Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আধুনিক জনপ্রিয় কল্পকাহিনীতে সুপারহিরো (মাঝেমধ্যে লেখা হয় “সুপার-হিরো” বা “সুপার হিরো” হিসাবে) হচ্ছে এক ধরনের পোশাকপরা বীরত্বপূর্ণ চরিত্র যে অতিপ্রাকৃত বা অতিমানবীয় শক্তি ধারণ করে রাখে এবং যে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করে, জনগণকে রক্ষা করে এবং সাধারণত সুপারভিলেনের সাথে লড়াই করে। একজন নারী সুপারহিরোকে একজন সুপারহিরোইন (একেও লেখা হয় “সুপার-হিরোইন” বা “সুপার হিরোইন” হিসাবে) নামেও ডাকা হয়। কল্পকাহিনী এমন চরিত্রকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কমিক্স বইগুলোতে ১৯৩০ এর দশক থেকে যেটি “সুপারহিরো ফিকশন” নামে পরিচিত।
বেশিরভাগ সংজ্ঞায়, চরিত্রগুলোর আসলে কোন অতিপ্রাকৃত বা অতিমানবিক শক্তি বা ঘটনার দরকার হয় না সুপারহিরো হতে।[১][২][৩] যেখানে অভিধানিক অর্থে সুপারহিরো হচ্ছে একটি প্রতীক বিশেষ করে কমিক বা কার্টুনের মধ্যে, অন্বিত করা হয় অতিমানবীয় শক্তি দ্বারা এবং সাধারণত চিত্রিত করা হয় খারপ দুষ্টু বা অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করছে,[৪] দীর্ঘকালস্থায়ী মরিয়ম-ওয়েভস্টার অভিধান সংজ্ঞা প্রধান করে-“ একজন কাল্পনিক হিরো যার অসাধারণ বা অতিমানবীয় শক্তি আছে এছাড়াও বিশেষভাবে অভিজ্ঞ বা সফল ব্যক্তি।”[৫] পরিভাষা হিসাবে যেমন অপরাধী বিরুদ্ধে লড়াইকারী মুখোশধারী বা মুখোশধারী পাহারাদারকারী ব্যক্তি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় চরিত্রগুলোকে বর্ণনা করতে যেমন “দা স্পিরিট”কে কখনো সুপারহিরো হিসাবে বর্ণনা করা হয় না।
কিছু সুপারহিরো তাদের শক্তি ব্যবহার করে প্রতিদিনের অপরাধসমূহ দমন করে এছাড়াও মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ সুপারভিলেনদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, যারা তাদের অপরাধীর প্রতিরূপ। মাঝেমধ্যে এদের মধ্যে একজন সুপারভিলেন হয়ে উঠবে সুপারহিরোর প্রধান শত্রু। দীর্ঘদিন ধরে চলা সুপারহিরো যেমন সুপারম্যান, ব্যাটম্যান, ক্যাপ্টেন আমেরিকা আয়রন ম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান এবং স্পাইডার-ম্যান এর একটি দুর্বৃত্তদের সংক্রমণিকা আছে অসংখ্য ভিলেনের।
সুপারহিরো শব্দটি তারিখ নির্দেশ করে ১৯১৭ এ।[৬] পূর্ববর্তি আদিরুপের মধ্যে পড়ে লোকজগাঁতা এর হিরো রবিন হুড যে দুঃসাহসিক অভিযান করত আলাদা বৈশিষ্ঠপূর্ণ পোশাকে।[৭] ১৯০৩ এর নাটক “দা স্কারলেট পিম্পারনেল” যেটি জনপ্রিয়তা এনে দেয় মুখোশধারী যোদ্ধার এবং পরিচয় গোপন রেখে চলা সুপারহিরোর।[৭] এর কিছুদিন পরেই মুখোশধারী এবং ভিন্ন পোশাকধারী চরিত্রদের আবির্ভাব ঘটে কথা-সাহিত্যে যেমন জরো (১৯১৯) বা দা শ্যাডো (১৯৩০) এবং কমিক্স হিরোদের যেমন দা ফ্যানথম (১৯৩৬) আবির্ভাব শুরু হয়, এছাড়াও সাধারণ পোশাকের হিরো যারা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন যেমন পাতরুজু (১৯২৮), পপাই (১৯২৯) এবং লেখক ফিলিপ ওয়াইল এর নায়ক হুগো ড্যানার (১৯৩০)।[৮]
১৯৩০ দশকের প্রবণতা শুরু হয় গোড়ার দিককার অতিশক্তিশালী পোশাকধারী হিরো যেমন জাপানের অজোন ব্যাট[৯][১০] (দৃষ্টিগোচর করে প্যানেলে আঁকা ব্যবহৃত হয় কামিশিবাই জাপানের গল্পকথক দ্বারা ১৯৩১ সাল থেকে), মান্দ্রাকে দা ম্যাজিশিয়ান[১১][১২][১৩] (১৯৩৪), ১৯৩৮ সালে ডিসির সুপারম্যান এবং ১৯৩৯ সালে ডিসির ক্যাপ্টেন মার্বেল প্রকাশ পেয়ে কমিক্স বইয়ে সোনালী দিনের যাত্রা শুরু করে।
১৯৪০ এর দশকে অসংখ্য সুপারহিরো ছিল এবং এদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন নারী ছিল। দা ফ্ল্যাশ, গ্রীন ল্যান্টার্ন এবং ব্লু বীটল এর যাত্রা শুরু হয় এই যুগে। এই যুগ দেখে প্রথম নারী সুপারহিরো লেখক-শিল্পী ফ্লেচার হ্যাংকস এর চরিত্র ফ্যান্তোমাহ, একজন বয়সহীন মিশরী নারী আধুনিক দিনে যে পরিবর্তিত হতে পারে খুলিপূর্ণ মুখের জীবে সাথে দুষ্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করার উচ্চশক্তি, সে ফিকশন হাউজের “জঙ্গল কমিক্স #২” এ প্রথম আবির্ভাবিত হয় ১৯৪০ এর ফেব্রুয়ারিতে, ছদ্মনামে লেখার স্বীকৃত দেয়া হয় “ব্রাসলি ফ্লাগ”কে।[১৪][১৫] “দা ইনভিসবল স্কার্লেট অ’নেইল” একটি আলাদা পোশাকবিহীন চরিত্র যে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং যুদ্ধের সময় অন্তর্ঘাত করে অদৃশ্য হওয়ার উচ্চশক্তি দ্বারা যেটি তৈরি করেন রাসেল স্টাম যার আবির্ভাব হয় সিন্ডিকেট পত্রিকার কমিক ফালাতে কয়েক মাস পরেই জুন ৩, ১৯৪০ সালে।[১৬]
একটি অতিবক্ষমতাশালী চরিত্র চিত্রিত করা হয়েছিল খলনায়িকা হিসাবে, সেসময় অনুযায়ী যা ছিল বিরলঃ দা ব্লাক উইডো, যে শয়তানের চরদের পোশাক পড়ে এবং খারাপলোকদের হত্যা করে যাতে তারা নরখে যায়,- এর আবির্ভাব হয়েছিল আগস্ট ১৯৪০ এর মিস্টিক কমিক্স #৪ এ, তৈরি করেছিল টাইমলি কমিক্স, যেটি ১৯৪০ দশকের বর্তমান মার্বেল কমিক্সের পূর্বপুরুষ। অন্যান্য নারী অপরাধ-বিরোধীরা সেসময় উচ্চক্ষমতার ঘাটতি ছিল। প্রসিদ্ধ চরিত্রগুলোর মধ্যে ছিল দা উম্যান ইন রেড[১৭][১৮] যেটি পরিচয় করে দিয়েছিল স্ট্যান্ডার্ড কমিকস থ্রিলিং কমিকস #২ (মার্চ ১৯৪০); লেডি লাক, রবিবারের পত্রিকায় দা স্পিরিট অনুচ্ছেদে আবির্ভাব ঘটে জুন ২ ১৯৪০ থেকে, হাস্যরসাত্নক চরিত্র রেড টর্নাডো, আবির্ভাব ঘটে অল-আমেরিকান কমিক্স #২০ (নভেম্বর ১৯৪০), মিস ফিউরি[১৯] আবির্ভাব ঘটে কমিক কলামে একজন নারী কার্টুনিস্ট ট্রাপি মিলস দ্বারা এপ্রিল ৬, ১৯৪১ এ, দা ফ্যান্টম ল্যাডি পরিচয় করিয়ে দেয় কোয়ালিটি কমিক্স পুলিশ কমিক্স #১ (আগস্ট ১৯৪১), দা ব্লাক ক্যাট[২০][২১] পরিচয় করিয়ে দেয় হার্ভে কমিক্স পকেট কমিক্স#১ (আগস্ট ১৯৪১); এবং ব্লাক ক্যানারি পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় ফ্ল্যাশ কমিক্স #৮৬ (আগস্ট ১৯৪৭) এ একজন পার্শ্ব চরিত্রে।[২২] সবচেয়ে অসাধারণ কমিক বইয়ের সুপারহিরোইন যার আবির্ভাব স্বর্ণ যোগে হয়েছিল সেটি হচ্ছে “ওয়ান্ডার ওম্যান”।[২৩] গ্রীক পুরাণের অ্যামাজন্স থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চরিত্রটি তৈরি করেন মনোবিজ্ঞানী উইলিয়াম মাউল্টেন মার্টসন, তাকে সাহায্য ও অনুপ্রাণিত করেন তার স্ত্রী এলিজাবেথ এবং উভয়ের বন্ধু অলিভ বাইরণ।[২৪][২৫] ওয়ান্ডার ওম্যান এর প্রথম আগমণ ঘটে অল স্টার কমিকস #৮ (ডিসেম্বর ১৯৪১) এ প্রকাশ করে অল-আমেরিকান পাবলিকেশন, দুইটি প্রতিষ্ঠানের একটি যেটি পরবর্তিতে ডিসি কমিক্সের সাথে যুক্ত হয় ১৯৪৪ সালে।
১৯৫২ সালে, অসামো টেযুকার মাঙ্গা “টেটসোয়ান এটম” (পাশ্চাত্যে যেটি ‘এস্ট্রো বয়’ নামে জনপ্রিয়) প্রকাশ পায়। সিরিজটি কেন্দ্রীভূত করে একটি রোবট বালক যেটি একজন বিজ্ঞানী তৈরি করেন তার মৃত বালকের জায়গা পূরণ করতে। একটি অসম্পূর্ণ রোবট থেকে তৈরি করা হয়েছিল যেটি মূলত সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল এস্ট্রো বয় অসাধারণ ক্ষমতা ধারণ করে যেমন তার পায়ে রকেট ইঞ্জিনের দ্বারা সে উড়তে পারে এবং তার দেহে অবিশ্বাস্য যান্ত্রিক শক্তি রয়েছে।
১৯৫০ দশক কমিক্সের রুপালী যোগ দেখেছে। সেই যুগে ডিসি পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল ব্যাটওম্যান ১৯৫৬ সালে, সুপারগার্ল, মিস এরোওয়েত্তে এবং ব্যাটগার্ল; সকল সুপারহিরোর নারী শিক্ষাদীক্ষিক। ১৯৫৮ দেখেছে জাপানী টেলিভিশনে সুপারহিরো মুনলাইট মাস্ক এর আবির্ভাব।
১৯৬০ দশকের প্রথম দিকের মার্বেল কমিক্স দল প্রতীকস্বরূপ একজন (এবং একমাত্র) নারী সদস্য যুক্ত করে, অনেকটা ডিসির সুপারহিরো দল জাস্টিস লীগ অব আমেরিকা (যাতে নারী প্রধান চরিত্র ছিল ওয়ান্ডার ওম্যান) অনুকরণে, উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ফ্যান্টাসটিক ফোরের ইনভিসিবল গার্ল, এক্স-ম্যান এর জিন গ্রে (আসলভাবে মার্বেল গার্ল নামে পরিচিত), এভেঞ্জারের ওয়াসপ এবং ব্রাদারহুড মিউট্যান্ট এর স্কার্লেট উইচ (যে পরবর্তিতে এভেঞ্জারে যুক্ত হয়)। ১৯৬৩ সালে এস্ট্রো বয় ধার নেয়া হয় একটি সম্পূর্ণভাবে অনুপ্রাণিত আনিমে টেলিভিশন সিরিজে। ১৯৬৪ সালে ফ্যান্টম এজেন্টস যেগুলো নিঞ্জাদের কেন্দ্রীভূত করে তৈরি করা হয় যারা জাপানের সরকারের হয়ে কাজ করে এবং পরবর্তিতে সেন্টাই ধরনের সিরিজের ভিত্তি হয়। ১৯৬৬ সাল আবির্ভাব দেখে ভৌতিক-বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী সিরিজ আল্ট্রা কিউ যেটি তৈরি করেছিলেন ইজি সুভুরায়া যেটি পরবর্তিতে আল্ট্রাম্যান সিকুয়েল এর পথপদর্শন করে, সৃষ্টি করে একটি সফল ফ্রাঞ্চাইজের যেটি দৃষ্টি দেয় বিশাল হিরোর দকে যেখানে সুপারহিরো হবে কাইজো এর মত দানব আকৃতির যার সাথে তারা লড়াই করেছিল।
১৯৭২ সালে দ্য সাইন্স নিঞ্জা টিম গেচম্যান'' আনেমি এর আবির্ভাব হয়, যেটি তৈরি হয়েছিল সুপারহিরো দলের সরসরি-আক্রমণাত্নক ধর্মী সিরিজ ফ্যান্টম এজেন্টস এর ধারণা থেকে, যেটি পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল বিভিন্ন বর্ণের দলের সদ্যসের এবং তাদেরকে বিশেষ প্রকার গাড়ীর সাথে, বলা হয়ে থাকে যে গাড়ীগুলো একসাথে করে আরো বিশাল একটি গাড়ি সৃষ্টি করা যাবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আবির্ভাব হয়েছিল তা হচ্ছে গ ণাগাইর ম্যাগাজিন জেড, যেটি সুপার রোবট ধরন তৈরি করে। ১৯৭৩ সালে মাঙ্গা কিউটি হানিও লিখেছিলেন গ ণাগাই, যদিও ম্যাজিকাল গার্ল এর ধরন আগে থেকেই ছিল, ণাগাইর মাঙ্গা পরিচয় করিয়ে দেয় ক্রমান্বয়িক পরিবর্তন ধরনের সাথে যেটি পরবর্তিতে ম্যাজিকাল গার্ল মিডিয়া লেগে থাকে।
১৯৭০ দশকে অসংখ্য নায়কের বিপরীতে কাজ করা চরিত্রের সাথে পরিচয় ঘটে সুপারহিরো ফিকশনে যেমন যার আবির্ভাব গুলোর মধ্যে পড়ে ১৯৭০ সালে শটারো ইশনিমরির স্কাল ম্যান, ১৯৭২ সালে গ ণাগাইর ডেভিলম্যান, ১৯৭৪ সালে জন রমিটার পানিশার।
অন্ধকার স্কাল ম্যান মাঙ্গা পরবর্তিতে টেলিভিশনের জন্য ধার নেয়া হয় এবং অসংখ্য পরিবর্তন হয়।ঘাসফড়িং এর মত করে নায়ককে সাজানো হয়, এবং যেটি হয়ে উঠে কামেন রাইডারের অতি পরিচিত মুখোশধারী হিরো। কামেন রাইডার হচ্ছে মটোরসাইকেলে চড়া হিরো যারা পোকার মত দেখতে পোশাক পরিধান করে, যে চিৎকার করে পরিবর্তিত হতে পারে এবং অতিমানবীয় শক্তি লাভ করে।
১৯৬০ দশকের নারীবাদের ধারণার দ্বিতীয় স্রোত ১৯৭০ দশক পর্যন্ত ছড়ায়, যা কমিক বইয়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে এবং তারা তাদের নারী চরিত্রগুলোর প্রচারণা করতে শুরু করে, ওয়ান্ডার ওম্যান পুনরায় সাজানো হয় মার্শাল-আর্টিস্ট হিসাবে এবং এমা পিলের ব্রিটিশ টেলিভিশন সিরিজ দা এভেঞ্জারস (একই নামে অন্য সুপারহিরো টিমের সাথে এর কোন সংযোগ নেই) এর চরিত্রগুলো থেকে সরাসরি অনুপ্রাণিত হয়ে,[২৬] কিন্তু পরবর্তিতে মার্টসনের প্রধান ধারণায় পুনরায় ফিরিয়ে নেয়া হয় মিস ম্যাগাজিনে তার আগের পোশাক ছাড়া লোকসম্মুক্ষে সম্মতি না পাওয়ায়;[২৭]সুপারগার্লকে স্থানান্তর করা হয় দ্বিতীয়ধর্মী ফিচার একশন কমিক্স থেকে এডবেঞ্চার কমিক্সের শিরোনামে ১৯৬৯ সালে; লেডি লিবারেটরর আবির্ভাব ঘটে দা এবেঞ্জারস এর মধ্যে যেখানে একটি সুপারহিরোইনের দল নেতৃত্ব দেয় ভালকেরি (প্রকৃতপক্ষে একজন সুপারভিলেন) এবং যেটি মূলত নকশা করা হয়েছিল নারীবাদীদের ব্যাঙ্গাতে।[২৮] এবং অফুরন্ত ক্ষমতা দ্বারা জীন গ্রে মার্বেল কমিক্সের কসমিক এনটিটির অবিচ্ছেদ অংশ হয়ে পড়েন যেটি ফনিক্স ফোর্স নামে পরিচিত ছিল ১৯৭০ দশকের শেষের দিকে, যেখানে এক যুগ আগে দলের সবচেয়ে দূর্বল সদস্য হিসাবে দেখা হত।
উভয় বড় বড় প্রকাশনীগুলো পরিচয় করিয়ে দিতে থাকে নতুন নতুন সুপারহিরোইনদের তাদের গল্প বা চরিত্র উন্নয়নের অংশ হিসাবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় বিগ বার্দা, পাওয়ার গার্ল এবং ডিসি কমিক্সের দা হান্ট্রেস আর মার্বেলে থেকে ব্লাক উইডো, সান্না দা শি-ডেভিল এবং টাইগ্রা দা ক্যাট।[২৯] নারী পার্শ্ব চরিত্রগুলো বাণিজ্যিকভাবে সফল বা তারা ক্ষমতায় তাদের স্থান দখল করে রাখে ১৯৫০ দশক থেকে বিভিন্ন জনপ্রিয় সুপারহিরো ভূমিকার সাথেঃ হাল জর্ডানের প্রেমিকা ক্যারল ফেরিসকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় ফেরিস এয়ারক্রাফটের সহ-সভাপতি হিসাবে এবং পরবর্তিতে সে তার পিতার কাছে থেকে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতা দখল করে, মেডুসা যাকে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় ফ্যান্টাসটিক ফোর সিরিজের মধ্যে এবং যে ইনহিউম্যান্স রাজকীয় পরিবারের একজন সদস্য এবং বিখ্যাত হয় তার জনগণের প্রথার সমাজে; এবং ক্যারল ড্যানভারস যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তা যে পরবর্তিতে কয়েক বছর পর একজন সুপারহিরো হয়। ১৯৭৫ সালে সুথারো ইশিনোমরির হিমিচু সেন্থাই গ্রেঙ্গার এর আবির্ভাব হয় টিভি আশাইয়ে যেটি ধারণা দেয় বিভিন্ন বর্ণের দলের এবং সহকারী যানের যেটি গ্যাচম্যানে আবির্ভাব হয়েছিল। ১৯৭৮ সাকে টোয়ি ধার নেয় স্পাইডার-ম্যানকে একটি সরাসরি-আক্রমণাত্নক সিরিজের জন্য। যার মধ্যে স্পাইডার-ম্যানের একটি গাড়ী ছিল মার্ভেলার নামে যেটি পরিবর্তিত হতে পারে বড় এবং শক্তিশালী রোবটে যাকে লিওপার্ডন নামে ডাকা হত, একই ধারণা বাহিত হয় টোয়ির ব্যাটল ফিভার জেতে এবং এখন বিভিন্ন বর্ণের দলের শুধুমাত্র গাড়ী নয় বিশাল রোবটও রয়েছে যারা দানবদের সাথে লড়াই করতে সহযোগীতা করে।
পরবর্তি যুগগুলোতে, জনপ্রিয় চরিত্র যেমন ডেজলার, শি-হাল্ক, ইলেক্ট্রা, ক্যাটওম্যান, উইচব্লেইড, স্পাইডার-গার্ল, ব্যাটগার্ল, বার্ডস অব প্রে দীর্ঘদিন ধরে চলা ভূমিকায় তারকা হয়ে উঠে। নারী চরিত্রগুলো বিভিন্ন সুপারহিরোদলের নেতৃত্ব পেতে থাকে; “আঞ্চেনি এক্স-ম্যান” সিরিজ এবং এর সাথের বিভিন্ন সিরিজগুলোতে অনেকগুলো নারী চরিত্র বিভিন্ন ভূমিকায় যুক্ত করা হয় ১৯৭০ দশক থেকে।[৩০] এক্স-ম্যান এর ভলিউম ৪ এর মধ্যে সকল নারী চরিত্রের দল নিয়ে প্রতিষ্ঠা করে “মার্ভেল নাও!” এর একটি অংশ হিসাবে যার প্রারম্ভ হয় ২০১৩ সালে।[৩১] অতিক্ষমতাশালী নারী চরিত্র যেমন বাফি দা ভেম্পায়ার স্লেয়ার[৩২] এবং ডার্না[৩৩][৩৪] একটি বিশাল প্রভাব ফেলে তাদের নিজেদের জায়গায়।
আরো এবং আরো আনেমি, মাঙ্গা এবং তকুসাথো অনুবাদ কিংবা ধার নেয়া হতে থাকে, পাশ্চ্যাত্যের দর্শকরা অভিজ্ঞতা নিতে থাকেন আগের চেয়ে বেশিভাবে জাপানী ধরনের সুপাহিরো কল্পকাহিনীর সাথে। সাবানের মাইটি মরপিন পাওয়ার রেঞ্জার যেটি ধার নেয়া হয়েছিল যিউরেঞ্জার, থেকে একটি মাল্টিমিডিয়া ফ্রাঞ্চাইজের তৈরি হয় যেটি সুপার সেনটাই এর চিত্র ব্যবহার করেছিল।[৩৫] আন্তর্জাতিক মাঙ্গা বা জাপানী কমিক বই চরিত্র সেইলর মুন পরিচিতি পায় এখন পর্যন্ত তৈরি হওয়া একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ নারী সুপারহিরো হিসাবে। যদিও সরাসরি সুপারহিরো নয় কিন্তু সুপার মারিও সিরিজের মারিওকে সাধারণত সুপারহিরোদের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।[৩৬][৩৭][৩৮][৩৯][৪০]
অনেক সুপারহিরো চরিত্রের নিম্নে উল্লেখিত বৈশিষ্ঠগুলো প্রদর্শন করেঃ
বেশিরভাগ সুপারহিরোই একা কাজ করে। কিন্তু কিছু সুপারহিরো আছে যারা দলগতভাবে কাজ করে যেমন ফ্যান্টাসটিক ফোর, ডিএনএজেন্টস, এবং দা এক্স-ম্যান, একটি সাধারণ গল্প থাকে এবং সাধারণত দলগতভাবে কাজ করে। কিছু পরিবার আছে যেখানে পিতা-মাতা এবং তাদের সন্তানদের অতিমানবীয় ক্ষমতা থাকে যেমন দা ইনক্রেডিভলস। অন্যান্য উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ডিসি কমিকস এর জাস্টিস লীগ, এবং মার্ভেল এর এভেঞ্জারস, যেখানে সবাই তারকা হিরো এবং তাদের সবার নিজস্ব আলাদা গল্প আছে এবং প্রত্যেকে একা কাজ করে কিন্তু বড় ধরনের হুমকি মোকাবেলা সবাই একসাথে মিলে দলীয়ভাবে করে। নিয়মিত সুপারহিরোর গল্প বা পরিবেশ ভাগ করে দল তৈরি করে নেয়া বা সমন্বয় করা ডিসি, মার্ভেল এবং অন্যন্য প্রকাশনীরা করে থাকে। কিছু সুপারহিরো বিশেষ করে যাদেরকে ১৯৪০ এর দশকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছিল তারা একজন সহকারীর সাথে কাজ করে (যেমন ব্যাটম্যান এবং রবিন, ক্যাপ্টেন আমেরিকা এবং বাকি)। এটি কম গৃহীত হতে থাকে কারণ এটি চরিত্রগুলো শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল যার ফলে জ্যৈষ্ঠ পাঠকরা একে অপ্রাকৃতভাবে দেখেন। সহকারী চরিত্র বা সাইডকিককে সুপারহিরোর আলদা শ্রেণীতে ফেলা হয়।
যদিও সুপারহিরো গল্প তুলনা করা হয় কল্পকাহিনী/রোমাঞ্চ গল্প হিসাবে, এটি বিভিন্ন ধরনকেই অতিক্রম করে। কিছু সুপারহিরো গল্প হচ্ছে অপরাধ-ধর্মী (যেমন ব্যাটম্যান, স্পাইডার ম্যান), ভৌতিক (যেমন হেলবয়, স্পেকটার), বিভ্রম কাহিনী (যেমন ওয়াচম্যান,[৪১] মার্ভেলম্যান/মিরাকল ম্যান) এবং বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী (যেমন গ্রীন ল্যান্টার্ন। গার্ডিয়ান অব দা গ্যালাক্সি)। অনেক প্রাথমিক সময়ের সুপারহিরো যেমন স্যান্ডম্যান এবং দা ক্লককে তাদের পূর্বসুরীরা পাল্প ফিকশন পর্যন্ত গভীর করেছেন।
তাদের নিজস্ব আলাদা কল্পকাহিনী জগৎ এর মধ্যে, সুপারহিরো সম্পর্কে সাধারণ জনগণের সাড়া ভিন্ন ভিন্ন। কিছু, যেমন সুপারম্যান এবং ফ্যান্টাসটিক ফোর তাদেরকে দেখা হয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসাবে এবং মাঝেমধ্যে তারকা হিসাবে দেখা হয়। অন্যান্য চরিত্র যেমন হাল্ক, স্পাইডার-ম্যান এবং ওয়াচম্যানের চরিত্রসমূহ নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় কাজ করে এবং সরাসরি তাদের বিরোধিতা করে। অন্যান্যরা যেমন এক্স-ম্যান এবং ডুম পেট্রোল জনসাধারণকে রক্ষা করে এবং প্রায় সবাই তাদের ভুল বুঝে এবং ঘৃণা করে।
একটি সুপারহিরোর পোশাক সহয়তা করে সুপারহিরোকে সাধারণ জনগণের দ্বারা চিনতে। পোশাকগুলো মাঝেমধ্যে চোখ ধাঁধানো হয় এবং এটি চরিত্রের নাম ও ধরন সম্পর্কে ধারণা দেয়। উদাহরণস্বরূপ ডেয়ারডেভিল একটি লাল অপদেবতার ন্যায়, ক্যাপ্টেন আমেরিকার পোশাক আমেরিকার পতকার ন্যায়, ব্যাটম্যানের পোশাক একটি বিশাল বাদুড়ের ন্যায়, স্পাইডার-ম্যানের পোশাক মাকড়শার জালের চিত্র বিশিষ্ট।সুপারহিরোর মুখোশ পড়া (শুধুমাত্র চোখ দুটো দৃশ্যমান) এবং আঁটসাট পোশাক পড়ার প্রচলন শুরু হয় লি ফাল্কের কমিক দা ফ্যান্টম থেকে। সুপারহিরোদের পোশাকের অনেক ধরন ঘন ঘন আবৃত্ত হয় নিম্নোল্লিখিত ধরন দ্বারাঃ
অনেক সুপারহিরো (এবং সুপারভিলেন) একটি প্রধান কেন্দ্রস্থান বা ঘাঁটি থেকে কার্য পরিচালনা করে। এগুলো প্রায়ই সাজানো হয় উন্নত প্রযুক্তি, এবং/বা ভীনগ্রহের প্রযুক্তিতে। এগুলো ছদ্মাবারণ করা হয় এবং গোপন জায়গায় তৈরি করা হয় যাতে শত্রু বা সাধারণ মানুষ যাতে চিনতে না পারে (উদাহরণস্বরূপ সুপারম্যানের নির্জন দূর্গ বা ব্যাটম্যানের ব্যাটকেইভ)। কিছু ঘাঁটি যেমন বাক্সটার বিল্ডিং বা হল অব জাস্টিস সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অবগত আছে (যদিও এর সঠিক ঠিকানা গোপন রাখা হয়)। যে সকল সুপারহিরো এবং ভিলেনের কোন স্থায়ী কেন্দ্রস্থান থাকে না তাদের কার্য পরিচালনার জন্য পরিবর্তনশীল ঘাঁটি থাকে। যেসকল হিরো বা ভিলেনদের গোপন ঘাঁটি থাকে সেগুলোতে নিম্নোলিখিত সকল কাজ (শুধুমাত্র উল্লেখিত কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়) সম্পাদন করা হয়ঃ
বেশিরভাগ অভিধানের সংজ্ঞা[৬][৪২] এবং শব্দটির ব্যবহার হচ্ছে জাতিবাচক এবং কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানসমূহের চরিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তা সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্রে শব্দটির পরিবর্তিত রূপ “সুপার হিরো” এর মালিকানা দাবি করছে যৌথভাবে ডিসি কমিক্স এবং মার্বেল কমিক্স ট্রেডমার্ক হিসাবে। ১৯৬০ দশক থেকে “সুপার হিরো” নিবন্ধন প্রতিপালন করে আসছে ডিসি এবং মার্বেল,[৪৩] যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেডমার্ক ক্রমিক নং ৭২২৪৩২২৫ এবং ৭৩২২২০৭৮। ২০০৯ সালে “সুপার হিরোস” শব্দটি নিবন্ধিত করা হয় মুদ্রণের জন্য স্বাধীন “বর্ণনামূলকভাবে” যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেডমার্কে সহ-মালিকানাধীন ডিসি এবং মার্বেল দ্বারা।[৪৪]
সমালোচক এবং আইনি সম্প্রদায় বিতর্কে জড়ান যে “সুপার হিরো” চিহ্ন আইনি মানদন্ডের সাথে মিশবে কিনা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেডমার্ক রক্ষায় একটি নির্দিষ্ট উৎসের সেবা বা পণ্যের স্বাতন্ত্র্যসূচক নামে। বিতর্ক থেকে থাকে প্রতিটি উপাদানের মানদন্ডেঃ “সুপার হিরো” বর্ণনামূলকের চেয়ে স্বাতন্ত্র্যমূলক কিনা, “সুপার হিরো” উপাদানের বা সেবার একটি উৎসের মনোনীত কিনা, এবং ডিসি এবং মার্বেল যৌথভাবে একটি উৎস প্রতিনিধিত্ব করে কিনা।[৪৫] কিছু সমালোচোক মনে করেন যে এটি ট্রেডমার্ক আইনের অপব্যবহার শীতল প্রতিযোগিতায়।[৪৬]
১৯৩০ এর দশকে সুপারহিরোর চরিত্রগুলো প্রধানত বর্ণনা করা হত শ্বেত বর্ণের আমেরিকান মধ্য বা উচ্চবিত্তের তরুণ যুবক যে লম্বা, পালোয়ান, শিক্ষিত, শারীরিকভাবে আকর্ষনীয় এবং স্বাস্থ্যের দিক থেকে যথাযথ। ১৯৬০ দশকে নাগরিক অধিকার আন্দোলন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে, এবং যেটি রাজনৈতিক শুদ্ধি সম্পর্কে চিন্তা বাড়িয়ে তুলে ১৯৮০ দশকে, সুপারহিরো কাহিনী তখন দৃষ্টি দিতে থাকে সাংস্কৃতিক, জাতিগত, জাতীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি। এটি শুরু হয় ১৯৬০ দশকের কৃষ্ণবর্ণের সুপারহিরো এর মাধ্যমে এবং যেটি অনুসরণ করা হয় ১৯৭০ এর দশকে কিছু অন্যান্য জাতির সুপারহিরো তৈরির মাধ্যমে।[৪৭] রাজনৈতিক সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ১৯৮০ এর দশক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে পড়ে। ১৯৯০ দশকে এটি আরো উদ্দীপিত হয় প্রথম সমাকামী সুপারহিরো আবির্ভাব এর মাধ্যমে।
১৯৬৬ সালে মার্ভেল কমিক্স পরিচয় করিয়ে দেয় ব্লাক প্যান্থার এর সাথে, একজন আফ্রিকান সম্রাট যে হয়ে উঠে প্রথম কৃষ্ণবর্ণের সুপারহিরো।[৪৮] প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান সুপারহিরো ১৯৬৯ সালে অনুসৃত হয়। এবং তিন বছর পর লুইক কেইজ একজন স্বখ্যাত প্রথম সুপারহিরো যে তার নিজস্ব গল্পে তারকা হয়। ১৯৮৯ সালে মনিকা রাম্বিয়াও, ক্যাপ্টেন মার্বেল হচ্ছে প্রথম কৃষ্ণবর্ণের নারী সুপারহিরো বড় ধরনের কোন প্রকাশনী থেকে। ১৯৭১ সালে রেড ওলফ হচ্ছে প্রথম জন্মগত আমেরিকান যে সুপারহিরো প্রথায় একটি সিরিজ শিরোনাম করে।[৪৯] ১৯৭৩ সালে সাং-চি হচ্ছে প্রথম এশীয় সুপারহিরো যে যুক্তরাষ্ট্রের বই কাটোতে তারকায়িত হয়।[৫০] কিটি প্রাইডে, এক্স-ম্যানের একজন সদস্য যে প্রকাশ্যভাবে একজন ইহুদী সুপারহিরো ১৯৭৮ সালের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণীর কমিক বইয়ে দেখা যায়।[৫১]
কমিক-বই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রথম দিকের সাংস্কৃতিক সম্প্রসারণ এবং বেশিরভাগ চরিত্রগুলোই একটি নির্দিষ্ট বাঁধাধরার মধ্যে ছিল; কেইজ এবং তার সমসাময়িক লোক কিছু ভাষার চাকরি দেন যেটি চলচ্চিত্রে কৃষ্ণবর্ণের লোক শোষণের মত, জন্মগত যুক্তরাষ্ট্রীয়কে মিলিত করা হত ওঝা এবং হিংস্র প্রাণী হিসাবে এবং এশীয়-যুক্তরাষ্ট্রীয়কে চিত্রিত করা হত চীনা মার্শাল আর্টিস্ট হিসাবে। পরবর্তী সংখ্যালঘু সুপারহিরো যেমন এক্স-ম্যানের স্ট্রম এবং টিন টাইটানের সাইবর্গ এইসকল রীতি এড়িয়ে গেছে; তারা উভয়েই দলের অবিচ্ছেদ অংশ হয়ে পড়ে পরবর্তী বছর সমূহে। এক্স-ম্যানে ১৯৭৫ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে চরিত্র এনে দল তৈরি করা হয় যার মধ্যে কেনিয়ার স্টর্ম, জার্মান নাইটক্রলার, রাশিয়ার ক্লসুস, আইরিশ বানশী, এবং জাপানি সানফায়ার।
১৯৯৩ সালে মাইলস্টোন কমিক্স একটি আফ্রিকান-আমেরিকান মালিকানাধীন প্রকাশনী ডিসি কমিক্সের সাথে প্রকাশনা চুক্তিতে ঢুকে যেটি পরিচয় করিয়ে দেয় অনেক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্টির চরিত্রের সাথে। মাইলস্টোনের শুরু চার বছর পর্যন্ত টিকে থাকে সেসময় এটি পরিচয় করিয়ে দেয় সুপারহিরো স্ট্যাটিক এর সাথে যেটি ওয়ার্নার ব্রস নেটওয়ার্কের একটি এনিমেটেড সিরিজ স্ট্যাটিক শক থেকে চরিত্র ধার নেয়া হয়েছিল।
উপরন্তু নতুন সংখ্যালঘু হিরো তৈরি করতে প্রকাশনীরা পরিচয় এবং ভূমিকা ভর্তি করেন একজন ককশিয়ান হিরো নতুন চরিত্রে যার নৃ গোষ্ঠী পটভূমি রয়েছে। আফ্রিকান-আমেরিকান জন স্টোয়ার্ট এর আবির্ভাব হয় ১৯৭০ দশকে পৃথিবীর গ্রীন ল্যান্টার্ন হাল জর্ডানের একজন পরিবর্তন হিসাবে এবং গ্রীন ল্যান্টার্ন করপোরেশন এর একজন নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠে ১৯৮০ দশক থেকে। ২০০০ দশকের জাস্টিস লীগ এনিমেটেড সিরিজের সৃষ্টিকারী স্টোয়ার্টকে সিরিজের গ্রীন ল্যান্টার্ন হিসাবে নির্বাচন করেন। আল্টিমেট মার্ভেল ইউনিভার্সে মাইলস মরালস একজন বহুজাতিক আমেরিকান যুবক যে স্পাইডার-ম্যান হিসাবে আবির্ভূত হয় মূল স্পাইডার ম্যানের মৃত্যুর পর। কমলা খান একজন পাকিস্তানি-আমেরিকান কিশোরী যে মিস মার্ভেল হিসাবে আবির্ভূত হয় ইনহিউমেন্স বংশে যাকে ২০১৪ সালে মিস মার্ভেল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তার নিজস্ব কমিক বই সিরিজ সাংস্কৃতিক বিস্ময় হয়ে পড়ে সিএনএন, দা নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং দা কলবার্ট রিপোর্ট এর ব্যাপক মিডিয়া কভারেজের কারণে এবং যেটি স্যান ফ্রান্সিসকোতে ইসলাম বিরোধী ক্যাম্পেইনে আশ্লিষ্ট হয় যেখানে অমুসলিমদের জন্য বাসগুলোতে কমলার স্টিকার দ্বারা বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।[৫২] অন্যান্য উত্তরাধিকারী হিরো যেমন জেমস “রডি” রোদস আয়রন ম্যানের একজন পরিবর্তন হিসাবে আসে।, রায়ান চই এটম হিসাবে, জেমি রাইস ব্লু বেটলি হিসাবে। প্রতিষ্ঠিত চরিত্রগুলোর যখন জাতিগত পরিবর্ন করা হত বা ধার নেয়া হত তখন চরিত্রগুলোর নিজস্ব আলাদা ধারাবাহিকতা থাকে। একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হচ্ছে নিক ফিউরি যাকে আফ্রিকান-আমেরিকান হিসাবে পরবর্তিতে উপস্থাপন করা হয় আল্টিমেট মার্ভেল এবং আল্টিমেট সিনেমাটিক ইউনিভার্স উভয়েই তার ধারাবাহিকতা রাখা হয়।
১৯৯২ সালে মার্ভেক প্রকাশ করে যে নর্থস্টার, কানাডীয় মিউট্যান্ট সুপারহিরো দল আলফা ফ্লাইটের একজন সদস্য হচ্ছে সমকামী, কয়েকবছরের ইঙ্গিতের পর।[৫৩] এটি সমাপ্তি টানে দীর্ঘ দিনের সম্পাদকীয় আজ্ঞার যে মার্ভেল কমিক্সে কোন সমকামী থাকবে না।[৫৪] যদিও ডিসি কমিক্সের দ্বিতীয় শ্রেণীর কিছু চরিত্র ১৯৮০ দশকে পরিপক্ব পাঠকের জন্য মিনি সিরিজ ওয়াচম্যান সমকামী ছিল। নর্থস্টারকে ধরা হয় প্রথম শ্রেণীর সুপারহিরো যে প্রকাশ্যে সমকামী হিসাবে প্রকাশিত হয়। ২০০০ দশকের মাঝামাঝি থেকে মার্ভেল এবং ডিসি কমিক্সের কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত চরিত্র (বা পরিবর্তিত চরিত্র)কে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় সমকামী হিসাবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ১৯৮৮ সালের স্টারম্যানের মিকাল থমাস, আল্টিমেট এক্স-ম্যানের ক্লসাস; ডিসির রেনে মনটোয়া গোটাম সেন্ট্রাল সিরিজ ২০০৩ সালে; ২০০৬ সালে ব্যাটওম্যানের কেইট কান; ২০০৯ সালে এক্স-ফ্যাক্টরের একটি পর্বে রিক্টর এবং সাটারস্টার; সোনালী যুগের গ্রীন ল্যান্টার্ন এলান স্কটকে প্রকাশ্যে পুনরায় চিত্রিত করা হয় সমকামী হিসাবে দা নিউ ৫২ রিবুটে;[৫৫][৫৬] এবং ২০১৫ সালে অল নিউ এক্স-ম্যান এর একটি পর্বে আইসম্যানকে।[৫৭]
অনেক নতুন সমকামী চরিত্রকে সুপারহিরো ফিকশনে পরিচিয় করিয়ে দেয়া হয় যেমন জেন১৩ এর সারাহ রেইনমেকার; দা অথোরিটির এপলো এবং মিডনাইটার; এবং ইয়াং এভেঞ্জারস এর উইকান এবং হাল্কলিং। বহুলিঙ্গিয় চরিত্র খুব কমঃ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সুপারহিরোইন যসাসা জাতুরন্নাহ, একটি চরিত্র ফিলিপাইনের জনপ্রিয় সংস্কৃতি থেকে,[৫৮] একজন সমকামী যে একজন নারীতে পরিণত হতে পারে একটি জাদুর পাথর গ্রহণ করার পর। ডিসায়ার কমিক্সের দা স্যান্ডম্যান এবং রানওয়ে কমিক্সের এক্সাবিন নিজের ইচ্ছায় তাদের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে।বর্তমানে চলা ডিসি কমিক্সের সিরিজ ব্যাটগার্ল এর একটি পার্শ্ব চরিত্র এলিসা ইয়হ হচ্ছে বহুলিঙ্গিয় যেটি ২০১১ সালে গণমাধ্যমের দৃষ্টি লাভ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণীর কমিক বইয়ে লিখা বহুলিঙ্গিয় হিসাবে।[৫৯]
সেইলর মুন সিরিজ এর বহু চরিত্র প্রকাশ্যে সমকামী হিসাবে পরিচিত শুরু থেকেই, কারণ জাপান তার শিশুদের জন্য মাধ্যমগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবেই সমকামীতার ব্যাপারে খোলামেলা পাশ্চ্যাত্যের অন্যান্য দেশের তুলনায়।[৬০][৬১] নির্দিষ্ট চরিত্র যেগুলো সমকামী বা বহুলিঙ্গিয় সেগুলো শুধুমাত্র একটাতেই ধারাবাহিক এবং অন্যান্যগুলোতে তা প্রকাশ করা হয় না বিশেষ করে অনুবাদ এবং আন্তর্জাতিক মুক্তির ক্ষেত্রে।[৬২]
এই অনুচ্ছেদটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
বাংলাদেশের কমিক প্রকাশনাগুলি তেমন সুপারহিরো চরিত্র না আনলেও ফিকশনাল লেখায় "বাংলাদেশের অতিমানবেরা" নামে একটি গল্পের মেগাসিরিজের উল্লেখ পাওয়া যায়। এর রচয়িতা মুহাম্মদ রাগিব নিযাম। এ পর্যন্ত তিনি ৬০ টিরও বেশি চরিত্র ও গল্প উপন্যাস লিখেছেন। ভোরের কাগজ ঈদ সংখ্যা ২০১৪ ও ২০১৭, গল্পের হাট বইমেলা সংকলন ২০১৯ এবং অবিনশ্বর ঈদ সংখ্যা ২০১৮ ও ২০১৯ এ তার গল্প ছাপানো হয়েছে। "বাংলাদেশের অতিমানবেরা অমনিবাস- প্রথম খন্ড" ২০২০ সালে প্রকাশিতব্য রয়েছে।
২০১৩ সালে “ব্লাডশট ডেডস্পট” দিয়ে যাত্রা শুরু হয় “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” ইউনিভার্সের। যদিও প্রথম দিকে এর নামকরণ হয় নি। শুধু “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” দিয়েই সিরিজটি চালু হয়। একে একে ৭টি চরিত্র সে বছর প্রকাশ করা হয় নিজস্ব অরিজিন দিয়ে। পাহাড়, জুজু, মাটি, অঙ্গার, রশ্মি, ছায়া, যন্ত্র এই নামগুলোর প্রত্যেকটির নামের সাথে মানব যোগ করা হয়।
সে বছরেই “এজেন্টস অব ডি” নামে একটি সিরিজ আসে। এজেন্ট রণিনের সলো গল্প বা অরিজিনের পরেই রাগিব নিযাম আটটি গল্প প্রকাশ করেন। এজেন্টস অব ডি সিরিজের নকল মানুষ, ক্রোধ, অপারেশন গাজা উল্লেখযোগ্য। এখানে অপারেশন গাজায় অঙ্গারমানবের উপস্থিতিও দেখা গেছে।
২০১৪ সালে অল্প সংখ্যক গল্প বের হলেও (কপিমাস্টার, নার্ভমাস্টার, রানার, রেড ব্যটেলিয়ন সিরিজ) ২০১৫ তে উল্লেখযোগ্য চরিত্র যোগ হয় “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” ইউনিভার্সে। অতন্দ্র প্রহরী, রাতের প্রহরী সে বছর প্রকাশ পায়। পরে ডিসির কিছু উল্লেখযোগ্য চরিত্র নন ক্যানন উপস্থিতি দিয়ে “দ্য রাইভাল নাইটস” নামে একটি গল্প আনেন যেখানে অতন্দ্র প্রহরী, রাতের প্রহরী, চাবুকি ও বাজের উপস্থিতি ছিলো। ক্রমানুসারে পরের বছর থেকেই বার্ষিক একটি উপন্যাস রাগিব চালু করেন যার নাম কিলিং ডিসেম্বর। এই সিরিজটির এখন পর্যন্ত তিনটি প্রকাশনা মুক্তি পেয়েছে। সে বছরই দশবজ্র বা টেন ঠান্ডার সিরিজের সূচনা হয়।
২০১৬ সালে “রাতের প্রহরী”র সাথে সংযুক্ত দুটি জোটের সূচনা হয়। একটি গোপন সংঘ, আরেকটি প্রহরী কর্প। ২০১৭ সালে রানার চরিত্রটির প্রথম সংস্করণ অবলুপ্ত ঘোষণা করেন রাগিব নিযাম। এর কিছুদিনের ভেতরেই অধিক দ্রুতগতিসম্পন্ন রানার-২ এর সূচনা আনেন রেড ব্যটেলিয়ন সিরিজের একটি গল্পে। ২০১৭ সালে মুক্তি পায় কিলিং ডিসেম্বর-২ উপন্যাসটি।
২০১৮ সালে এজেন্টস অব ডি এর মোহ, জলমানব, রাতের প্রহরীর মরণপণ, গোপন সংঘের দহন, ভোল প্রকাশ পায়। কিলিং ডিসেম্বর-৩ বিলম্বিত করে পরের বছরে নেয়া হয়। এর সাথে ‘দ্বিতীয় পৃথিবী” নামে একটি সিরিজ ও এর সংযুক্তি হিসেবে টেন ঠান্ডার বা দশবজ্র সিরিজের গল্প আসে। রাগিব পরের বছর “তৃতীয় পৃথিবী” এর ঘোষণা দেন।
২০১৯ সালের বিশাল ১৫টি পর্বে কিলিং ডিসেম্বর-৩ প্রকাশিত হয়। রাগিবের সাড়ে ছয় বছরের সবচেয়ে বড় উপন্যাস ছিলো এটি। এখানে ভিনগ্রহের মহাখলনায়ক দাফকানকে আনা হয়। এর সাথে সাথে মৌসুম ছয়ের লোগো পালটানো হয় ও আরো তিনটি যথাক্রমে- মরচে, হিমাংশু ও নীহারিকা গল্পটি প্রকাশ করা হয়।
২০২০ এ ডার্ক এজেন্টস ও কিলিং ডিসেম্বর-৪ প্রকাশিত হয়। এর পরের বছর ২০২১ সালে সিক্রেট এজেন্টস প্রকাশিত হয়।
২০২১ সাল রাগিব নিযামের সাফল্যের জন্য সবচেয়ে বড় বছর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশের অতিমানবেরা অমনিবাস প্রথম খন্ড ই-বুক আকারে বিক্রয় হওয়া শুরু হয়। এর ভেতরেই রাগিব ঘোষণা দেন বাংলাদেশের অতিমানবেরা ইউনিভার্স পরিণত হবে মাল্টিভার্সে। এছাড়া পুরো ইউনিভার্স নতুন চারটি লেবেল- ডার্ক, ব্লু, রেজ ও ইনফিনিটি নামে অনেকগুলো টাইটেল ও মিনি সিরিজে আসবে। জুলাইতে রাগিবের দ্বিতীয় বই পাগলাঃ এটি একটি আততায়ী বই ই-বুক প্রকাশিত হয়।
২০২১ এর অক্টোবরে রাগিবের প্রথমে কাগজের বই 'দ্যা মিয়ানমার পোস্ট' প্রকাশিত হয়। এটি ছিলো মূল চরিত্রগুলোর ক্লাসিক রিস্টোরেশন বা চরিত্রগুলোর সলো গল্পগুলোকে রিরাইট করে একটি প্লটে আনার কাজ।
২০২২ সালে অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হয় "বাংলাদেশের অতিমানবেরা অমনিবাস দ্বিতীয় খন্ড"।
ডার্ক, ব্লু ও রেজ এই তিনটি লেবেলে ই-বুক প্রকাশের ঘোষণা আসে দেশ দেশান্তর ডিজিটাল পাবলিশিং নামের এক ই-বুক প্রকাশনার কাছ থেকে। অবশ্য রাগিব নিজেই এই ঘোষণা দেন।
এরই সূত্র ধরে ডার্ক লেবেলে রানার চরিত্রের প্রথম বই "অবদ্রুতি" প্রকাশিত হয় ই-বুক আকারে। এই বই দিয়েই মূলত মহাখলনায়ক সুপারলর্ড সিরিজ শুরু হয়। এপ্রিলে শুরু হওয়া এই ট্রিলজির বাকি দুটি বই প্রকাশিতব্য রয়েছে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.