বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সৈয়দ জাহাঙ্গীর (জন্ম: ১৯৩৫ খ্রিঃ) বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা চিত্রকর।[1] শিল্পকলায় উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৮৫ একুশে পদকে ভূষিত করে। জাতীয় চিত্রশালা, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ ব্যাংক, বেঙ্গল ফাউণ্ডেশন, বাংলাদেশ বিমান, রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো, জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি স্থানে তার চিত্রকর্ম প্রদর্শিত অবস্থায় আছে।[2]
সৈয়দ জাহাঙ্গীর ১৯৩৫ সালে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
সৈয়দ জাহাঙ্গীর জন্মগ্রহণ করেছেন গ্রামে। কিন্তু বড় হয়েছেন শহরে। তাই তার সৃষ্টিকর্মের বেশিরভাগ ই গ্রাম এবং গ্রামের প্রকৃতিকে নিয়ে। ১৯৫০-এর দশক থেকে একাধারে কাজ করেছেন বেশ। নানা চিত্রকর্মের মধ্যে ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সালের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে করা কাজ আত্মার উজ্জীবন উল্লেখযোগ্য।
প্রায় ২২ বছর পেশাদার চিত্রকর হিসেবে কাজ করার পরে তিনি ১৯৭৭ সালে শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পকলা বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। সৈয়দ জাহাঙ্গীর শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন এবং শিল্পকলা একাডেমীতে চারুকলা বিভাগ চালু করেন। এ ছাড়াও চাকরি জীবনের তার অন্যতম কৃতিত্ব দ্বিবার্ষিক এশীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীর প্রবর্তন।
ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের প্রধান শাখায় তার বিশালাকার একটি ম্যূরাল রয়েছে যেটির আয়তন ৮ ফুট × ৩৮ ফুট; এটি সিরামিক টাইলস দিয়ে করা।
সৈয়দ জাহাঙ্গীর ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত্ব একুশে পদকে লাভ করেন। ১৯৯২ এ চারুশিল্পী সংসদ তাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। ২০০০-এ তিনি মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার এবং ২০০৫-এ লাভ করেন শশীভূষণ সম্মাননা। ২০১০-এ বার্জার পেইণ্টস তার আজীবনকাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে।[2] এছাড়াও তিনি হামিদুর রহমান পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।[4]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.