Loading AI tools
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মাইকেল হেনরি ডেনিস, ওবিই (ইংরেজি: Michael Henry Denness; জন্ম: ১ ডিসেম্বর, ১৯৪০ - মৃত্যু: ১৯ এপ্রিল, ২০১৩)[1][2] স্কটল্যান্ডের ল্যানার্কশায়্যার এলাকার বেলশিলে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। একাধারে তিনি ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, এসেক্স ও কেন্ট দলের পক্ষে ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। শুরুতে তার সময়কালে স্কটল্যান্ড দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে অংশ নেয়নি। তাই তিনি ইংল্যান্ডের পক্ষালম্বন করে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন। ডগলাস জারদিনের পর মাইক ডেনিস হচ্ছেন দ্বিতীয় স্কটিশ, যিনি ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন।[1]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মাইকেল হেনরি ডেনিস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বেলশিল, ল্যানার্কশায়্যার, স্কটল্যান্ড | ১ ডিসেম্বর ১৯৪০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৯ এপ্রিল ২০১৩ ৭২) লন্ডন, ইংল্যান্ড | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৪৪) | ২১ আগস্ট ১৯৬৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ জুলাই ১৯৭৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২১) | ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৮ জুন ১৯৭৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৯-১৯৬৭ | স্কটল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬২-১৯৭৬ | কেন্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৭-১৯৮০ | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৫ অক্টোবর ২০১৭ |
স্কটল্যান্ডের উত্তর ল্যানার্কশায়্যারের বেলশিল এলাকায় মাইক ডেনিস জন্মগ্রহণ করেন।[1] উনিশবার ইংরেজ ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবে দলকে পরিচালনা করেন। তন্মধ্যে, জয়-৬, পরাজয়-৫ এবং ড্র ছিল ৮টি। ১৯৭৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টের পর তিনি অধিনায়কত্ব হারান। খেলোয়াড়ী জীবনে তার সহযোদ্ধা জিওফ্রে বয়কটের কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পেলেও তার জন্যেই এমনটি ঘটেছিল। পরবর্তীতে বয়কট ইংল্যান্ড দলে না খেলায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেশ খেসারত দিতে হয়েছিল দলকে।[3]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ২৮টি টেস্টে অংশ নিয়ে ৪টি সেঞ্চুরিসহ ১,৬৬৭ রান করেন। ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫ তারিখে নিজ সেরা ১৮৮ রান আসে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে।[4] পাশাপাশি সাতটি অর্ধ-শতক রানের সহায়তা টেস্টে তার ব্যাটিং গড় দাঁড়ায় ৩৯.৬৯-এ। কিন্তু একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি তুলনামূলকভাবে কম সফলতা পেয়েছেন। মাত্র ১২টি খেলায় ২৯.৩৩ গড়ে ২৬৪ রান করেন, ৬৬ ছিল তার সর্বোচ্চ রান।[3]
আইসিসি ম্যাচ রেফারি হিসেবে ১৬-২০ নভেম্বর, ২০০১ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস পার্কে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম সফরকারী ভারতীয় দলের মধ্যেকার টেস্ট খেলায় বল টেম্পারিং, অতিরিক্ত আবেদন ইত্যাদি অভিযোগে শচীন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র শেওয়াগ, সৌরভ গাঙ্গুলী, হরভজন সিং, শিবশঙ্কর দাস ও দীপদাস গুপ্ত - এ ছয়জন খেলোয়াড়কে শাস্তি দেন। পরবর্তীতে ভারতীয় দল এ শাস্তি প্রত্যাখ্যান করে ও পরের টেস্টের জন্য তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল দ্বিতীয় টেস্টটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। এরপর বিসিসিআই ও আইসিসি কর্তৃপক্ষ ডেনিসের সিদ্ধান্তের যথার্থতার জন্য কমিটি গঠন করে। কিন্তু ম্যাচ রেফারি হিসেবে তিনি সংবাদ সম্মেলনে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করেননি। ফলে তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন ও ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।[5] ডেনিস হার্ট সার্জারিতে চলে গেলে বিসিসিআই মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে বিষয়টি থেকে দূরে সরে আসে।[6]
মার্চ, ২০০২ সালে ম্যাচ রেফারির ভূমিকা থেকে দূরে সরে যেতে বাধ্য হন। আইসিসি নবগঠিত রেফারিদের এলিট প্যানেলে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেনি। এরপরও তিনি ইসিবিতে প্রার্থীতা তুলে ধরেন।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি আইসিসি কর্তৃক ম্যাচ রেফারি নিযুক্ত হয়েছিলেন। স্কটিশ স্পোর্টস হল অব ফেমের সূচনায় অনেকের সাথে তার নামও অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে ডেনিস উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সালে নববর্ষের সম্মাননায় ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় তিনি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই)-রূপে মনোনীত হন।[7]
১৯ এপ্রিল, ২০১৩ তারিখে লন্ডনে ৭২ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দেহাবসান ঘটে তার।[8] দীর্ঘকাল তিনি ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।[9]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.