শৈলেশ দে
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শৈলেশ দে (১৯১৬ ― ২১ নভেম্বর, ২০০০) একজন বাঙালি লেখক ও বাংলা তথা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম ইতিহাস রচয়িতা।
শৈলেশ দে অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সংগীত শিল্পী রূপে আত্মপ্রকাশ তার। ঢাকায় থাকাকালীন মিটফোর্ড স্কুলে টেনিস খেলারত বিপ্লবী বিনয় বসুকে ছোটবেলায় দেখেন তিনি। তার সাথে ছোটবেলায় আলাপ হয় বিনয় বসুর। তার বন্ধু ছিলেন অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।[১] দেশ বিভাগের পরে কলকাতায় আসেন তিনি। ছোটখাটো অনেক কাজ, ব্যবসা, দোকানদারীও করেছেন জীবনযাপনের জন্য।[২]
বহুরূপী ছদ্মনামে শৈলেশ দে লিখেছেন সামাজিক নাটক, গল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা। আকাশবাণী কলকাতাতে নিয়মিত ভাটিয়ালী ও পল্লিগীতির অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। বাংলা ছাড়া ভারতের অন্যান্য ভাষায় তার রচিত কাহিনী মঞ্চে ও যাত্রায় পরিবেশিত হয়। পাশাপাশি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে তার লেখনী ও সম্পাদনা চিরস্মরণীয়। কখনো কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না কিন্তু বহু বিপ্লবীর সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক ছিল। বিপ্লবী ও সুলেখক ভূপেন্দ্র কিশোর রক্ষিতরায়ের সংস্পর্শে এসে বিপ্লবী ইতিহাস নিয়ে লেখালিখির শুরু। ১৯৬৫ সালে রক্ত দিয়ে গড়া বইটির মাধ্যমে।[৩] তার সাথে কাজী নজরুল ইসলামের যোগাযোগ ছিল। নজরুলের চিকিৎসার ভার নিয়েছিলেন লেখক শৈলেশ।[৪] তার রচিত বৃহৎ গ্রন্থ আমি সুভাষ বলছি নেতাজীর প্রামাণ্য জীবনী হিসাবে আজো সমাদৃত। যা হিন্দি ও উড়িয়া ভাষাতেও অনূদিত হয়েছে। উত্তমকুমার অভিনীত তিন অধ্যায়[৫] ও মৃণাল সেন পরিচালিত কানামাছি (১৯৬১) ও মোহনবাগানের মেয়ে চলচ্চিত্র তার রচিত কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হয়।[৬] তার রচিত জনপ্রিয় নাটক জয় মা কালী বোর্ডিং অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা জিও পাগলা।[৭][৮] তাঁর স্ত্রী পারুল দে রেডিওতে নাটকের শিল্পী ছিলেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.