Loading AI tools
২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
র্যাহনা হে তেরে দিল মেঁ (হিন্দি: रहना है तेरे दिल में, অনুবাদ 'থাকতে চাই তোমার হৃদয়ে') হচ্ছে ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র যেটি পরিচালনা করেন তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের পরিচালক গৌতম মেনন এবং প্রযোজনা করেন বসু ভাগ্যননী। চলচ্চিত্রটি ঐ একই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিল ভাষার চলচ্চিত্র মিন্নালের পুনর্নির্মাণ যেটি গৌতম মেননই পরিচালনা করেছিলেন। র্যাহনা হে তেরে দিল মেঁতে মাধবন, দিয়া মীর্জা এবং সাইফ আলী খান ছিলেন, এছাড়া অনুপম খের, নবীন নিশ্চল এবং স্মিতা জয়করও ছিলেন। ২০০১ এর ১৯শে অক্টোবর চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় এবং ব্যাপক ব্যবসাসফলতা সহ তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পায়।[1][2][3][4]
র্যাহনা হে তেরে দিল মেঁ | |
---|---|
পরিচালক | গৌতম মেনন |
প্রযোজক | বসু ভাগ্যননী |
রচয়িতা | গৌতম মেনন বিপুল ডি শাহ |
শ্রেষ্ঠাংশে | মাধবন দিয়া মীর্জা সাইফ আলী খান |
সুরকার | হরিষ জয়রাজ |
চিত্রগ্রাহক | জনী লাল |
সম্পাদক | সঞ্জয় বর্মা |
মুক্তি | ১৯ অক্টোবর ২০০১ |
স্থিতিকাল | ২ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
চলচ্চিত্রটির কাহিনী মাধব শাস্ত্রী ওরফে ম্যাডি নিজেই শুরু করে। ম্যাডি হচ্ছে একজন বড় ডিভিডি দোকানদার দ্বীনদয়ালের ছেলে যে ভাবে যে একদিন ম্যাডি তার ঐ দোকানটা চালাবে, কিন্তু ম্যাডি প্রকৌশল নিয়ে পড়ে। যদিও সে তার শ্রেণীতে পড়াশোনার ব্যাপারে সিরিয়াস নয় এবং অনেক মারামারিতে জড়ায় রাজীব সামরাও ওরফে স্যাম নামের এক মেধাবী ছাত্রের গুন্ডাবাহিনীর সঙ্গে। ম্যাডি এবং স্যামের মধ্যে একবার ব্যক্তিগতভাবে বক্সিং হয় যেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ এসে সামাল দেয়। গ্র্যাজুয়েশনের দিন স্যাম এবং ম্যাডি পরস্পর পরস্পরকে ভবিষ্যতে দেখতে চায় বলে বিদায় নেয়। স্যাম যুক্তরাষ্ট্র চলে যায় আর ম্যাডি ভারতেই একটি কম্পানীতে সফটওয়ার বিষয়ক প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়।
ম্যাডি একদিন রীনা নামের একটি মেয়েকে পছন্দ করে ফেলে এবং তার সাথে প্রেম করবে বলে মনস্থির করে কিন্তু রীনার বিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একজনের সাথে ঠিক হয়ে আছে বলে সে জানতে পারে। ম্যাডি জানতে পারে যে রাজীব অর্থাৎ যার সাথে তার বিয়ে হবে তাকে সে ছোটো বেলায় দেখেছে এবং এখন চেহারা মনে নেই। এইসব ব্যাপারে ম্যাডি তার পিতা দ্বীনদয়ালকে বললে সে ম্যাডিকে রাজীব সেজে রীনাদের বাসায় যেতে বলে এবং ম্যাডি যায়।
রীনা যেহেতু রাজীবকে কখনো দেখেনি তাই ম্যাডিকেই রাজীব বলে ধরে নেয় এবং ছোটো বেলার রাজীব যাকে সে শুধু একজন বন্ধু ভাবত, এই রাজীবরূপী ম্যাডির প্রতি সে অনুরক্ত হয়ে পড়ে এবং ভালোবেসে ফেলে। ম্যাডি একদিন সিদ্ধান্ত নেয় যে রীনাকে তার আসল পরিচয় বলে দেবে কিন্তু তার আগেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসল রাজীব এসে পড়ে। ম্যাডি রীনা দ্বারা তিরস্কৃত হয় এবং ম্যাডি খোঁজ নিয়ে দেখে যে এই রাজীব তার সেই কলেজ জীবনের সহপাঠী রাজীব সামরাও ওরফে স্যাম।
ম্যাডি রীনাকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে, রীনার বান্ধবী শ্রুতিকেও বিভিন্নভাবে বুঝানো হয় যে ম্যাডি রীনাকে সত্যি খুব ভালোবাসে এবং তাকে ছাড়া বাঁচতে পারবেনা। ম্যাডি স্যামকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দেয় এবং এ পর্যায়ে তার চোখ উপড়ে নিতে যায় কিন্তু নেয়না। ম্যাডি যুক্তরাষ্ট্র চলে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিমান বন্দরে যাওয়ার সময় সে স্যাম দ্বারা একটি চমক দেখতে পায়, স্যাম রীনাকে বিয়ে না করে ম্যাডির হাতে তুলে দেয় কারণ সেও জানতে পেরেছে যে রীনা ম্যাডিকে খুবই ভালোবাসে।
বসু ভাগ্যননী 'মিন্নালে' দেখে এর পরিচালক গৌতম মেননকে অনুরূপ হিন্দি চলচ্চিত্র বানাতে বলেন, তিনি নিজেই ওটির প্রযোজক হবেন বলে জানান তাকে এবং নায়ক হিসেবে মাধবনকেই নেওয়া হবে।[1] মুখ্য অভিনেত্রী হিসেবে রিচা পাল্লোড়কে নেওয়া হবে ভাবা হলেও দিয়া মীর্জাকে নেওয়া হয় যেটি ছিল দিয়ার জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র।[5] মেনন প্রথমে মিন্নালে'র হিন্দি সংস্করণ বানাতে আপত্তি করেছিলেন কিন্তু বসুর পীড়াপীড়িতে তিনি রাজি হন।[2]
চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত মিন্নালের সঙ্গীত পরিচালক হরিষ জয়রাজই করেছিলেন, গীতিকার ছিলেন সমীর। গানের তালিকাঃ
গানের শিরোনাম | গায়ক/গায়িকা | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|
"মুঝে র্যাহনা র্যাহনা" | সোনু নিগম, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি | ০৫ঃ০৬ |
"ওহ মামা মামা" | সোনু নিগম | ০৪ঃ৩৫ |
"ক্যাসে ম্যা কাহুঁ তুঝছে" | সোনু নিগম | ০১ঃ০২ |
"যারা যারা" | বম্বে জয়শ্রী | ০৪ঃ৫৮ |
"বোলো বোলো" | শান | ০৫ঃ৫৫ |
"দিল কো তুমছে" | রূপ কুমার রাঠোড় | ০৫ঃ৩১ |
"ছাচ ক্যাহ রাহা হে" | কেকে | ০৫ঃ২৭ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.