Remove ads
রায়হান রাফী পরিচালিত ২০২৩-এর চলচ্চিত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সুড়ঙ্গ ২০২৩ সালের বাংলা ভাষার বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী। চিত্রনাট্য লিখেছেন নাজিম উদ দৌলা। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আফরান নিশোর বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে।[৩][৪] নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা৷[৫] ২০২৩ সালের ২৯ জুন ঈদুল আজহায় চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[৬] চলচ্চিত্রটি ২১শে জুলাই পশ্চিমবঙ্গে এসভিএফ পরিবেশনায় মুক্তি পায়।[৭]
সুড়ঙ্গ | |
---|---|
পরিচালক | রায়হান রাফী |
প্রযোজক | শাহারিয়া শাকিল রেদওয়ান রনি |
চিত্রনাট্যকার | নাজিম উদ দৌলা রায়হান রাফি |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার |
|
চিত্রগ্রাহক | সুমন সরকার |
সম্পাদক | সুমিত রায় অন্তর |
প্রযোজনা কোম্পানি | আলফা আই চরকি |
পরিবেশক |
|
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫০ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ৳২ কোটি[১] |
আয় | ৳১৫ কোটি[২] |
সিনেমাটি মুক্তির চতুর্থ সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে[৮] পাইরেসির শিকার হয়। হল প্রিন্টের একটি ভার্সন অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকি ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে ৪০০-৫০০ ভিডিও অপসারণ করে।[৯] সুড়ঙ্গ টিমের অভিযোগে পাইরেসি নিয়ন্ত্রণে ডিবি পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেন।[১০]
২০১৪ সালের একটি চুরির ঘটনার সঙ্গে এই ছবির মিল পাচ্ছেন কিছু দর্শক। ওই বছর কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে দীর্ঘ এক সুড়ঙ্গ বানিয়ে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা চুরি করে সোহেল নামের একজন। ২ বছর ধরে সুড়ঙ্গ করলেও চুরির মাত্র দুই দিনের মধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে।[১১][১২]
২৮ মার্চ ২০২৩ সুড়ঙ্গ ছবির শুভ মহরত অনুষ্ঠিত হয়।[১২][১৩] ২০২৩ এর মার্চের প্রথম সপ্তাহেই শুটিং শুরু করেন নির্মাতা রায়হান রাফী। চরকি ও আলফা আই স্টুডিওজ লিমিডেটের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মিত। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন নাজিম উদ দৌলা। এ সিনেমার শুটিং হয়েছে সুনামগঞ্জ ও চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায়।[১২]
চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ ৪ মার্চ শুরু হয় এবং তিনটি পর্যায়ে সম্পন্ন করা হয়। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে সুনামগঞ্জ জেলায় ১০ দিন ধরে প্রথম পর্যায়ের চিত্রগ্রহণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের চিত্রগ্রহণ চট্টগ্রাম বিভাগে করা হয় ও এই জন্য ২০০ সদস্যের প্রযোজনা দল চট্টগ্রাম বিভাগে যায়।[১৪] শেষ পর্যায়ের চিত্রগ্রহণ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
রায়হান রাফি এই চলচ্চিত্রে "কলিজা আর জান" নামের আইটেম গানে জন্য নুসরাত ফারিয়াকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এক সপ্তাহের রিহার্সাল শেষে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আইটেম গানের শুটিং হয়, যেখানে নুসরাতের সঙ্গে চারশতাধিক নৃত্যশিল্পী অংশ নেন। সঙ্গীত ভিডিওটি ২০২৩ সালের ১২ জুন প্রকাশ করা হয়।[১৫] সঙ্গীত ভিডিওটি দেখার পরে, অনেকে এটিকে পুষ্পা: দ্য রাইজের "ও অন্তভা ও ও অন্তভা"-এর অনুরূপ বলে মন্তব্য করেন। সঙ্গীত ভিডিওতে নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে সামান্থা রুথ প্রভুর সাদৃশ্য পাওয়া গেছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন।[১৬]
৬ জুন প্রচারের জন্য ইউটিউবে চলচ্চিত্রটির একটি টিজার প্রকাশ করা হয়। টিজারে ব্যবহৃত ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ট্র্যাকটি ছবির প্রোডাকশন হাউজ আলফা আই আন্তর্জাতিক একটি মিউজিক প্রতিষ্ঠান থেকে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য কিনে নেন।[১৭]
২০২৩ সালের ১০ মে চলচ্চিত্রটির টিজার মুক্তি পায়।[১৮][১৯]
২৯ জুন বাংলাদেশের সব কটি সিনেপ্লেক্সেসহ মোট ২৮টি সিনেমা হলে মুক্তি পায়।[৬]
চলচ্চিত্রটি ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের ২৯ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।[৭][২০][২১]
২০২৩ সালের মার্চে, প্রযোজনা দলের চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে, বায়োস্কোপ ফিল্মস উত্তর আমেরিকায় চলচ্চিত্রটি মুক্তির অধিকার কিনে নেয়।[২২][২৩][২৪]
২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃক চলচ্চিত্রটি কর্তন ছাড়াই সেন্সর সার্টিফিকেট লাভ করে।[২৫]
আফরান নিশোর জন্মস্থান ভূঞাপুর উপজেলায় কোনও সিনেমা হল না থাকায় তার ভক্তরা স্বাধীনতা কমপ্লেক্স মিলনায়তন ভাড়া নিয়ে এক সপ্তাহের জন্য একটি অস্থায়ী সিনেমা থিয়েটার স্থাপন করে।[২৬]
২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট সিনেমাটি বাংলাদেশী ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে মুক্তি দেয়া হয়।[২৭]
চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার সাত দিনে শুধু সিনেপ্লেক্স থেকে আড়াই কোটি টাকা আয় করে।[২৮]
কলকাতায় প্রায় ২৫টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পেয়ে পাঁচ দিনে মাত্র আট লক্ষ টাকা আয় করে।[২৯]
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দাবি করেন যে ঐ বছরের জুনে তিনি এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন এবং তাকে চলচ্চিত্র থেকে বাদ দেওয়ায়, তিনি চলচ্চিত্র শিল্প পরিচালনাকারী সিন্ডিকেটের শিকার। রায়হান রাফি তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন কেবল মৌখিক আলোচনা ছাড়া এই বিষয়ে তার সাথে কোনও লিখিত চুক্তি হয়নি ও দীঘিকে চলচ্চিত্রের ভূমিকার জন্য উপযুক্ত বোধ না করায় তিনি দীঘিকে চুক্তিবদ্ধ করেননি।[৩০] জবাবে, দীঘি বলেন যে তার মৌখিকভাবে চূড়ান্ত করে না জানিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে।[৩১]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.