শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
সিউল রাজধানী অঞ্চল
দক্ষিণ কোরিয়ার মহানগর এলাকা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
সিউল রাজধানী অঞ্চল (এসসিএ) (কোরীয়: 수도권; হাঞ্জা: 首都圈; আরআর: Sudogwon; এমআর: Sudokwŏn, [sudoɡwʌn]) বা গেয়ঙ্গি অঞ্চল (কোরীয়: 경기 지방; হাঞ্জা: 京畿地方; আরআর: Gyeonggi Jibang; এমআর: Kyŏnggi Jibang) উত্তর-পশ্চিম দক্ষিণ কোরিয়াতে অবস্থিত সিওল, ইনছন এবং গাইংগি-ডের এলাকা নিয়ে গঠিত একটি মহানগর এলাকা। এর জনসংখ্যার ২৫ মিলিয়ন (২০১৭ সালের হিসাবে) এবং জনসংখ্যার হিসাবে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম মহানগর এলাকা। এই মহানগর এলাকাটি প্রায় ১১,৭০৪ বর্গ কিমি (৪,৫১৯ বর্গ মাইল) এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক, আর্থিক, শিল্প এবং আবাসিক কেন্দ্র গঠন করে। প্রায় ১০ মিলিয়ন জনসংখ্যার সাথে সিউল মহানগর অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় শহর। এছাড়া ইনছন শহরের সংখ্যা ৩ মিলিয়ন।
Remove ads
Remove ads
ভূগোল এবং জলবায়ু
রাজধানী অঞ্চল হান নদী উপত্যকার একটি সমভূমিতে অবস্থিত। এটি কোরীয় উপদ্বীপের বেশিরভাগ উর্বর ভূমি রয়েছে, যদিও এটির তুলনামূলক কমটি এখন কৃষি জন্য ব্যবহৃত হয়। জিম্পো প্লেইন, দেশের এক বৃহৎ সমৃদ্ধ ভূমি এক, গিমো এবং বুচিয়েন শহরগুলোর বেশিরভাগ এলাকা জুড়ে।
ইতিহাস

রাজধানী এলাকাটি প্রায় ২,০০০ বছর ধরে কোরিয়ার রাজধানী হিসাবে কাজ করছে। এর কেন্দ্রীয় অবস্থান এবং তুলনামূলকভাবে মৃদু ভূদৃশ্য দেশটির বিভিন্ন বিষয়ে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা রেখেছে। এই অঞ্চলে নির্মিত প্রথম রাজধানী হল কোরিয়ার তিন সাম্রাজ্যের বেকজে। দেশের প্রথম রাজধানী খ্রিস্টপূর্বে নির্মিত হয়েছিল এবং তার নাম ওয়্যারিয়সিয়ানং। ধারণা করা হয় যে এটি সিউল এবং গওয়ানজু শহরের আধুনিক সীমানা কাছাকাছি নির্মিত হয়েছে। যাহোক, বেকজে রাজধানীর মর্যাদা ধরে রাখতে সক্ষম হননি এবং ৫ম শতাব্দীতে গোগুরিয়েতে হান নদী উপত্যকায় নতুন রাজধানী নির্মিত হয়। এরপর ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে এলাকাটি সিলার সাম্রাজ্যের হাতে চলে যায়। এ সময় এই অঞ্চলটি সিলার সাথে চীনের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Remove ads
জনসংখ্যার উপাত্ত
দেশের প্রায় ১২% এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা সিউল রাজধানী অঞ্চলে দেশের জনসংখ্যার ৪৮.২%-এরও বেশি জনগণের বসবাস এবং এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম নগর এলাকা। ২০ শতকের মাঝামাঝি থেকে এই শতাংশটি ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের মধ্যে এক অঞ্চলের থেকে অন্য অঞ্চলে স্থানান্তরিত জনগণের অর্ধেকেরও বেশি রাজধানীতে স্থানান্তরিত হচ্ছে।
পরিবহণ ব্যবস্থা


সিউল রাজধানী অঞ্চলটি সড়ক পথ ও রেলপথ দ্বারা দেশের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই অঞ্চলের প্রধান বিমানবন্দর হল ইনছন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই আঞ্চলের অপর একটি বিমানবন্দরের নাম হল গিমপো বিমানবন্দর। সিউল সাবওয়ে এই অঞ্চলে দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে।
ইনছন শহরের ফেরী ঘাঁট থেকে অভ্যন্তরীণ ও অন্তর্জাতিক দুই ধরনেরই ফেরী চলাচল করে। এখানে একটি কন্টেইনার বন্দর রয়েছে। এই বন্দর থেকে কনটেইনার বদ্ধ পণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। সবচেয়ে বেশি পণ্য চীনে রপ্তানি করা হয়।
সিউল চক্র-এক্সপ্রেসওয়ে সিউল রাজধানী অঞ্চলের চারিপাশে নির্মাণ করা হয়েছে বৃত্তাকারে। এই এক্সপ্রেসওয়েটি সিউল শহরের উপশহরগুলোকে যুক্ত করেছে।
Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads