ভারতীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মোহাম্মাদ আজহারউদ্দীন (উর্দু: محمد اظہر الدین; ; (জন্ম: ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩) হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার। তিনি একজন মার্জিত ব্যাটসম্যান ছিলেন এবং ১৯৯০ শতকে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালে অর্জুন পুরস্কার লাভ করেন।[২]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হায়দ্রাবাদ, অন্ধ্র প্রদেশ, ভারত | ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | আজজু আজজু ভাই[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডান হাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি সিম বোলিং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৯) | ৩০ ডিসেম্বর ১৯৮৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ মার্চ ২০০০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫১) | ২০ জানুয়ারি ১৯৮৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ জুন ২০০০ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮১–২০০০ | হায়দ্রাবাদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৩–২০০০ | দক্ষিণ জোন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১–১৯৯৪ | ডাবিশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: CricketArchive, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ |
মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন | |
---|---|
![]() | |
সংসদ সদস্য | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০০৯ | |
পূর্বসূরী | শফিকুর রহমান বার্ক |
নির্বাচনী এলাকা | মোরাদাবাদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
ধর্ম | ইসলাম |
১ জুলাই, ২০০৯ অনুযায়ী |
আজহারউদ্দিন লোকসভায় ভারতের সংসদ নিম্ন কক্ষ থেকে উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ এর নির্বাচকমণ্ডলী থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস একজন সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন।
৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ তারিখে মোহাম্মদ আজিজউদ্দিন এবং ইউসুফ সুলতানার দম্পতির সন্তান মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন হায়দরাবাদে জন্ম গ্রহণ করেন। আজহার একজন জনপ্রিয় পরিচিত ব্যক্তি হিসাবে হায়দ্রাবাদ বেড়ে ওঠেন এবং অল সেইন্ট হাইস্কুল পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। এছাড়াও বেনতাটাপথী রাজু এবং ক্রিস্ট্মাস ডেভিড ভারতীয় ক্রিকেটার এই একই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীকালে, ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজাম কলেজ থেকে বাণিজ্য ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩]
তৎকালীন অন্ধ্র প্রদেশের (বর্তমানে তেলেঙ্গানা) রাজ্যের হায়দরাবাদে নিজাম শহরে জন্মগ্রহণকারী আজহার শৈশব থেকেই তার ক্রিকেট খেলার অতুলনীয় প্রতিভা নজর কারে অনেকেরই তার লেগ সাইডে কব্জি স্ট্রোক দেখে বিশ্ব খ্যাতিমান ক্রিকেটার জহির আব্বাস, গ্রেগ চ্যাপেল এবং বিশ্বনাথের কথা মনে করিয়ে দেয়। ১৯৮১ সালে হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম শ্রেণি ক্রিকেট আত্মপ্রকাশ করেন এবং তার ঠিক তিন বছর পর, ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮৪ তারিখে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি তার প্রথম তিনটি ম্যাচে তিনটি সেঞ্চুরি করে একটি রেকর্ড করেন, যা আজও অটুট।[৪] ১৯৯০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে, করা ১২১ রানের আক্রমণাত্মক লড়াইয়ের কথা সোনালী অক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল। ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক গ্রাহাম গুচ ৩৩৩ এর ইনিংস করার ফলে ভারত বিপাকে পড়েছিল। উত্তরে ভারত শুরুটা ভালো করতে পারেনি, পাঁচ নম্বরে আজহার যখন ব্যাট করতে নামেন তখন ভারতকে ফলোঅনের সম্মুখীন ছিল তিনি মাত্র ৮৮ বলে ১২১ রানের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছিলেন যদিও তিনি ভারতকে জেতাতে পারেননি। খেলারটি পর ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিক মার্কস, অবজার্ভারে তার কলমে লিখেছিলেন "তার দেখা সবচেয়ে চমকপদ টেস্ট সেঞ্চুরি"। [৫]
প্রধানত আজহার একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, তার স্লিপ কর্ডোন এবং আউটফিল্ডে দুর্দান্ত ফিল্ডিং জন্য পরিচিত ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, এক প্রকার জোর করিয়ে অবসর নেওয়ার সময় তার বয়স ৩৭ বছর হলেও তখনও তিনি ভারতের সেরা ফিল্ডার ছিলেন। যদিও তার শর্ট বল খেলেতে একটু অসুবিধে হলেও তার চমৎকার স্ট্রোক-প্লে তাঁকে সর্বদা সাবলীল খেলতে সাহায্য করেছিল। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ২২ টি সেঞ্চুরি ৪৫ শতাংশ গড়ে করেছিলেন এবং ওয়ানডেতে তার গড় ছিল প্রায় ৩৭ শতাংশ। ফিল্ডার হিসাবে তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৫৬ টি ক্যাচ নিয়েছিলেন। তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবন মোট ৯৯ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি তার সর্বোচ্চ ১৯৯ রান করেন। [৬] তিনি প্রথম খেলোয়াড় যিনি ৩০০ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। এখনও অবধি তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যার প্রথম তিনটি টেস্টের প্রত্যেকটিতে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব রয়েছে, তিনি এই কৃতিত্ব ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের সিরিজে করেছিলেন।[৭][৮] ১৯৮৪ সালে কলকাতায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১০ রানের হাত ধরে তার খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেছিলেন এবং ২০০০ সালে বাঙ্গালোরে (এখন বেঙ্গালুরুে) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১০ রানের হাত ধরে সমাপ্ত হয়। এখনও অবধি তিনিই একমাত্র ভারতীয় এবং বিশ্বের পঞ্চম ব্যাটসম্যান যিনি তার প্রথম ও শেষ টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি করার এই কৃতিত্ব করতে পেরেছেন।
১৯৯৬–-৯৭ মরশুমে, দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফরের সময় কলকাতায় ইডেন গার্ডেনে দ্বিতীয় টেস্টে, ভারতীয় খেলোয়াড়ে হিসাবে তিনি একটি রেকর্ড করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের ৪২৮ রানের জবাবে, তিনি মাত্র ৭৪ বল খেলে সেঞ্চুরিটি করেন এবং ভারতীয় খেলোয়াড় হিসাবে কপিল দেবের দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি রেকর্ডটি তিনি ভেঙ্গে ফেলেন।[৯][১০] দ্বিতীয় দিনে শেষে, জাভাগাল শ্রীনাথের উইকেট পড়ার পর, তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে আজহার ব্যাটিং ৩৫ বলে ৫০ রান করেছিলেন, সেটি ছিলও ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম এবং খেলার প্রথম সেশনে ৯১ রান যোগ করেছিলেন। তিনি অনিল কুম্বলেের সাথে অষ্টম উইকেটে ১৬১ রানের জুটি গড়েন, ভারতের এটাও একটি জাতীয় রেকর্ড। তিনি বিশেষত ল্যান্স ক্লুজনারকে আক্রমণ করেন এবং তার চতুর্দশতম ওভারে ২০ রান করেছিলেন।[৯][১০] ইডেন গার্ডেনে এটি ছিল আজহারের চতুর্থ শতক এবং তার পঁচদশাংশতম।[৯][১০] যদিও চতুর্থ ইনিংসে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা সত্ত্বেও ভারতকে এক বড় পরাজয়ের হাত থেকে তিনি বাঁচাতে পারেনি।[১১] আজহার তার দুর্দান্ত ফর্ম, পরের ও সিরিজের শেষ টেস্টেও ধরে রাখেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে একটি সেঞ্চুরিটি করেছিলেন, তার ১৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংস তার দলকে রান (২৮০) রানের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেতে সহায়তা করে।[১২] তিনি ম্যাচ সেরা এবং সিরিজের সেরা নির্বাচিত হন।[১৩] তিনি সিরিজের ৭৭.৬০ গড়ে মোট ৩৮৮ রান করেছিলেন।[১৪]
অস্ট্রেলিয়া
ইংল্যান্ড
নিউজিল্যান্ড
পাকিস্তান
দক্ষিণ আফ্রিকা
শ্রীলঙ্কা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জিম্বাবুয়ে
মোট
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.