেবিলটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে রয়েছে।[3]
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৫টি ফটক দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ স্বাধীনতা জাদুঘরে যাওয়া যায়। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের নিকটবর্তী ফটক এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বিপরীতে অবস্থিত ফটক দিয়ে সহজে প্রবেশ করা যায়। এর শীতকালীন সময়সূচী প্রতি শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা এবং গ্রীষ্মকালীন সময়সূচী প্রতি শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা। শুক্রবার বিকেল আড়াইটা থেকে স্বাধীনতা জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। প্রবেশ মূল্য ২০টাকা (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) ও ১০ টাকা (শিশু-কিশোরদের জন্য)। বিদেশীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা; তবে সার্কভুক্ত দেশের দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.