মারিও মাঞ্জুকিচ (ক্রোয়েশীয় উচ্চারণ: [mâːrio mǎndʒukitɕ];[3] জন্ম: ২১ মে ১৯৮৬) একজন ক্রোয়েশীয় ফুটবলার। তিনি স্ট্রাইকার হিসাবে ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দল এবং জুভেন্টাস ফুটবল ক্লাব খেলে থাকেন।[4]
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মারিও মাঞ্জুকিচ[1] | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২১ মে ১৯৮৬ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম স্থান |
স্লভন্সকি ব্রড, এসআর ক্রোয়েশিয়া, এসএফআর যুগোস্লাভিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৭ মিটার (৬ ফুট ১+১⁄২ ইঞ্চি)[2] | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | ফরোয়ার্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্লাবের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বর্তমান দল | জুভেন্টাস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জার্সি নম্বর | ১৭ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
যুব পর্যায় | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২-১৯৯৬ | TSF Ditzingen | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬-২০০৩ | Marsonia | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩-২০০৪ | Željezničar Slavonski Brod | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪–২০০৫ | Marsonia | ২৩ | (১৪) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫–২০০৭ | NK Zagreb | ৫১ | (১৪) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭–২০১০ | ডায়নামো জাগ্রেব | ৮১ | (৪২) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০-২০১২ | VfL Wolfsburg | ৫৬ | (২০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২–২০১৪ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৫৪ | (৩৩) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪–২০১৫ | আতলেতিকো মাদ্রিদ | ২৮ | (১২) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫– | জুভেন্টাস | ১১৪ | (৩০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল‡ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪–২০০৫ | ক্রোয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ | ১০ | (৩) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭ | ক্রোয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২০ | ১ | (১) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬-২০০৮ | ক্রোয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২১ | ৯ | (১) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭-২০১৮ | ক্রোয়েশিয়া | ৮৯ | (৩৩) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৯শে মে ২০১৮ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৫ই জুলাই ২০১৮ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২০০৭ সালের নভেম্বরে ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দলের হয়ে মাঞ্জুকিচের অভিষেক হয়। পরবর্তীতে তিনি চারটি বড় আসরে অংশগ্রহণ করেন, যেগুলো হল উয়েফা ইউরো ২০১২, ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ, উয়েফা ইউরো ২০১৬ ও ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ। ৮৮টি উপস্থিতি হতে ৩২ গোল করা মাঞ্জুকিচ ডেভর সুকারের পর ক্রোয়েশিয়া দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২০১২ ও ২০১৩ সালে তিনি বর্ষসেরা ক্রোয়েশীয় ফুটবলারের খ্যাতি অর্জন করেন।
ক্লাব কর্মজীবন
আন্তর্জাতিক কর্মজীবন
২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ
২০১৮ সালের ৪ঠা জুন মাঞ্জুকিচ ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্য বিশিষ্ট ক্রোয়েশিয়া দলে ডাক পান। দলের হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্কের বিপক্ষে তিনি ৪ মিনিটে সমতা আনয়নকারী গোল করেন, এবং তার দল অতিরিক্ত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করে পেনাল্টি শুট-আউটে ৩-২ গোলে জয় পায়।[5] কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে তার ক্রস থেকে হেডে গোল করে তার সতীর্থ আন্দ্রেই ক্রামারিচকে খেলায় সমতা আনেন। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ে ২-২ গোলে ড্র হওয়ার খেলাটি ট্রাইব্রেকারে গড়ায় এবং ক্রোয়েশিয়া পেনাল্টি শুট-আউটে ৪-৩ গোলে জয় পায়।[6] ১১ই জুলাই সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে সমতায় থাকা ক্রোয়েশিয়াকে অতিরিক্ত সময়ে ১০৯ মিনিটে গোল করে এগিয়ে নিয়ে যান এবং তার দল তাদের ইতিহাসের প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে।[7][8] ১৫ই জুলাই ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে তিনি প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে আত্মঘাতি গোল করেন। অঁতোয়ান গ্রিয়েজমানের করা ফ্রি-কিকটিকে হেড দিয়ে সরাতে গিয়ে নিজেদের জালে প্রেরণ করেন এবং ফ্রান্স ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। তিনি পরবর্তীতে ফরাসি গোলকিপার উগো লরিসের একটি ভুলের সুযোগ নিয়ে তার দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন, কিন্তু তারা ৪-২ গোলে পরাজিত হয়। এই গোলের সুবাদে তিনি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে একই খেলায় দুই পক্ষের হয়েই গোল করেন (প্রথমবার এরকম করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের আর্নি ব্রান্ডস ১৯৭৮ ফিফা বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে) এবং প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে দুই পক্ষের হয়েই গোল করেন।[9][10]
কর্মজীবন পরিসংখ্যান
আন্তর্জাতিক
- ১৫ই জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।[11]
জাতীয় দল | বছর | উপস্থিতি | গোল |
---|---|---|---|
ক্রোয়েশিয়া | ২০০৭ | ১ | ০ |
২০০৮ | ৩ | ১ | |
২০০৯ | ৬ | ০ | |
২০১০ | ৮ | ১ | |
২০১১ | ৮ | ৩ | |
২০১২ | ১১ | ৪ | |
২০১৩ | ১০ | ৪ | |
২০১৪ | ১০ | ৪ | |
২০১৫ | ৬ | ৩ | |
২০১৬ | ১১ | ৯ | |
২০১৭ | ৭ | ১ | |
২০১৮ | ৮ | ৩ | |
সর্বমোট | ৮৯ | ৩৩ |
সম্মাননা
- ক্রোয়েশিয়া
- ফিফা বিশ্বকাপ রানার-আপ - ২০১৮
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.