মেরি (যিশুর মাতা)
খ্রিষ্ট ধর্ম অনুযায়ী যিশুর মাতা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মেরি, মরিয়ম[২] বা মারিয়া[২] (ইসলামী উচ্চারণ মতে, মরিয়ম) (গ্রিক: Μαρία; আরামীয়: ܡܪܝܡ; লাতিন: Maria; হিব্রু ভাষায়: מִרְיָם; কিবতি: Ⲙⲁⲣⲓⲁ; আরবি: مريم, প্রতিবর্ণীকৃত: Maryam; আনু. ১৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – আনু. ৩০/৩৩ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন প্রথম শতাব্দীর নাসরতের একজন গালীলীয় ইহুদি[৩] নারী, সন্ত যোষেফের স্ত্রী এবং সুসমাচার ও কোরআন অনুসারে যীশু খ্রীষ্টের, ঈসা (আঃ)এর মাতা।[৪]
মরিয়ম
| |
---|---|
![]() সপ্তদশ শতকে জোভান্নি বাতিস্তা সালভি দা সাসোফেরাতোর আঁকা দুঃখিনী মারিয়া | |
জন্ম | তারিখ অজানা ঐতিহ্যগতভাবে ৮ সেপ্টেম্বর আনু. ১৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ[১] |
মৃত্যু | তারিখ অজানা আনু. ৩০ বা ৩৩ খ্রীষ্টাব্দের পর |
দাম্পত্য সঙ্গী | যোষেফ |
সন্তান | যীশু[ক] সম্ভবত যীশুর ভাইবোনেরা ঈসা আঃ |
পিতা-মাতা | অজানা কিছু অপ্রামাণিক সুসমাচার অনুযায়ী: যিহোযাকীম ও হান্না[খ] |
সাধু মথি ও সাধু লূক লিখিত সুসমাচারে মেরি একজন কুমারীরূপে বর্ণিত হয়েছেন।[৫] খ্রীষ্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে যে মেরি পবিত্র আত্মার অলৌকিক শক্তি দ্বারা কুমারী অবস্থাতেই সন্তানের জন্ম দেন। এই অলৌকিক জন্ম যখন ঘটে তখন মেরি সন্ত যোষেফের বাগদত্তা ছিলেন এবং বিবাহের আনুষ্ঠানিক গৃহপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যোষেফকে বিয়ে করে মরিয়ম বৈৎলেহমে চলে আসেন যেখানে যীশুর জন্ম হয়।[৬][৭] সাধু লূক লিখিত সুসমাচারে বলা হয়েছে স্বর্গদূত গাব্রিয়েল মেরির সম্মুখে আবির্ভূত হন এবং যীশুর মা হওয়ার জন্য তিনি দৈবভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানান। ধর্মসম্মত সুসমাচার অনুযায়ী মেরি যীশুর ক্রুশারোপণের সময় উপস্থিত ছিলেন এবং যিরূশালেমের আদি খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। ক্যাথলিক ও অর্থডক্স ভাষ্যমতে জীবনাবসানের পর মেরির দেহ সরাসরি স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হয় যা ‘এসাম্পশন অফ মেরি’ নামে পরিচিত।[৮][৯]
প্রথম থেকেই মেরি খ্রীষ্টানদের নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন একজন নারী[১০][১১] ও খ্রীষ্টধর্মের সর্বাধিক প্রতিভাবতী ও পবিত্রা সত্তারূপে বিবেচিতা হন। শতাব্দী ধরে বিশ্বাসীরা মেরির দিব্যরূপ সম্পর্কে দাবি করে এসেছেন। অর্থডক্স, ক্যাথলিক, ইঙ্গবাদী, লুথারবাদী প্রভৃতি যিশুর জননী মেরিকে “প্রভুর মাতা” বা “ঈশ্বরের মাতা” বলে বিশ্বাস করেন। বিভিন্ন খ্রীষ্টীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মেরিকে নিয়ে বিশ্বাস ও ভক্তিগত বিষয়ে বৈচিত্র্য বিদ্যমান। রোমান ক্যাথলিক মণ্ডলীতে মেরির বিবিধ পাঠ, ‘ঈশ্বরের মাতা’ অভিধা, পবিত্রতা ও শুচিতা, চির-কুমারীত্ব, সশরীর স্বর্গারোহণ প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করে থাকে।[১২] বহু প্রোটেস্ট্যান্ট বাইবেলের তথ্যসূত্রে খ্রীষ্টধর্মে মেরির ভূমিকা কিছুটা কম মনে করেন। ইসলাম ধর্মেও মেরির বেশ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ রয়েছে। ইসলামের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআনে মেরিকে নিয়ে একটি বৃহৎ সূরা বিদ্যমান যার নাম সূরা মারইয়াম।
তথ্যসূত্র
আরও পড়ুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.