ভারতীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শিবসুন্দর দাস (ওড়িয়া: ଶିବସୁନ୍ଦର ଦାସ; জন্ম: ৫ নভেম্বর, ১৯৭৭) ওড়িশার ভুবনেশ্বর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | শিবসুন্দর দাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৫ নভেম্বর, ১৯৭৭ ভুবনেশ্বর, ওড়িশা, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | শিব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২২৯) | ১০ নভেম্বর ২০০০ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ মে ২০০২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৩৮) | ৫ অক্টোবর ২০০১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৬ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ অক্টোবর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে ওড়িশা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘শিব’ ডাকনামে পরিচিত শিবসুন্দর দাস।
১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শিবসুন্দর দাসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে ওড়িশার পক্ষে রঞ্জী ট্রফিতে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় শিবসুন্দর দাসের অভিষেক ঘটে। এক পর্যায়ে তাকে ভারতের দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানের ফসল হিসেবে প্রকৃত টেস্ট উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ভাবা হয়েছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি তার অভিষেক টেস্টে প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষরও রাখেন। পিছিয়ে থাকা ওড়িশা দলের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ভারতের টেস্ট দলে ঠাঁই হয় তার।[১] অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে সঠিকমানের খেলা উপহারে সচেষ্ট ছিলেন। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলগুলোকে যথোচিত মোকাবেলা করেছেন, পায়ের কারুকাজও সময়োপযোগী ছিল। এছাড়াও, রক্ষণাত্মক ও আক্রমণাত্মক - উভয় ধাঁচেই খেলতেন। তাসত্ত্বেও, তাকে যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়।
ডানহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন তিনি। ওড়িশার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০০০ সালে বেঙ্গালুরুভিত্তিক ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে প্রথম পর্যায়েই মনোনীত হন।[২] ঘরোয়া পর্যায়ের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বিদর্ভ ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলেন।[৩][৪]
২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তাকে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তাকে পিছনের পায়ের উপর নির্ভর করে খেলতে হয়। দীর্ঘকায় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলারদের নিশানা বরাবর বলগুলোকে যথোচিত মূল্যায়িত করতে পারেননি। ইংল্যান্ডে ভারতের এ-দলের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয়া অংশ নেন। তবে, আহামরি কোন খেলা উপহার দিতে পারেননি। ৪৩ গড়ে রান সংগ্রহ করলেও সাতজন ব্যাটসম্যান তার তুলনায় এগিয়েছিলেন। নিজেকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে দল নির্বাচকদের নজরে পড়তে পারেননি।
২০০৬-০৭ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় ত্রি-শতক হাঁকান। ২০০০-০১ মৌসুমের পর এটি প্রথম ঘটনা ছিল। প্রতিপক্ষীয় দল ছিল জম্মু ও কাশ্মীর। দিনের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ওড়িশা ক্রিকেট সংস্থা তাকে নগদ ৩০০০০ রূপি প্রদান করেন। ২০১০-১১ মৌসুমে তাকে শুধুমাত্র দলের অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেয়া হয়নি; বরঞ্চ পাঁচ ইনিংসে মাত্র পাঁচ রান তোলার পর তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তেইশটি টেস্ট ও চারটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন শিবসুন্দর দাস। ১০ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে ঢাকায় স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৮ মে, ২০০২ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
ভারতের প্রকৃত টেস্ট উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে অনুসন্ধানের পর শিবসুন্দর দাসকে বিবেচনায় আনা হয়। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে তাকে মনোনীত করা হয়। ঐ সফরে তিনি একটিমাত্র অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলতে সমর্থ হন। ফলে, ভারতের পরবর্তী সফর হিসেবে ইংল্যান্ড গমনে তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। এরপর থেকে ভারতের পক্ষে খেলানো হয়নি।[৫]
সবমিলিয়ে ২৩ টেস্টে অংশ নিয়ে ৩৮.৯১ গড়ে ১,৩২৬ রান করেন। তন্মধ্যে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজস্ব দুইটি শতরানের ইনিংস রয়েছে তার।[৫] ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরস্কার লাভ করেন। ২০০২ সালে দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। এসেক্সের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় ২৫০ রান তুলেন।
২০১৬ সালে ডিমাপুর ও শিলংয়ের অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কিশোরদের প্রশিক্ষণ দেন। এরপর তিনি বড়দের দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।[৬] ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বার্বাডোস ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়। তিনি প্রধান কোচ দেবাশীষ মোহন্তি’র স্থলাভিষিক্ত হন।[৭] আগস্ট, ২০১৮ সালে মণিপুর ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন।[৮][৯]
অবসর গ্রহণ নীতির আলোকে জাতীয় দল নির্বাচক থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়। কেননা, তিনি সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ ৫ বছরের মধ্যে করেছেন।[১০][১১][১২]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.