Loading AI tools
সাবেক সেনাপ্রধান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ( ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ - ২০ ডিসেম্বর ২০২৩) একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন।
মোহাম্মদ আতিকুর রহমান | |
---|---|
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান | |
কাজের মেয়াদ ৩১ আগস্ট ১৯৮৬ – ৩০ আগস্ট ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ |
উত্তরসূরী | নুরউদ্দীন খান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ |
মৃত্যু | ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ৯২) | (বয়স
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
লেফট্যানেন্ট জেনারেল |
মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ-ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার খারেরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুর রহমান ও মাতার নাম আফজলা খাতুন। তাড়া ছয় ভাই, চার বোন। নয়াদিল্লির ‘দি ইউনিয়ন একাডেমিতে’ তিনি একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করাকালীন ১৯৪৭ সালে পাক-ভারত বিভক্তির সময় তার পিতার কর্মস্থল রাওয়ালপিন্ডিতে চলে যান এবং সেখানে ‘দি গর্ডন কলেজে’ (আমেরিকার মিশনারি কলেজ) পড়াশুনা করেন।
মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ১৩ মে ১৯৫৪ সালে ৯ম পিএমএ লংকোর্সে আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান থেকে ফিরে আসেন এবং তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি এরশাদের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হওয়া দ্বিতীয় পাকিস্তানি ফেরত অফিসার ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সময় তিনি কর্নেল ছিলেন এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রামের ব্রিগেড কমান্ডার ছিলেন। ১৯৮২ সালে তিনি ক্ষমতা দখলের জন্য এরশাদের অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেছিলেন। তখন তিনি মেজর জেনারেল এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রধান ছিলেন। [1] ২৪ শে মার্চ সকালে বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ এবং নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম এ খান বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন এবং রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের কাছে একটি লিখিত বক্তব্য রাখেন এবং তার উপর চাপ প্রয়োগ করেন। রাষ্ট্রপতি বাধ্য হন সেনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দিতে। [2]
এরশাদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ১৯৮৬ সালের ৩১ আগস্টে দেশের সপ্তম সেনাপ্রধান হিসাবে নিয়োগ পান জেনারেল মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। তিনি ১৯৯০ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করেন।[3]
তিনি ১৯৯০ সালের ৩০ আগস্ট পূর্ণ সামরিক সম্মাননা সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অষ্টম সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান নুরউদ্দীন খান।[3]
অবসর গ্রহণের পর জেনারেল মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জনচক্ষুর আড়ালে রাজনীতি থেকে দূরে চলে যান। তবে ২০১৪ সালে খালেদা জিয়ার আয়োজিত ইফতার পার্টিতে যোগ দেন। [4]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.