Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শশধর মুখার্জী বা শশধর মুখোপাধ্যায় (২৯ সেপ্টেম্বর ১৯০৯ — ৩ নভেম্বর ১৯৯০) ছিলেন প্রখ্যাত ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্র নির্মাতা। বলিউডের বিশিষ্ট মুখার্জী-সমর্থ পরিবারের সূচনাকার। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে বোম্বে টকিজে কর্মজীবন শুরু করে, পরবর্তীতে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক মদন মোহনের পিতা রায়বাহাদুর চুনিলাল, অশোক কুমার ও জ্ঞান মুখার্জীর সহযোগিতায় মুম্বইয়ের গোরেগাঁও-এ ফিল্মিস্থান স্টুডিও এবং শেষে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে আন্ধেরীতে নিজের ফিল্মালয় স্টুডিয়োর প্রতিষ্ঠা করেন। [1] ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে চলচ্চিত্রজগতের শ্রেষ্ঠ পুরস্কারসহ তিনি ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী লাভ করেন।[2]
শশধর মুখার্জী | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৩ নভেম্বর ১৯৯০ ৮১) | (বয়স
পেশা | চলচ্চিত্র নির্মাতা |
দাম্পত্য সঙ্গী | সতী দেবী |
সন্তান | ৬ (রনো মুখার্জি জয় মুখার্জী, দেব মুখার্জী, শমু মুখার্জী,শিবানী মৌলিক (কন্যা), ও সুবীর মুখার্জী) |
আত্মীয় | অশোক কুমার অনুপ কুমার কিশোর কুমার (সকলে শ্যালক) |
পরিবার | মুখার্জী-সমর্থ পরিবার |
শশধর মুখার্জীর জন্ম ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে সেপ্টেম্বর বৃটিশ ভারতের আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশ তৎকালীন গোয়োলিয়র রাজ্যের অধীন ঝাঁসিতে। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র শশধরের শিক্ষক ছিলেন বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে মুম্বই চলে যান তিনি।[3]
চলচ্চিত্র প্রযোজক সংস্থা "বোম্বে টকিজ" তখন বোম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি শাসন করছে। এর কর্ণধার হিমাংশু রায়ের আহ্বানে শশধর মুখার্জী সাউন্ড-ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে যোগ দেন বোম্বে টকিজে। একই সঙ্গে যোগ দেন ফ্রাঞ্জ অস্টেন, সাবাক ভাবা, চুনীলাল, জ্ঞান মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক কুমার প্রমুখ অসামান্য প্রতিভাবানেরা। এর ফলে বোম্বে টকিজ জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছায়, যার পেছনে অবশ্য অন্যতম মুখ্য ভূমিকা ছিল শশধর মুখোপাধ্যায়ের। ক্রমে তিনি এই সংস্থার চলচ্চিত্র প্রযোজক হয়ে যান। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে হিমাংশু রায় প্রয়াত হলে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি চুনীলাল ও অভিনেতা অশোক কুমার সহযোগিতায় মুম্বইয়ের গোরেগাঁও-এ গড়ে তোলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক প্রতিষ্ঠান "ফিল্মিস্তান"। 'চল রে চল নওজোয়ান ' ছবি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কাজ শুরু করে একের পর এক 'আনারকলি', 'নাগিন', 'জাগৃতি', 'মুনামজী', পেয়িং গেস্ট', 'তুমসা নহী দেখা' ইত্যাদি অত্যন্ত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিবেশিত হয় এবং সেই সূত্রে শচীন দেববর্মণ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, প্রদীপকুমার, আই এস জোহর, শীলা রমানি, দিলীপ কুমার প্রমুখ তারকারা প্রতিষ্ঠা পান।[3] নাসির হুসাইন তারই সহায়তায় পরিচালক হিসাবে প্রতিষ্ঠা পান।
১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে শশধর মুখার্জী মুম্বইয়ের আন্ধেরীতে নিজস্ব চিত্রপ্রযোজক সংস্থা "ফিল্মালয়" প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থার প্রথম প্রযোজনা 'দিল দেকে দেখো' সুপার-হিট হয়। এই ছবিতে সুর করেন অষ্টাদশী নবাগতা ঊষা খান্না। এই সংস্থারই অপর ছবি 'লাভ ইন সিমলা'-তে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন শশধর মুখার্জীর পুত্র জয় মুখার্জী। শশধর মুখোপাধ্যায়ের অপর দুই ভাই সুবোধ মুখার্জী ও প্রবোধ মুখার্জী এখানে চিত্র পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শশধর মুখার্জী অশোক কুমারের ভগিনী সতীরানীকে বিবাহ করেন। তাদের ছয়টি সন্তান - পাঁচ পুত্র রনো মুখার্জী, জয় মুখার্জী, দেব মুখার্জী, শমু মুখার্জী, সুবীর মুখার্জী ও এক কন্যা শিবানী মৌলিক। অশোক কুমার, অনুপ কুমার, কিশোর কুমার এঁরা সবাই সম্পর্কে শশধর মুখার্জীর শ্যালক।
সাল | ছবির নাম | পরিচালক | মন্তব্য |
---|---|---|---|
১৯৩৯ | কাঙ্গন | ||
১৯৪০ | বন্ধন | এন আর আচার্য | ব্যানার: বোম্বে টকিজ |
১৯৪১ | ঝুলা' | জ্ঞান মুখোপাধ্যায় | |
১৯৫৪ | জাগৃতি | সত্যেন বসু | ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার- শ্রেষ্ঠ ফিল্ম ১৯৫৬ |
১৯৫৫ | মুনিমজী | সুবোধ মুখার্জী | ফিল্মিস্তান |
১৯৫৭ | তুমসা নহী দেখা | নাসির হুসাইন | ফিল্মিস্তান |
পেয়িং গাস্ট | সুবোধ মুখার্জী | ফিল্মিস্তান | |
১৯৫৯ | দিল দেকে দেখো | নাসির হুসাইন | ফিল্মালয় |
১৯৬০ | লাভ ইন সিমলা | আর কে নায়ার | ফিল্মালয় |
১৯৬২ | এক মুসাফির এক হাসিনা | রাজ খোসলা | |
১৯৬৪ | লীডার | রাম মুখার্জী | |
আও প্যার করেঁ | আর কে নায়ার | ||
১৯৬৫ | তু হী মেরী জিন্দেগী | রনো মুখার্জী |
শশধর মুখার্জী ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ৩রা নভেম্বর মুম্বইয়ে পরলোক গমন করেন।
ফিল্মালয় চিত্র প্রযোজক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা শশধর মুখার্জীর উদ্দেশ্যে তার পুত্র শমু মুখার্জীর পরিচালনা ও প্রযোজনায় ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি ভারতীয় সেনা দিবসে হিন্দি চলচ্চিত্র 'পথ্থর কে ইনশান' মুক্তি পায়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.