Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ম্যাকবুক প্রো (যেটিকে এমবিপিও বলা হয়)[1] হলো ম্যাকিনটশ বহনযোগ্য কম্পিউটারের একটি ধারাবাহিকতা যা অ্যাপল ২০০৬সালের জানুয়ারিতে উন্মোচন করে। এটি ম্যাকবুক পরিবারের উন্নত মডেল যেটি বর্তমানে ১৩ এবং ১৫ ইঞ্চি পর্দার আকারে পাওয়া যায়। ২০০৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত এটির একটি ১৭ ইঞ্চির সংস্করণ বাজারে পাওয়া যেত।
ম্যাকবুক প্রো | |
---|---|
উন্নয়নকারী | অ্যাপল |
প্রস্তুতকারক | ফক্সকন পেগাট্রন |
পণ্য পরিবার | ম্যাকবুক |
ধরন | ল্যাপটপ |
মুক্তির তারিখ |
|
অপারেটিং সিস্টেম | ম্যাক |
সিপিইউ | ইন্টেল কোর আই৫, কোর আই৭, কোর আই৯ (বর্তমান সংস্করণ) |
পূর্বসূরী | পাওয়ারবুক জি৪ |
সম্পর্কিত নিবন্ধ | ম্যাকবুক, ম্যাকবুক এয়ার, আইম্যাক |
ওয়েবসাইট | www |
প্রথম প্রজন্মের ম্যাকবুক প্রো বাহ্যিকভাবে পাওয়ারবুক জি৪ এর মতো, কিন্তু এটিতে পাওয়ারপিসি জি৪ চিপের পরিবর্তে ইন্টেল কোরপ্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ১৫-ইঞ্চির মডেলটি প্রথম উন্মোচন করা হয় ২০০৬সালের জানুয়ারিতে; ১৭-ইঞ্চির মডেলটি ঐ বছরেরই এপ্রিলে প্রকাশ করা হয়। এই উভয় মডেলটি ২০০৬সালের শেষের দিকে বিভিন্ন হালনাগাদ পায় এবং এগুলোতে কোর ২ ডুয়ো প্রসেসর দেয়া হয়।
এই পণ্যের পরবর্তী সংস্করণ, যেটি "ইউনিবডি" মডেল হিসেবে পরিচিত, এটির আবরণ মাত্র এক টুকরা অ্যালুমিনিয়াম থেকে তৈরি। এটির অভিষেক হয় ২০০৮সালের অক্টোবরে যা ১৩ ও ১৫-ইঞ্চিতে পাওয়া যায়। ২০০৯সালের জানুয়ারিতে, ১৭-ইঞ্চির মডেলটিকে একই ইউনিবডি নকশায় হালনাগাদ করা হয়। তাছাড়া, বিভিন্ন হালানাগাদের মধ্যে ছিল ইন্টেল কোর আই৫ ও আই৭ প্রসেসর এবং এটিতে যুক্ত করা হয় ইন্টেলের থান্ডারবোল্ট প্রযুক্তি।
অ্যাপল ডাব্লিউডাব্লিউডিসি ২০১২ তে তৃতীয় প্রজন্মের ১৫-ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো মুক্তি দেয় এবং এর মাধ্যমে তারা ১৭-ইঞ্চির মডেলটিকে বন্ধকরে দেয়। আগের প্রজন্মের ১৩ এবং ১৫-ইঞ্চির ইউনিবডি মডেলগুলোতে উন্নত প্রসেসর দিয়ে এগুলোর বিক্রি চালিয়ে যাওয়া হয়। পূর্বের সংস্করণগুলো থেকে তৃতীয় প্রজন্মের মডেলগুলো বেশি পাতলা এবং এটিতেই প্রথম উচ্চ রেজুলেশনের রেটিনা পর্দা ব্যবহার করা হয়েছে। ১৩-ইঞ্চির একটি মডেল ২০১২সালের অক্টোবরে মুক্তি দেয়া হয়।
চতুর্থ প্রজন্মের ম্যাকবুক প্রোর ঘোষণা দেয়া হয় ২০১৬সালের ২৭অক্টোবর। এই প্রজন্মে সকল ডাটা পোর্ট গুলোকে ইউএসবি-সি দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয় এবং বেসলাইন মডেল ব্যতীত, ফাংশন কিগুলোকে টাচস্ক্রীন দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয় যেটিকে "টাচ বার" বলা হয়, যার পাওয়ার বাটনে টাচ আইডি সেন্সর যুক্ত করা হয়েছে।
প্রধান ১৫-ইঞ্চি ম্যাকবুক প্রো ম্যাকওয়ার্ল্ড কনফারেন্সে স্টিভ জবস ২০০৬সালের ১০জানুয়ারিতে ঘোষণা দেন।[2] ১৭-ইঞ্চি মডেলটি ২০০৬সালের ২৪এপ্রিল উন্মোচিত হয়।[3] প্রথম নকশাটির বেশিরভাগ অংশ পাওয়ারবুক জি৪ থেকে নেয়া, কিন্তু এটিতে পাওয়ারপিসি জি৪ চিপের পরিবর্তে ইন্টেল কোর সিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে।[4] ১৫-ইঞ্চি ম্যাকবুক প্রোর ওজন ১৫-ইঞ্চি অ্যালুমিনিয়াম পাওয়ারবুক জি৪ এর সমান, কিন্তু এটি ০.১ ইঞ্চি (০.২৫ সেমি) গভীর, ০.৪ ইঞ্চি (১.০ সেমি) প্রসস্থ, এবং ০.১ ইঞ্চি (০.২৫ সেমি) পাতলা।[4][5][5] পাওয়ারবুক থেকে অন্যান্য পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে আগে থেকে দেয়া আইসাইট ওয়েবক্যাম এবং অভ্যন্তরে রয়েছে ম্যাগসেফ, এটি একটি চুম্বকীয় পাওয়ার সংযোগকারী যেটি টানার সময় সহজেই খুলে যায়। এই সুবিধাটি পরবর্তীতে ম্যাকবুকে নিয়ে আসা হয়। অপটিক্যাল ড্রাইভকে আকারে ছোট করা হয় যাতে এটি পাতলা ম্যাকবুক প্রোতে এটে যায়, দেখা যায় এটি পাওয়ারবুক জি৪ এর অপটিক্যাল ড্রাইভ থেকেও ধীর এবং ডুশেল লেয়ার ডিভিডিতে তথ্য প্রেরণ করতে পারেনা।[4][6]
১৫-ইঞ্চি এবং ১৭-ইঞ্চি উভয় মডেলে এক্সপ্রেসকার্ড/৩৪ স্লট রয়েছে, যেটি পাওয়ারবুক জি৪ এর পিসি কার্ড এর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছ। প্রথম প্রজন্মের সকল ১৫-ইঞ্চি মডেলে দুটি ইউএসবি ২.০ পোর্ট এবং একটি ফায়ারওয়ার ৪০০ পোর্ট রয়েছে,[7] যেখানে ১৭-ইঞ্চি মডেলে তিনটি ইউএসবি ২.০ এবং একটি ফায়ারওয়ার ৪০০ পোর্ট রয়েছে।[8] প্রথম যখন ঘোষণা করা হয় তখন ম্যাকবুক প্রোতে কোন ফায়ারওয়ার ৮০০ বা এস-ভিডিও পোর্ট ছিলনা,[5][7] যদিও পরবর্তী ১৫-ইঞ্চির মডেলে ফায়ারওয়ার ৮০০ যুক্ত করা হয়[9] এবং এটি প্রতিটি ১৭-ইঞ্চির মডেলে রয়েছে।[8] ডিভিআই থেকে এস-ভিডিও এডাপ্টার ব্যবহার করে এস-ভিডিও সুবিধা পাওয়া যায়।[5] ডুয়েল-লিঙ্ক ডিভিআই পোর্ট ব্যবহার করে টেমপ্লেট:Resx পিক্সেল পর্যন্ত বাহ্যিক পর্দা/ডিসপ্লে এটির সাথে ব্যবহার করা যায়।[10] সকল মডেলে পূর্বে থেকেই গিগাবাইট এথারনেট পোর্ট, ব্লুটুথ ২.০ এবং আইইইই ৮০২.১১ রয়েছে।[7][8] পরবর্তী মডেলগুলোতে আইইইই আইইইই ৮০২.১১এন এর ২.০ সংস্করণ[11] এবং ব্লুটুথ ২.১ সুবিধা ছিল।
পুরনো |
প্রথম প্রজন্মের ম্যাকবুক প্রো মডেলের টেবিল | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
উপাদান | ইন্টেল কোর ডুয়ো | ইন্টেল কোর ২ ডুয়ো | ||||
মডেল | ২০০৬সালের শুরুতে[7][8][12] | ২০০৬সালের শেষে[11] | ২০০৭সালের মাঝে[13] | ২০০৭সালের শেষে[14] | ২০০৮সালের শুরুতে[10] | ২০০৮সালের শেষে |
মুক্তির তারিখ | ১০জানুয়ারি, ২০০৬ (১৫"),[2] ২৪এপ্রিল, ২০০৬ (১৭")[3] | ২৪অক্টোবর, ২০০৬[9] | ৫জুন, ২০০৭[15] | ১নভেম্বর, ২০০৭[16] | ২৬ফেব্রুয়ারি, ২০০৮[17] | ১৪অক্টোবর, ২০০৮[18] |
অ্যাপল অর্ডার নাম্বার | এমএ৪৬৩*/এ বা এমএ৪৬৪*/এ; এমএ৬০০* বা এমএ৬০১*; এমএ০৯২*/এ | এমএ৬০৯*, এমএ৬১০*, বা এমএ৬১১*/এ | এমএ৮৯৫*, এমএ৮৯৬*, বা এমএ৮৯৭* | এমএ৮৯৫*/এ, এমএ৮৯৬*/এ, বা এমএ৮৯৭*/এ | এমবি১৩৩*/এ, এমবি১৩৪*/এ, বা এমবি১৬৬*/এ | এমবি৭৬৬*/এ |
মডেল নাম্বার | এ১৫০ (১৫"), এ১১৫১ (১৭") | এ১২১১ (১৫"), এ১২১২ (১৭") | এ১২২৬ (১৫"), এ১২২৯ (১৭") | এ১২৬০ (১৫"), এ১২৬১ (১৭") | এ১২৬১ | |
মডেলের নাম | ম্যাকবুক প্রো১,১, ম্যাকবুক প্রো১,২ | ম্যাকবুক প্রো২,১, ম্যাকবুক প্রো২,২ | MacBookPro3,1 | ম্যাকবুক প্রো৪,১ | ম্যাকবুক প্রো৪,১ (পুনঃতালিকাভুক্ত) | |
ওয়াইডস্ক্রিন ডিসপ্লে (অনুজ্জ্বল বা উজ্জ্বল)[note 1] |
১৫.৪", LCD, টেমপ্লেট:Resx | ১৫.৪", LCD, টেমপ্লেট:Resx, with LED backlighting | — | |||
১৭", এলসিডি, টেমপ্লেট:Resx | ১৭", এলসিডি, টেমপ্লেট:Resx ঐচ্ছিক টেমপ্লেট:Resx |
১৭", এলসিডি, টেমপ্লেট:Resx ঐচ্ছিক টেমপ্লেট:Resx, সাথে এলইডি ব্যাকলাইটিং |
১৭", এলইডি, টেমপ্লেট:Resx, সাথে এলইডি ব্যাকলাইটিং | |||
প্রসেসর | ১.৮৩ গিগাহার্জ (টি২৪০০), ২.০ গিগাহার্জ (টি২৫০০) বা ২.১৬2 গিগাহার্জ (টি২৬০০) ইন্টেল কোর ডুয়ো ইয়োনাহ সাথে ২ এমবি অন-চিপ সিপিইউ ক্যাশে | ২.১৬ গিগাহার্জ (টি৭৪০০) বা ২.৩৩ গিগাহার্জ (টি৭৬০০) ইন্টেল কোর ২ ডুয়ো মেরম সাথে ৪এমবি অন-চিপ এল২ ক্যাশে | ২.২ গিগাহার্জ (টি৭৫০০) বা ২.৪ গিগাহার্জ (টি৭৭০০) ইন্টেল কোর ২ ডুয়ো মেরম সাথে ৪এমি অন-চিপ এল২ ক্যাশে | ২.২ গিগাহার্জ (টি৭৫০০) বা ২.৪ গিগাহার্জ (টি৭৭০০) ইন্টেল কোর ২ ডুয়ো মেমরির সাথে ৪ এমবি অন-চিপ এল২ ক্যাশে ঐচ্ছিক ২.৬ গিগাহার্টজ (টি৭৮০০) সাথে ৪ এম্বি অন-চিপ এল২ ক্যাশে |
২.৪ গিগাহার্জ (টি৮৩০০) ইন্টেল কোর ২ ডুয়ো পেনরিন সাথে ৩ এম্বি অন-চিপ এল২ ক্যাশে, বা ২.৫ গিগাহার্জ (টি৯৩০০) সাথে ৬ এম্বি অন-চিপ এল২ ক্যাশে ঐচ্ছিক ২.৬ গিগাহার্জ (টি৯৫০০) সাথে ৬ এম্বি অন-চিপ এল২ ক্যাশে |
২.৫ গিগাহার্জ (টি৯৩০০) ইন্টেল কোর ২ ডুয়ো পেনরিন সাথে ৬ এম্বি অন-চিপ এল২ ক্যাশে ঐচ্ছিক ২.৬ গিগাহার্জ (টি৯৫০০) সাথে ৬ এম্বি অন-চিপ এল২ ক্যাশে |
সম্মুখের বাস | ৬৬৭ মেগাহার্জ | ৮০০ মেগাহার্জ | ||||
মেমোরি পিসি২-৫৩০০ ডিডিআর২ এসডির্যামের দুটি স্লট (৬৬৭ মেগাহার্জ) |
৫১২এম্বি (দুটি ২৫৬এম্বি) বা ১জিবি (দুটি ৫১২এম্বি) ২জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যায়[note 2] |
১জিবি (দুটি ৫১২এম্বি) বা ২জিবি (দুটি ১জিবি) ৪জিবি[note 2] পর্যন্ত বাড়ানো যায়, কিন্তু ৩টি কার্যকর[19] |
২জিবি (দুটি ১জিবি) বাড়ানো যায়[note 2] ৬জিবি পর্যন্ত[note 3][20] |
৪জিবি (দুটি ২জিবি) বাড়ানো যায়[note 2] ৬জিবি পর্যন্ত[note 3][20] | ||
গ্রাফিক্স সাথে ডুয়েল লিঙ্ক ডিভিআই |
রেডিয়ন আর৫২০ সাথে ১২৮এম্বি বা ২৫৬এম্বি জিডিডিআর৩ এসডির্যাম | এনভিডিয়া জিফোর্স ৮৬০০এম সিরিজ সাথে ১২৮এম্বি বা ২৫৬এম্বি জিডিডিআর৩ এসডির্যাম | এনভিডিয়া জিফোর্স ৮৬০০এম জিটি সাথে ২৫৬এম্বি বা ৫১২এম্বি জিডিডিআর৩ এসডির্যাম | এনভিডিয়া জিফোর্স ৮৬০০এম জিটি সাথে ৫১২এম্বি জিডিডিআর৩ এসডির্যাম[21] | ||
হার্ড ড্রাইভ[note 4] | ৮০জিবি, ১০০জিবি, বা ১২০জিবি আটা সিরিয়াল, ৫৪০০ আরপিএম ঐচ্ছিক ১০০জিবি ৭,২০০ আরপিএম বা ১২০জিবি ৫৪০০ আরপিএম |
১২০জিবি, ১৬০জিবি বা ২০০জিবি সিরিয়াল আটা, ৫৪০০আরপিএম ঐচ্ছিক ১০০জিবি, ৭,২০০আরপিএম। |
১২০জিবহ বা ১৬০জিবি সিরিয়াল আটা, ৫,৪০০আরপিএম ঐচ্ছিক ২৫০জিবি, ৪২০০আরপিএম বা ১৬০জিবি, ৭,২০০আরপিএম। |
১২০জিবি বা ১৬০জিবি সিরিয়াল আটা, ৫,৪০০আরপিএম ঐচ্ছিক ২৫০জিবি, ৫,৪০০আরপিএম বা ২০০জিবি, ৭,২০০আরপিএম |
২০০জিবি বা ২৫০জিবি সিরিয়াল আটা, ৫,৪০০আরপিএম ঐচ্ছিক ২০০জিবি ৭,২০০আরপিএম বা ৩০০জিবি ৪,২০০আরপিএম। |
২৫০জিবি সিরিয়াল আটা, ৫,৪০০আরপিএম ঐচ্ছিক ৩২০ জিবি, ৭,২০০-আরপিএম বা ১২৮ জিবি এসএসডি। |
সাটা ১ (১.৫গি/সে) | ||||||
অপটিকাল ডিস্ক ড্রাইভ[note 5] | কম্বো ড্রাইভ: ৮× ডিভিডি রিড, ২৪× সিডি-আর এবং ১০× সিডি-আরডাব্লিউ রেকর্ডিং সুপারড্রাইভ: ৮× ডিভিডি ডিএল ডিস্কস রিড। ৪× ডিভিডি+/-আর ও আরডাব্লিউ রেকর্ডিং। ২৪× সিডি-আর এবং ১০× সিডি-আরডাব্লিউ রেকর্ডিং |
সুপারড্রাইভ: ২.৪× ডিভিডি+আর ডিএল রাইটস, ৬× ডিভিডি+/-আর রিড, ৪× ডিভিডি+/-আরডাব্লিউ রাইটা, ২৪× সিডি-আর, এবং ১০× সিডি-আরডাব্লিউ রেকর্ডিং বা ৪× ডিভিডি+আর ডিএল রাইটস, ৮× ডিভিডি+/-আর রিড/রাইট, ৪× ডিভিডি+/-আরডাব্লিউ রাইটস, ২৪× সিডি-আর, এবং ১০× সিডি-আরডাব্লিউ রেকর্ডিং | সুপারড্রাইভ: ৪× ডিভিডি+আর ডিএল রাইটস, ৮× ডিভিডি+/-আর রিড/রাইট, ৪× ডিভিডি+/-আরডাব্লিউ রাইটস, ২৪× সিডি-আর, এবং ১০× সিডি-আরডাব্লিউ রেকর্ডিং | সুপারড্রাইভ: ৪× ডিভিডি+আর ডিএল রাইটস, ৮× ডিভিডি+/-আর রিড/রাইট, ৮× ডিভিডি+আরডাব্লিউ রাইটস, ৬× ডিভিডি-আরডাব্লিউ রাইটস, ২৪× সিডি-আর, এবং ১৬× সিডি-আরডাব্লিউ রেকর্ডিং | ||
এয়ারপোর্ট এক্সট্রিম | সংযুক্ত আইইইই ৮০২.১১ (কোয়ালকম এথেরস এআর৫০০৭ চিপসেট) | সংযুক্ত আইইইই ৮০২.১১ (এন পূর্বে থেকে অকেজো)[note 6][22][23] (কোয়ালকম এথেরোস এআর৫০০৮ চিপসেট) | Integrated 802.11a/b/g and draft-n (n enabled) (কোয়ালকম এথেরস এআর৫০০৮ বা ব্রডকম বিসিএম৪৩২২ চিপসেট, সংস্করণের উপর নির্ভর করে) | |||
প্রান্তস্থ সংযোগ | ২x ইউএসবি ২.০ (১৫") বা ৩x ইউএসবি ২.০ (১৭") | ৩x ইউএসবি ২.০ | ||||
১x ফায়ারওয়ার ৪০০ (১৫") বা ১x ফায়ারওয়ার ৪০০ এবং ১x ফায়ারওয়ার ৮০০ (১৭") | ১x ফায়ারওয়ার ৪০০ এবং ১x ফায়ারওয়ার ৮০০ | |||||
এক্সপ্রেস কার্ড, গিগাবিট এথারনেট, ডিজিটাল ভিজুয়াল ইন্টারফেস, অডিও লাইন ইন/আউট | ||||||
সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত অপারেটিং সিস্টেম | ম্যাক ওএস এক্স স্নো লেপবার্ড | ম্যাক ওএস এক্স লায়ন | ওএস এক্স এল ক্যাপিটান | |||
ব্যাটারি (লিথিয়াম পলিমার, খোলারযোগ্য) | ৬০ ওয়াট-ঘণ্টা (১৫") | — | ||||
৬৮ ওয়াট-ঘণ্টা (১৭") | ||||||
ওজন | ৫.৬ পা (২.৫ কেজি) (১৫") | ৫.৪ পা (২.৪ কেজি) (১৫") | — | |||
৬.৮ পা (৩.১ কেজি) (১৭") | ||||||
আকার | ১৪.১ ইঞ্চি (৩৬ সেমি) wide × ৯.৬ ইঞ্চি (২৪ সেমি) deep × ১.০ ইঞ্চি (২.৫ সেমি) (১৫") | — | ||||
১৫.৪ ইঞ্চি (৩৯ সেমি) wide × ১০.৪ ইঞ্চি (২৬ সেমি) deep × ১.০ ইঞ্চি (২.৫ সেমি) (১৭") |
১৪ অক্টোবর ২০০৮ সালে, অ্যাপলের সদর দপ্তরে একটি সংবাদ সম্মেলনে অ্যাপল নতুন ১৫-ইঞ্চি ম্যাকবুকের ঘোষণা দেয় যেটি নির্ভুল অ্যালমিনিয়াম ইউনিবডি দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং ম্যাকবুক এয়ার এর মতো এর পার্শ্বগুলো বাঁকানো।[24][25] নকশাকাররা ম্যাকবুক প্রোর পোর্টগুলোকে আবরণের বাম পাশে প্রতিস্থাপন করেছেন, এবং অপ্টিকেল ডিস্ক ড্রাইভ স্লটটিকে সামনে থাকে ডান পাশে সরিয়ে এনেছেন, যা অনেকটা ম্যাকবুক এর মতো। নতুন ম্যাকবুক প্রোতে দুটি ভিডিও কার্ড ছিল, ব্যবহারকারীরা ইচ্ছে করলে দুটির মাঝে পরিবর্তন করতে পারতেনঃ ২৫৬এম্বি বা ৫১২এম্বির সাথে এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৬০০এম জিটি এবং ২৫৬এম্বি সিস্টেম মেমোরির সাথে একটি জিফোর্স ৯৪০০এম।[24] ফায়ারওয়াইর ৪০০ পোর্টটিকে সরিয়ে ফেলা হলেও ফায়ারওয়ার ৮০০ পোর্টটি রয়ে যায়। ডিভিআই পোর্টটিকে সরিয়ে একটি মিনি ডিসপ্লে পোর্ট লাগানো হয়।[24] আসল ইউনিবডি ম্যাকবুক প্রোতে ব্যবহারকারীর পক্ষে সরানোযোগ্য ব্যাটারি ছিল; অ্যাপল ৫ঘণ্টা ব্যবহারের দাবি করে,[24] যেখানে একজন ব্যাটারির পরীক্ষা করার ভিডিওর মাধ্যমে ব্যাটারির সময়কাল ৪ ঘণ্টা দাবি করে। অ্যাপল বলপ ৩০০বার রিচার্জ করার পর ব্যাটারিটি তার ৮০ শতাংশ চার্জ ধরে রাখতে সক্ষম।[26]
ম্যাকবুক প্রোর ইউনিবডি গঠন মূলত অ্যালুমিনিয়াম আইম্যাক এবং ম্যাকবুক এয়ার এর নকশার আধলে গঠিত যা পূর্বের সংস্করণগুলো থেকে হালকা পাতলা, আর প্রশস্ত পর্দার জন্য এটি একটি প্রশস্থ এবং গভীর।[24] এর পর্দাটি অনেক উজ্জ্বল, যেটিকে কোণা থেকে কোণা কাচের আবরণ দেয়া হয়েছে। যদিও ১৫ ও ১৭-ইঞ্চির মডেলগুলোতে এন্টি-গ্লেয়ার প্রযুক্তিরও কিছু সংস্করণ রয়েছে যেগুলো থেকে কাচের প্যানেলকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।[27] সম্পূর্ণ ট্র্যাকপ্যাডটিকে ব্যবহার করা যায় এবং এটি একটি ক্লিক করার মতো বাটন হিসেবে কাজ করে।[27] ট্র্যাকপ্যাডটি প্রথম প্রজন্মের মডেলগুলো থেকে বড়, যার কারণে স্কর্রল করা এবং মাল্টি টাচ করার জন্য অধিক জায়গা পাওয়া যায়।[27] ২০১০সালের এপ্রিলে লাইন হালনাগাদ করার সময়, ইনারশিয়াল স্ক্রলিং প্রযুক্তি যোগ করা হয়, যার কারণে এটিতে স্ক্রল করা অনেকটা আইফোন এবং আইপ্যাডের মতো মনে হয়।[28][29] কি সমূহ যেগুলো আলো জ্বলত বর্তমানে সেগুলোর জায়গায় অ্যাপলের কালো কির সাধারণ কিবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে।[28]
২০০৯সালের ৯জানুয়ারি ম্যাকওয়ার্ল্ড এক্সপোতে ফিল স্কিল্লার ইউনিবডি গঠনের একটি ১৭-ইঞ্চি ম্যাকবুক প্রোর ঘোষণা দেন। এই সংস্করণটি মূলত ১৫-ইঞ্চি সংস্করণ থেকে নেওয়া যেটিতে এন্টি-গ্লেয়ার পর্দা রয়েছে (সাথে সাধারণ উজ্জ্বল পর্দা রয়েছে) এবং এটিতে একটি অপসারণযোগ্য লিথিয়াম ব্যাটারি রয়েছে।[30] সাধারণ গোলাকার ব্যাটারির পরিবর্তে, এই ব্যাটারিগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ল্যাপটপের সম্পূর্ণ জায়গার সঠিক ব্যবহার করা যায়। পরিবর্তনশীল চার্জিং, যেটাতে একটি চিপ ব্যবহার করা হয়েছে যা চার্জের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, এটি ব্যাটারির সচল থাকার ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। [30] ১৭-ইঞ্চি সংস্করণের ব্যাটরি ৮ঘণ্টা সচল থাকতে পারে, আর ১০০০বার চার্জ-ডিসচার্জ করার পর এটির চার্জ ৮০% টিকে থাকে।[30]
১১ জুন, ২০১২সালে, স্যান ফ্রান্সিসকোর অ্যাপল ওয়ার্লডওয়াইড ডেভেলপার্স কনফারেন্সে অ্যাপল তৃতীয় প্রজন্মের ম্যাকবুক প্রো উন্মোচন করে। এটিকে পূর্বের মডেলগুলো থেকে আলাদা করার জন্য "ম্যাকবুক প্রো উইথ রেটিনা ডিসপ্লে" নামে বাজারজাত করে।[31] নতুন মডেলে ইন্টেল তৃতীয় প্রজন্মের কোর আই৭ প্রসেসরের আইভি ব্রিজ মাইক্রোআর্কিটেক্সার, উইএসবি ৩.০, এবং একটি ১৫.৪" উচ্চ-রেজুলেশনের আইপিএস ২৮৮০×১৮০০ পিক্সেলের রেটিনা ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে।[32] অন্যান্য নতুন বা পরিবর্তিত ফিচারের মাঝে যুক্ত করা হয়েছে দ্বিতীয় একটি থান্ডারবোল্ট পোর্ট, এইচডিএমআই পোর্ট এবং একটি পাতলা ম্যাগসেফ পোর্ট, যাকে "ম্যাগসেফ ২" বলা হয়।[33] অ্যাপল ২৩অক্টোবর, ২০১২ সালে একই বৈশিষ্ট্য দিয়ে ১৩-ইঞ্চির একটি সংস্করণ উন্মোচন করে। কিন্তু এটি ১৫-ইঞ্চি সংস্করণ থেকে কিছুটা অনুন্নত ছিল, যেমন এটিতে কম শক্তিশালী প্রসেসর ব্যবহার করা হয়।[34]
অ্যাপল তাদের সদরদপ্তরে ২০১৬সালের ২৭অক্টোবর একটি সংবাদ সম্মেলনের সময় চতুর্থ প্রজন্মের ১৩ ও ১৫-ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রোর মডেলগুলো উন্মোচন করে। ১৩-ইঞ্চির মডেল ব্যতীত, সকল মডেলে টাচ বার দেয়া হয়, এটি কিবোর্ডের উপরে ফাংশন কির জায়গায় একটি মাল্টি-টাচ সংবলিত ওলেড পর্দা। টাচ বার মডেলগুলোতে টাচ বারের ডানের কোণায় গোলাকার কাচের আবরণে ঢাকা টাচ আইডি সেন্সর রয়েছে যেটি পাওয়ার বাটন হিসেবেও কাজ করে। এই মডেলগুলোতে "দ্বিতীয় প্রজন্মের" বাটারফ্লাই যান্ত্রিকতার কিবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে যা রেটিনা ম্যাকবুকের প্রথম কিবোর্ডগুলো থেকেও বেশিদিন চলে। ১৩-ইঞ্চির মডেলের ট্র্যাকপ্যাডটি পূর্বের সংস্করণ থেকে ৪৬% বড় এবং ১৫-ইঞ্চি মডেলের ট্র্যাকপ্যাডটি পূর্বের প্রজন্মের মডেল থেকে দ্বিগুন বড়।
আইফিক্সিট এই মডেলগুলোকে মেরামতযোগ্য হিসেবে ১০ ভেতর ১ নাম্বার দেয়। তারা লক্ষ্য করে মেমোরি, প্রসেসর এবং ফ্ল্যাশ স্টোরেজ লজিক বোর্ডের সাথে ঝালাই করা, আর ব্যাটারিটি কেসের সাথে আঠা দিয়ে লাগানো। সম্পূর্ণ গঠনটিতে পেন্টালোভ স্ক্রু ব্যবহার করা হয়েছে যা সাধারণ যন্ত্রপাতি দিয়ে খোলা সম্ভব নয়।[35]
মুক্তির পর থেকে সকল ম্যাকবুক প্রোতে ম্যাকওএস অপারেটিং সিস্টেম পূর্বইন্সটল হিসেবে থাকে, এটি ম্যাক ওএস এক্স টাইগার সংস্করণ থেকে শুরু হয়।[2] ওএস এক্স এর পাশাপাশি, আইলাইফ সকল সিস্টেমের সাথে আসে, যা আইলাইফ '০৬ থেকে শুরু হয়।[2]
ম্যাকবুক প্রোতে বায়োস এর পরিবর্তে এক্সটেন্সিবল ফার্মওয়ার ইন্টারফেস (ইএফআই) ১.১ ব্যবহার করা হয়েছে। ইএফআই বায়োস ভিত্তিক কম্পিউটারগুলো থেকে আলাদাভাবে বুটিং সম্পাদন করে থাকে।[36] কিন্তু এটি আগের সংস্করণে ফিরে যাওয়ার সুবিধা দিয়ে থকে, ফলে এতে দুটি এবং তিনটি বুট সুবিধা ব্যবহার করা যায়। ওএস এক্স এর পাশাপাশি, ইন্এেল এক্স৮৬ ভিত্তিক অ্যাপল কম্পিউটারগুলোতে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ইনস্টল করা যায়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে, বুট ক্যাম্প সফটওয়্যারেে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ড্রাইভার দেয়া থাকে যার ফলে উন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিস্টা, উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮ এবং উইন্ডোজ ১০ এর ৩২-বিট এবং ৬৪-বিট উভয় সংস্করণ ব্যবহার করা যায়। [37][38] অন্যান্য এক্স৮৬ অপারেটিং সিস্টেমগুলো যেমন লিনাক্সও অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে এতে ব্যবহার করা যায়।[39] এমনটি সম্ভব হয়েছে ইন্টেলের গঠনের জন্য যেটিতে অ্যাপল ইএফআই এর পাশাপাশি সিপিইউ এবং বায়োস ইমুলেশন প্রদান করেছে।[40][41]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.