Loading AI tools
ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত সরকারি কলেজ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সরকারি তিতুমীর কলেজ বাংলাদেশের ঢাকা শহরে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই কলেজটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] সে সময় কলেজটি জিন্নাহ কলেজ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কলেজটির নাম পরিবর্তন করে তিতুমীর কলেজ রাখা হয়। কলেজটি ঢাকা শহরের বনানী থানার অন্তর্ভুক্ত মহাখালী এলাকায় অবস্থিত। যার আয়তন ১১ একর।
প্রাক্তন নামসমূহ | জিন্নাহ কলেজ |
---|---|
নীতিবাক্য | জ্ঞানই শক্তি |
ধরন | সরকারি |
স্থাপিত | ১৯৬৮ |
ইআইআইএন | ১০৮০৩৫ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | নিয়াজ আহমেদ খান |
অধ্যক্ষ | শিপ্রা রানী মন্ডল |
ডিন | ২ |
পরিচালক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২২৫+ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ২৫০+ |
শিক্ষার্থী | ৩৫০০০+ |
স্নাতক | বিএ, বিবিএ, বিএসএস, বিএসসি |
স্নাতকোত্তর | এমএ, এমবিএ, এমএসএস, এমএসসি |
অবস্থান | , বীর উত্তম এ.কে খন্দকার রোড , ২৩.৭৮১৫৯৬° উত্তর ৯০.৪০৩৬৮৬° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | নগর, ৪.৫ হেক্টর (১১ একর) |
সংক্ষিপ্ত নাম | জিটিসি |
অধিভুক্তি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন , ভলিবল, দাবা, টেবিল টেনিস |
ওয়েবসাইট | www.titumircollege.gov.bd |
প্রতিষ্ঠার সময় কলেজটিতে শুধুমাত্র উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে ক্লাস নেয়া হতো, পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে উচ্চমাধ্যমিক বাতিল করে শুধুমাত্র স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিনটি অনুষদে (কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ · বিজ্ঞান অনুষদ · বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) মোট ২৩ টি বিভাগে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে।[২]
'জিন্নাহ কলেজ' নামে ১৯৬৮ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজ প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান জগন্নাথ কলেজের ছাত্র-আন্দোলনকে নির্মূল করার জন্য মহাখালীতে অবস্থিত ডিআইটি খাদ্যগুদাম হিসেবে পরিচিত ভবনে জগন্নাথ কলেজের ডিগ্রি শাখা স্থানান্তর করেন এবং এর নামকরণ করা হয় জিন্নাহ কলেজ।[৩] ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান রেডিও-টেলিভিশনে এক ভাষণে জাতীয় পরিষদ স্থগিত ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে জিন্নাহ কলেজ শাখার ছাত্র সংসদের প্রথম সহ-সভাপতি (ভিপি) সিরাজউদ্দৌলার নেতৃত্বে টিপু মুনশি ও শাহাবুদ্দিনসহ তৎকালীন কতিপয় ছাত্রনেতা প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিন্নাহ্ কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। তখন আনিসুজ্জামান খোকন (জিন্নাহ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক) জিন্নাহ কলেজের নাম 'তিতুমীর কলেজ' প্রস্তাব করেন। ২ মার্চ ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় জড়ো হলে সেখানে তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রবের মধ্যস্থতায় জিন্নাহ্ কলেজের নাম 'তিতুমীর কলেজ' হিসেবে চূড়ান্ত হয়। ঐ রাতেই 'তিতুমীর কলেজ' নামকরণের সাইনবোর্ড লেখা হয় এবং দেয়ালে টাঙিয়ে দেয়া হয়। এলাকার কিছু যুবক "তিতুমীর"নামকরণের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
সরকারি তিতুমীর কলেজে শুরুর দিকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত চালু থাকলেও পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার কথা বিবেচনা করে এবং চাহিদা অনুসারে এখন শুধু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিসমূহ চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল বিভাগ এই কলেজে চালু ছিল। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পরও পূর্বের সকল কার্যক্রম চালু রয়েছে। এখানে যেসকল বিভাগ চালু রয়েছে:
প্রতিটি বিভাগের রয়েছে নিজস্ব গ্রন্থাগার বা সেমিনার। কলেজটিতে একটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার রয়েছে। যেখানে ২০,০০০ এর অধিক বই সংগ্রহে রয়েছে।
কলেজটির ছাত্র-ছাত্রীর জন্য ৫টি আবাসিক হল রয়েছে; এগুলো হলো:
ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে ৯টি বাস।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.