Remove ads
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মৌলিক একক:
আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে পরিমাপ করি। যেমন: সময় বলার সময়, জিনিস কেনার সময়, জ্বর মাপার সময়। তাই আমাদের একটি নির্দিষ্ট একক প্রয়োজন। এর জন্য একটি পরিমাপ করার সাধারণ পদ্ধতি রয়েছে। এর নাম এস.আই পদ্ধতি। এর পূর্ণরূপ হলো ইন্টারন্যাশনাল সিস্টেম অব ইউনিট। ১৯৬০ সালে এই পদ্ধতি পৃথিবীর সমস্ত দেশে এই পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে পৃথিবীর সকল দেশ সকল ভৌত রাশির জন্য শুধু একটি নির্দিষ্ট একক ব্যবহার করে। মৌলিক কোনো রাশি মাপার জন্যও এস.আই কর্তৃক মৌলিক কিছু একক দেওয়া হয়েছে। এগুলোকে মৌলিক একক বলে। মৌলিক একক হলো কোনো মৌলিক রাশিকে পরিমাপ করার একক। মৌলিক কিছু পরিমাপের জন্য ৭টি মৌলিক একক রয়েছে। যথা: ওজনের জন্য কিলোগ্রাম, সময়ের জন্য সেকেন্ড, দৈর্ঘের জন্য মিটার, আলোক ঔজ্জ্বল্যের জন্য ক্যান্ডেলা, তাপমাত্রার জন্য কেলভিন, বিদ্যুত প্রবাহের জন্য অ্যাম্পিয়ার, পদার্থ পরিমাণের জন্য মৌল। এই সবগুলো মৌলিক একক। মৌলিক এককের প্রতেকটিই স্বয়ংসমপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতিতে সাতটি মৌলিক একক রয়েছে: কিলোগ্রাম,মিটার,ক্যান্ডেলা,সেকেন্ড, অ্যাম্পিয়ার, কেলভিন এবং মোল।
ভৌত পরিমাণের মৌলিক মাত্রাগুলির সেটই হচ্ছে ন্যূনতম এককের একটি সেট এবং এককের সেই সেট দিয়েই ভৌত পরিমাণকে প্রকাশ করা হয়। ভৌত পরিমাণের ঐতিহ্যগত মৌলিক মাত্রাগুলি হ'ল ভর, দৈর্ঘ্য, সময়, চার্জ এবং তাপমাত্রা। তবে নীতিগতভাবে অন্যান্য মৌলিক পরিমাণগুলিও ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন চার্জের পরিবর্তে বৈদ্যুতিন কারেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা দৈর্ঘ্যের পরিবর্তে গতি ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু পদার্থবিজ্ঞানী তাপমাত্রাকে ভৌত পরিমাণযোগ্য মৌলিক মাত্রা হিসাবে স্বীকৃতি দেন না। কারণ এটি কেবল মাত্র প্রতি কণার প্রতি মুক্ত ডিগ্রিকে প্রকাশ করে। সুতরাং একে শক্তি (বা ভর, দৈর্ঘ্য এবং সময়) হিসাবেও প্রকাশ করা যেতে পারে। এছাড়াও কিছু পদার্থবিজ্ঞানী বৈদ্যুতিক চার্জকে ভৌত পরিমাণের একটি পৃথক মৌলিক মাত্রা হিসাবে স্বীকৃতি দেন। যদিও এটি ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক সিজিএস পদ্ধতির মতো ভর, দৈর্ঘ্য এবং সময়ের একক পদ্ধতি দিয়ে প্রকাশ করা যায়। এমন পদার্থবিদরাও আছেন যাঁরা বেমানান মৌলিক পরিমাণের অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ পোষণ করেন।[1]
ভৌত পরিমাণের মধ্যে অন্যান্য সম্পর্ক রয়েছে যা মৌলিক ধ্রুবকের মাধ্যমে প্রকাশ করা যেতে পারে। কিছুটা হলেও এটি একটি স্বেচ্ছা সিদ্ধান্ত হয়ে পড়ে যে মাত্রা সহ একটি পরিমাণ হিসাবে মৌলিক ধ্রুবক বজায় রাখতে হবে নাকি কেবল এটি ঐক্য বা একটি স্থির হিসাবে সংজ্ঞায়িত মাত্রাবিহীন সংখ্যা রূপে বিবেচ্য থাকবে এবং এক দিয়ে সুস্পষ্ট মৌলিক ধ্রুবকের সংখ্যা হ্রাস করা হবে। অন্টোলজিকাল বিষয়ে এই ধন্দ দেখাই যায় যে সত্যিই এই মৌলিক ধ্রুবকগুলির অস্তিত্ব মাত্রাযুক্ত নাকি মাত্রাবিহীন পরিমাণ মাত্র।
উদাহরণস্বরূপ সময় এবং দূরত্ব আলোর গতির দ্বারা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। এখানে c (সি) একটি মৌলিক ধ্রুবক। সময় বা একক দূরত্বকে দূর করার জন্য এই সম্পর্কটি ব্যবহার করা সম্ভব। একই রকমভবে বিবেচ্য হবে প্ল্যাঙ্ক ধ্রুবক-এর ক্ষেত্রটিও। সেখানে h (এইচ) শক্তি (ভর, দৈর্ঘ্য এবং সময় মাত্রার নিরিখে) থেকে ফ্রিকোয়েন্সির (সময়ের সাথে পরিমাপযোগ্য মাত্রার সাথে) সাথে সম্পর্কিত। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে এ জাতীয় প্রাকৃতিক একক ব্যবহার করার প্রচলন রয়েছে যেখানে c = ১ এবং ħ = ১। একই ধরনের ব্যবহারিক প্রয়োগ ভ্যাকুয়াম পারমিটিভিটি এর ক্ষেত্রে করা যেতে পারে ε০।
বিশেষত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান এর জন্য একটি বহুল ব্যবহৃত পছন্দ প্ল্যাঙ্ক একক সিস্টেমের ব্যবহার। সেখানে এই সেট দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয় ħ = c = G = kB = ke = ১।
প্রাকৃতিক একক ব্যবহার করে প্রতিটি ভৌত পরিমাণকে মাত্রাবিহীন সংখ্যা হিসাবে প্রকাশ করা যায়। এই ব্যাপারটি ন্যূনতম মৌলিক ভৌত পরিমাণের অস্তিত্বকে বিতর্কের মুখে ঠেলে দেয়। [1][2][3]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.