বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নাটোরের চিনি কলে সংগঠিত গণহত্যার স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শহীদ সাগর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নাটোরের নর্থ বেঙ্গল চিনি কারখানায় সংগঠিত গোপালপুর গণহত্যা স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ।[১] এটি মূলত একটি পুকুরকে কেন্দ্র করে, যার পানি ১৯৭১ সালের ৫ মে [২] জমাট বেঁধে লাল হয়েছিল শহীদদের রক্তে।
শহীদ সাগর | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
অবস্থা | ১৯৭১ সালে গোপালপুরে গণহত্যার শিকার সকল শহীদদের স্মরনে নির্মিত |
ধরন | পাবলিক স্মৃতিস্তম্ভ |
অবস্থান | গোপালপুর, লালপুর উপজেলা, নাটোর জেলা, বাংলাদেশ |
১৯৭১ সালের ৫ মে গোপালপুরের আজিমনগর এলাকায় নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের কর্মকর্তা-কর্মীরা সবাই কাজে ব্যস্ত। ওইদিন সকাল সাড়ে দশ ঘটিকায় এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় হঠাৎ পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী আক্রমণ চালায়। নিরস্ত্র শ্রমিক কর্মচারীসহ শতাধিক মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, গোপালসাগর পুকুর পাড়ে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে হানাদাররা। ওই ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান মাত্র কয়েকজন। [৩] জনশ্রুতি আছে স্বাধীনতার কয়েক বছর পরেও এই পুকরের পানির রং শহীদদের জমাট বাধা চাপচাপ রক্তে লাল হয়ে ছিল।
১৯৭৩ সালের ৫ মে শহীদ সাগর চত্বরে শহীদ লে. আনোয়ারুল আজিমের স্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন। স্মৃতিস্তম্ভের পূর্বে রয়েছে ছিমছাম ফুল বাগান। আর পাশেই রয়েছে একটি জাদুঘর। ২০০০ সালের ৫ মে [৪] জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। আর স্মৃতিস্তম্ভের পিছনে রয়েছে দুঃস্বহ স্মৃতিজড়িত সেই পুকুর। সিঁড়িতে যেসকল যায়গায় বুলেটের গুলিবিদ্ধ হয়েছিল, সেসকল জায়গায় আজ প্রতীকি লাল রঙে শহীদের রক্তের চিহ্ন আছে। প্রতিবছরের ৫ মে শহীদদের স্মরণে নানা আয়োজনে পালিত হয় নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল গণহত্যা দিবস।
ইতিহাসের নির্মম এ গণহত্যায় ৪২ জনের[৫] নাম জানা গেলেও অন্যদের পরিচয় আজও মেলেনি | শহীদদের তালিকা:
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.