মিশরে ধর্ষণ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ধর্ষণ মিশরে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত একটি অপরাধ[1]। দেশটিতে বৈবাহিক ধর্ষণ নিষিদ্ধ নয়। ২০০৮ সালে মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, দেশটিতে প্রতি বছর ২০,০০০ ধর্ষণ সংঘটিত হয়, কিন্তু মিশরীয় নারী অধিকার কর্মী এঙ্গি ঘোজলানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতি বছর প্রায় দুই লক্ষ নারী ধর্ষণের শিকার হন[2]। মোনা এলতাহাভির মতে, ২০১১ সালের বিপ্লবের পর ধর্ষণের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে[3]।
মিশরে বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানের সময় এবং প্রতিবাদ-মিছিলের সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, এবং নারীদের ও নারী সাংবাদিকদের জনসম্মুখে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে[4]।
সংঘবদ্ধ যৌন সহিংসতা
আন্দোলনের সময়ে
২০১১–২০১৪ সালে মিশরীয় গণআন্দোলনের সময়ে প্রকাশ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিবিএস নিউজ জানায় যে, ১১ ফেব্রুয়ারি তাহরির স্কোয়্যারে হোসনী মুবারকের পতন উদযাপনের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণকালে তাদের সংবাদদাত্রী লারা লোগানকে প্রহার করা হয়েছে এবং তার ওপর যৌন আক্রমণ চালানো হয়েছে[5]। লোগানের নিজের ভাষায়, তার আক্রমণকারীরা তাকে তাদের হাত দিয়ে ধর্ষণ করেছে এবং তাদের সেলফোনে ছবি তুলেছে[6]।
আন্দোলনের সময় ২২ বছর বয়সী একজন নারী ডাচ সাংবাদিক তাহরির স্কোয়্যারে ৫ জন আন্দোলনকারীর দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হন[4]।
২০১৩ সালের ৩ জুলাই জানা যায় যে, তাহরির স্কোয়্যারে ৪ দিনে ৯১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন[7]।
মিশরীয় সালাফি নেতা আহমদ মাহমুদ আব্দুল্লাহ বলেছেন যে, তাহরির স্কোয়্যারে আন্দোলনকারী নারীদের কোনো লজ্জা নেই এবং তারা ধর্ষিত হতে ইচ্ছুক[8]।
অধিকাংশ মিশরীয় ব্যক্তির মনে করেন, ২০১১ সালের বিপ্লবের পর দেশটিতে যৌন হয়রানির হার বেড়ে গেছে[9]।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.