ভৌত বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি প্রকৃতিবিজ্ঞানের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা জীবদের পরিবর্তে জড় বস্তু নিয়ে অধ্যয়ন করে। ভৌত বিজ্ঞানের বহু শাখা রয়েছে, প্রতিটি শাখাকে "ভৌত বিজ্ঞান" বলা হয়, আর এদের একত্রে "ভৌত বিজ্ঞানসমূহ" বলা হয়। তবে "ভৌত" শব্দটি অনিচ্ছাকৃতভাবে এবং কিছুটা নির্বিচারে পার্থক্য তৈরি করে, কারণ ভৌত বিজ্ঞানের অনেক শাখা জীববিজ্ঞানঘটিত বিষয় যেমন জৈব রসায়ন নিয়ে কাজ করে।
ভৌত বিজ্ঞানের প্রধান চারটি শাখা হল: জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং পৃথিবী বিজ্ঞান। পৃথিবী বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে আবহবিদ্যা ও ভূবিজ্ঞান। একবিংশ শতকে ভৌত বিজ্ঞানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শাখার মধ্যে পদার্থবিদ্যা ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি ভৌত বিজ্ঞানের ইতিহাস, যা পদার্থ এবং এর স্থান-কালের মধ্যে গতি এবং সম্পর্কিত ধারণা যেমন শক্তি ও বল নিয়ে অধ্যয়ন করে।
- শব্দবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি কঠিন, তরল এবং গ্যাসের মধ্যে যান্ত্রিক তরঙ্গ (যেমন কম্পন এবং শব্দ) নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস।
- কৃষি-পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি কৃষি বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রয়োগ করা পদার্থবিদ্যার অধ্যয়নের ইতিহাস।
- মৃত্তিকা পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি মাটির ভৌত ধর্ম এবং প্রক্রিয়াগুলি নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস।
- জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি মহাজাগতিক বস্তুগুলির ভৌত দিক নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস।
- জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পৃথিবীর বাইরের মহাবিশ্ব নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস। এর মধ্যে মহাবিশ্বের গঠন, বিকাশ, এবং জ্যোতিষ্কগুলির (যেমন নক্ষত্রপুঞ্জ, গ্রহ ইত্যাদি) বিবর্তন, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, আবহবিদ্যা এবং গতি অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে উদ্ভূত ঘটনা (যেমন মহাজাগতিক বিকিরণ) নিয়েও গবেষণা এর অন্তর্ভুক্ত।
- জ্যোতির্গতিবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি ক্ষেপণবিজ্ঞান ও মহাকাশ বলবিদ্যা ব্যবহার করে রকেট ও অন্যান্য মহাকাশযানের গতি-সমস্যার সমাধানের ইতিহাস।
- জ্যোতির্মিতির ইতিহাস – এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যেখানে নক্ষত্র ও অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুগুলির স্থান ও গতির সুনির্দিষ্ট মাপজোক নিয়ে কাজ করা হয়।
- বিশ্বতত্ত্বের ইতিহাস – এটি এমন একটি বিদ্যার ইতিহাস, যা মহাবিশ্বের প্রকৃতি ও তার সম্পূর্ণ রূপ নিয়ে আলোচনা করে।
- বহির্জাগতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরের বস্তুগুলি নিয়ে অধ্যয়ন করে।
- ছায়াপথ জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি আমাদের নিজস্ব আকাশগঙ্গা ছায়াপথ এবং এর সমস্ত উপাদান নিয়ে গবেষণার ইতিহাস।
- ভৌত বিশ্বতত্ত্বের ইতিহাস – এটি মহাবিশ্বের বৃহৎ কাঠামো ও তার গতিশীলতার অধ্যয়নের ইতিহাস। এটি মহাবিশ্বের গঠন ও বিবর্তন নিয়ে মৌলিক প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজার ইতিহাস।
- গ্রহসম্পর্কীয় বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি গ্রহ (পৃথিবীসহ), উপগ্রহ এবং গ্রহগত ব্যবস্থাগুলি, বিশেষত সৌরজগতের গ্রহগুলির এবং তাদের গঠন প্রক্রিয়াগুলির বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নের ইতিহাস।
- নক্ষত্র জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি প্রকৃতিবিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যা জ্যোতিষ্কগুলির (যেমন নক্ষত্র, গ্রহ, ধূমকেতু, নীহারিকা, নক্ষত্রপুঞ্জ এবং ছায়াপথ) এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরের ঘটনার (যেমন মহাজাগতিক পটভূমি বিকিরণ) অধ্যয়ন নিয়ে কাজ করে।
- বায়ুমণ্ডলীয় পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিদ্যার নিয়ম বায়ুমণ্ডলে প্রয়োগ করার অধ্যয়নের ইতিহাস।
- পারমাণবিক, আণবিক ও আলোকীয় পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থ ও আলোর পারস্পরিক ক্রিয়াকলাপের অধ্যয়নের ইতিহাস।
- প্রাণ-পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি জীববিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত ভৌত প্রক্রিয়াগুলির অধ্যয়নের ইতিহাস।
- চিকিৎসা পদার্থবিদ্যার ইতিহাস – এটি পদার্থবিদ্যার ধারণা, তত্ত্ব এবং পদ্ধতি চিকিৎসায় প্রয়োগ করার ইতিহাস।
- স্নায়ুপদার্থবিদ্যার ইতিহাস – এটি জীবপদার্থবিদ্যার একটি শাখার ইতিহাস, যা স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।
- রাসায়নিক পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিদ্যার দৃষ্টিকোণ থেকে রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলি অধ্যয়নের ইতিহাস।
- গণনামূলক পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিজ্ঞানের বিদ্যমান পরিমাণগত তত্ত্বের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য সংখ্যাগত অ্যালগরিদম প্রয়োগের এবং বিকাশের ইতিহাস।
- ঘনপদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি ঘনীভূত অবস্থার পদার্থের ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস।
- হিমবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি −১৫০° সেলসিয়াস বা এর নীচে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রা উত্পাদন এবং সেই তাপমাত্রায় পদার্থের আচরণ নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস।
- গতিবিদ্যার ইতিহাস – এটি গতির কারণ এবং গতির পরিবর্তন নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস।
- অর্থপদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস– এটি আন্তঃশৃঙ্খল গবেষণার এমন একটি ক্ষেত্রের ইতিহাস, যেখানে পদার্থবিজ্ঞানে উদ্ভূত তত্ত্ব ও পদ্ধতি অর্থনীতির সমস্যাগুলির সমাধানে প্রয়োগ করা হয়।
- তড়িৎচুম্বকত্বের ইতিহাস – এটি এমন একটি বিজ্ঞানের ইতিহাস, যা বৈদ্যুতিকভাবে চার্জযুক্ত কণার মধ্যে সংঘটিত বল এবং তাদের প্রভাব নিয়ে কাজ করে।
- ভূ-পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস– এটি পৃথিবীর এবং মহাকাশের পরিবেশের পদার্থবিদ্যার ইতিহাস। এটি পরিমাণগত ভৌত পদ্ধতি ব্যবহার করে পৃথিবী অধ্যয়নের ইতিহাসও।
- উপাদান পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি বল, তাপ, আলো এবং যান্ত্রিকতা ব্যবহার করে পদার্থের বিভিন্ন দিক থেকে ব্যাখ্যার ইতিহাস।
- গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিজ্ঞানের সমস্যাগুলির সমাধানে গণিত প্রয়োগ এবং তত্ত্ব গঠনের জন্য গণিতের পদ্ধতি বিকাশের ইতিহাস।
- বলবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা বল বা স্থানচ্যুতির প্রভাবে পদার্থের আচরণ এবং পরিবেশে সৃষ্ট প্রভাব নিয়ে কাজ করে।
- জৈব বলবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি জীববিদ্যার কাঠামো ও কার্যকলাপের ইতিহাস, যেখানে মানুষের, প্রাণীর, উদ্ভিদের, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের এবং কোষের বৈশিষ্ট্য যান্ত্রিকতার পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশ্লেষণ করা হয়।
- চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি বলবিজ্ঞানের একটি প্রধান উপশাখার ইতিহাস, যেখানে বলের ক্রিয়ায় বস্তুর গতিবিধি বর্ণনা করার জন্য ভৌত নিয়মগুলির সেট নিয়ে কাজ করা হয়।
- ধারাবাহিক বলবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি বলবিদ্যার একটি শাখার ইতিহাস, যেখানে পদার্থকে পৃথক কণার পরিবর্তে একটি ধারাবাহিক ভর হিসাবে মডেল করে পদার্থের গতি এবং যান্ত্রিক আচরণ বিশ্লেষণ করা হয়।
- প্রবাহী বলবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি তরল পদার্থ এবং তাদের উপর ক্রিয়াশীল বল নিয়ে গবেষণার ইতিহাস।
- কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিজ্ঞানের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যেখানে পদার্থের আচরণ বিশ্লেষণ করা হয়, যেখানে প্রভাব প্ল্যাঙ্ক ধ্রুবকের সমান পর্যায়ে থাকে।
- তাপগতিবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি ভৌত বিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যা তাপ এবং এর অন্যান্য শক্তি বা কাজের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে।
- নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা পরমাণুর নিউক্লিয়াসের গঠন এবং তাদের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে।
- আলোকবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যা আলো এবং এর বৈশিষ্ট্য ও আচরণ, পদার্থের সঙ্গে এর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো ব্যবহার বা সনাক্ত করার যন্ত্রের নির্মাণ নিয়ে কাজ করে।
- কণা পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা পদার্থ বা রশ্মির মৌলিক কণিকা এবং তাদের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে।
- মনো পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি ভৌত উদ্দীপনা এবং তা দ্বারা সৃষ্ট অনুভূতি ও ধারণার মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে পরিমাণগত গবেষণার ইতিহাস।
- প্লাজমা পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থের এমন একটি অবস্থার ইতিহাস, যা গ্যাসের অনুরূপ, তবে এতে কিছু কণিকা আয়নিত থাকে।
- পলিমার পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিজ্ঞানের এমন একটি ক্ষেত্রের ইতিহাস, যা পলিমার, তাদের ওঠানামা, যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং পলিমার ও মনোমার সংশ্লেষণ এবং অবক্ষয়ের গতিবিদ্যা নিয়ে কাজ করে।
- আপেক্ষিকতা তত্ত্বের ইতিহাস – এটি আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং এর বিকাশ নিয়ে কাজ করার ইতিহাস।
- স্থিতিবিদ্যার ইতিহাস – এটি বলবিজ্ঞানের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা বল এবং টর্ক বিশ্লেষণ করে, যেখানে বস্তু বা কাঠামো সময়ের সঙ্গে অবস্থান পরিবর্তন করে না, বা ধ্রুব গতিতে থাকে।
- কঠিন অবস্থা পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি কঠিন পদার্থ বা কঠিন বস্তু নিয়ে গবেষণার ইতিহাস, যেখানে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান, স্ফটিকতত্ত্ব, তড়িৎচুম্বকত্ব, এবং ধাতুবিদ্যা ব্যবহার করা হয়।
- যানবাহনের গতিবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি ভূমিভিত্তিক যানবাহনের গতি এবং এর গতিবিধি নিয়ে গবেষণার ইতিহাস।
- রসায়নের ইতিহাস – এটি ভৌত বিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যা পরমাণবিক পদার্থ (যা রাসায়নিক মৌল দিয়ে তৈরি) এবং এর রাসায়নিক বিক্রিয়া, বৈশিষ্ট্য, গঠন, এবং আচরণ নিয়ে কাজ করে।
- বিশ্লেষণী রসায়নের ইতিহাস – এটি প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পদার্থের রাসায়নিক উপাদান পৃথকীকরণ, শনাক্তকরণ, এবং পরিমাণ নির্ধারণের ইতিহাস।
- জ্যোতিঃরসায়নের ইতিহাস – এটি মহাবিশ্বের রাসায়নিক মৌল এবং অণুর প্রাচুর্য, তাদের বিক্রিয়া, এবং বিকিরণের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করে।
- মহাজাগতিক রসায়নের ইইতিহাস– এটি মহাবিশ্বের পদার্থের রাসায়নিক গঠন এবং সেই গঠনে অবদান রাখা প্রক্রিয়াগুলির ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করে।
- বায়ুমণ্ডলীয় রসায়নের ইতিহাস – এটি বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যেখানে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও অন্যান্য গ্রহের বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক গঠন এবং প্রক্রিয়াগুলি নিয়ে গবেষণা করা হয়। এটি একটি বহু-শাখাভিত্তিক গবেষণাক্ষেত্র, যা পরিবেশ রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, আবহাওয়াবিজ্ঞান, কম্পিউটার মডেলিং, মহাসাগরবিদ্যা, ভূতত্ত্ব এবং আগ্নেয়গিরি বিজ্ঞানসহ অন্যান্য শাখার ওপর নির্ভরশীল।
- প্রাণরসায়নের ইতিহাস – এটি জীবের রাসায়নিক প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণার ইতিহাস। জীবরসায়ন জীবনের সমস্ত প্রক্রিয়া এবং জীবন্ত উপাদানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
- কৃষি রসায়নের ইতিহাস – এটি রসায়ন ও প্রাণরসায়নের ইতিহাস, যা কৃষি উৎপাদন, কাঁচামালের খাদ্য ও পানীয় প্রক্রিয়াকরণ, এবং পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- জৈব-অজৈব রসায়নের ইতিহাস – এটি জীববিজ্ঞানে ধাতুগুলির ভূমিকা নিয়ে গবেষণার ইতিহাস।
- প্রাণ-জৈব রসায়নের ইতিহাস – এটি দ্রুত বর্ধমান একটি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রের ইতিহাস, যা জৈব রসায়ন এবং প্রাণরসায়নকে একত্রিত করে।
- প্রাণ-পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি রসায়নের একটি নতুন শাখার ইতিহাস, যা জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করে।
- পরিবেশ রসায়নের ইতিহাস– এটি প্রকৃতিতে রাসায়নিক ও জীবরাসায়নিক ঘটনাবলী নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ইতিহাস।
- প্রতিরক্ষা রসায়নের ইতিহাস – এটি রসায়নের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ও উপাদান নিয়ে গবেষণা করে।
- চিকিৎসা রসায়নের ইতিহাস – এটি রসায়ন (বিশেষ করে সংশ্লেষিত জৈব রসায়ন), ঔষধ বিজ্ঞান, এবং অন্যান্য জীববৈজ্ঞানিক শাখার একটি মিশ্রণের ইতিহাস। এই শাখা ওষুধ তৈরী, রাসায়নিক সংশ্লেষণ, এবং বাজারজাত উন্নয়নে নিযুক্ত।
- ঔষধবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যা ওষুধের ক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে।
- প্রাকৃতিক পণ্য রসায়নের ইতিহাস – এটি জীবন্ত জীব দ্বারা উৎপন্ন রাসায়নিক যৌগ বা পদার্থের ইতিহাস, যা সাধারণত ঔষধ আবিষ্কার এবং ওষুধের নকশায় জৈবিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- স্নায়ুরসায়নের ইতিহাস – এটি স্নায়ুরসায়নিক পদার্থের নির্দিষ্ট গবেষণার ইতিহাস। এর মধ্যে নিউরোট্রান্সমিটার এবং নিউরো-অ্যাকটিভ ড্রাগসের মতো অন্যান্য অণু অন্তর্ভুক্ত, যা স্নায়ুকোষের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে।
- পরিগণনামূলক রসায়নের ইতিহাস – এটি রসায়নের একটি শাখা যা রাসায়নিক সমস্যাগুলির সমাধানে কম্পিউটার বিজ্ঞানের নীতিগুলি ব্যবহার করে।
- রাসায়নিক তথ্যবিদ্যার ইতিহাস – রাসায়নিক তথ্যবিদ্যার ইতিহাস রাসায়নে তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার-ভিত্তিক পদ্ধতির প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে।
- আণবিক বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি নিউটনীয় যন্ত্রবিজ্ঞানের মাধ্যমে অণু এবং তাদের সিস্টেম মডেল করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করে।
- স্বাদ রসায়নের ইতিহাস – কৃত্রিম এবং প্রাকৃতিক স্বাদ তৈরির জন্য রসায়নের প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে।
- প্রবাহী রসায়নের ইতিহাস – এটি রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি ধারাবাহিক প্রবাহের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া এবং ব্যাচ উৎপাদনের পরিবর্তে প্রবাহ ভিত্তিক প্রক্রিয়ার বর্ণনা প্রদান করে।
- ভূরসায়নের ইতিহাস – ভূরসায়নের ইতিহাস রাসায়নের মাধ্যমে পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ব্যবস্থার প্রক্রিয়াগুলি বিশ্লেষণের বিবরণ।
- জলজ ভূরসায়নের ইতিহাস – এটি নদী অববাহিকায় বিভিন্ন উপাদানের ভূমিকা এবং বায়ুমণ্ডল, ভূমি ও জলজ পরিবেশের মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে উপাদানগুলির অদলবদল নিয়ে আলোচনা করে।
- আইসোটোপ ভূরসায়নের ইতিহাস – ভূতত্ত্ব ও রাসায়নের মাধ্যমে উপাদান এবং তাদের আইসোটোপের আপেক্ষিক ও ঘনত্ব নিয়ে গবেষণা করে।
- মহাসাগরীয় রসায়নের মত ৎসিংইতিহাস – এটি সামুদ্রিক পরিবেশের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের প্রভাব বিশ্লেষণ করে।
- জৈব ভূরসায়নের ইতিহাস – জৈব ভূরসায়নের ইতিহাস জীবের পৃথিবীতে প্রভাব এবং তাদের প্রক্রিয়ার ওপর আলোকপাত করে।
- আঞ্চলিক, পরিবেশগত এবং অনুসন্ধানমূলক ভূরসায়নের ইতিহাস – এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠে উপাদানগুলির রাসায়নিক গঠনের স্থানীয় পরিবর্তন এবং পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে।
- অজৈব রসায়নের ইতিহাস – এটি এমন রসায়নের শাখা যা অজৈব যৌগের বৈশিষ্ট্য ও আচরণ নিয়ে কাজ করে।
- পারমাণবিক রসায়নের ইতিহাস – পারমাণবিক রসায়নের ইতিহাস রেডিওঅ্যাকটিভিটি, পারমাণবিক প্রক্রিয়া এবং পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করে।
- তেজস্ক্রিয় রসায়নের ইতিহাস – এটি তেজস্ক্রিয় উপাদানের রাসায়ন এবং অ-তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি বিশ্লেষণ করে।
- জৈব রসায়নের ইতিহাস – কার্বন-ভিত্তিক যৌগ, হাইড্রোকার্বন এবং তাদের ডেরিভেটিভগুলির কাঠামো, বৈশিষ্ট্য ও বিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে।
- পেট্রোরসায়নের ইতিহাস – অপরিশোধিত তেল (পেট্রোলিয়াম) এবং প্রাকৃতিক গ্যাসকে উপযোগী পণ্য বা কাঁচামালে রূপান্তরের রসায়ন নিয়ে আলোচনা করে।
- জৈব-ধাতব রসায়নের ইতিহাস – এটি কার্বন এবং ধাতুর মধ্যে বন্ধনযুক্ত রাসায়নিক যৌগগুলির গবেষণার ইতিহাস।
- আলোক-রসায়নের ইতিহাস – ফটো রসায়নের ইতিহাস আলো শোষণের মাধ্যমে পরমাণু বা অণুতে সংঘটিত রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি নিয়ে আলোচনা করে।
- ভৌত রসায়নের ইতিহাস – রাসায়নিক ব্যবস্থা, পরমাণু, উপ-পরমাণু এবং কণিকাগত ঘটনাগুলিকে শারীরিক আইন ও ধারণার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে।
- রাসায়নিক গতিবিদ্যার ইতিহাস – রাসায়নিক প্রক্রিয়ার হার নিয়ে গবেষণার ইতিহাস।
- রাসায়নিক তাপগতিবিদ্যার ইতিহাস – তাপ ও কার্যের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং পদার্থের অবস্থা পরিবর্তনের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে গবেষণার ইতিহাস, যা তাপগতিবিদ্যার নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
- তড়িৎ রসায়নের ইতিহাস – তড়িৎ রসায়ন হল রসায়নের একটি শাখা। এটি রাসায়নিক বিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে, যা দ্রবণে ঘটে। এই বিক্রিয়াগুলো এমন এক স্থানে ঘটে, যেখানে একটি ইলেকট্রন পরিবাহী (যেমন ধাতু বা আধা-পরিবাহী) এবং একটি আয়নিক পরিবাহী (যেমন তড়িৎদ্রব বা ইলেকট্রোলাইট) সংযোগ স্থাপন করে। এই প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটে। ইলেকট্রন স্থানান্তর হয় ইলেকট্রোড এবং তড়িৎদ্রব বা দ্রবণে উপস্থিত অন্য পদার্থের মধ্যে।
- ফেমটো রসায়নের ইতিহাস রাসায়নিক বিক্রিয়ার অতি ক্ষুদ্র সময়সীমায় (প্রায় ১০−১৫) সেকেন্ড) সংঘটিত ঘটনাগুলি নিয়ে গবেষণা করে।
- গাণিতিক রসায়নের ইতিহাস – গাণিতিক রসায়নের ইতিহাস হল রসায়নে নতুন গণিত প্রয়োগ এবং রাসায়নিক ঘটনাগুলির গণিত মডেল নিয়ে গবেষণার ইতিহাস।
- যান্ত্রিক রসায়নের ইতিহাস – যান্ত্রিক রসায়ন এমন একটি শাখা যেখানে যান্ত্রিক এবং রাসায়নিক ঘটনাগুলোর সংযোগ আণবিক স্তরে বিশ্লেষণ করা হয়। এতে যান্ত্রিক ভাঙন, যান্ত্রিক চাপযুক্ত কঠিন পদার্থের রাসায়নিক আচরণ (যেমন, চাপ-ক্ষয়জনিত ফাটল), ঘর্ষণ বিজ্ঞান (ট্রাইবোলজি), শিয়ারের ফলে পলিমারের অবক্ষয়, গহ্বর সংশ্লিষ্ট ঘটনা (যেমন শব্দ রসায়ন এবং শব্দালোচ্ছটনা), শক তরঙ্গ রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা এবং আণবিক যন্ত্রপাতির বিকাশ অন্তর্ভুক্ত।
- ভৌত জৈব রসায়নের ইতিহাস – ভৌত জৈব রসায়ন এমন একটি ক্ষেত্র, যা জৈব অণুগুলোর গঠন এবং প্রতিক্রিয়াশীলতার মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে।
- কোয়ান্টাম রসায়নের ইতিহাস – কোয়ান্টাম রসায়ন এমন একটি শাখা, যা রাসায়নিক ব্যবস্থার শারীরিক মডেল এবং পরীক্ষায় কোয়ান্টাম যান্ত্রিক তত্ত্ব প্রয়োগ করে।
- শব্দ রসায়নের ইতিহাস – শব্দ রসায়ন রাসায়নিক ব্যবস্থার উপর শব্দ তরঙ্গ এবং এর বৈশিষ্ট্যের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে।
- স্থিতি রসায়নের ইতিহাস – স্থিতি রসায়ন পরমাণুগুলোর আপেক্ষিক স্থানিক বিন্যাস এবং অণুর অভ্যন্তরীণ বিন্যাস নিয়ে গবেষণা করে।
- অণুরোপ রসায়নের ইতিহাস – অণুরোপ রসায়ন এমন একটি শাখা, যা অণুর বাইরের রাসায়নিক ব্যবস্থাগুলো নিয়ে কাজ করে এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক সংযুক্ত অণু-উপাংশ বা উপাদানের রাসায়নিক ব্যবস্থাগুলো বিশ্লেষণ করে।
- তাপ-রসায়নের ইতিহাস – তাপরসায়ন সেই রসায়ন শাখা, যেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং/অথবা ভৌত রূপান্তরের সঙ্গে জড়িত শক্তি ও তাপের অধ্যয়ন করা হয়।
- উদ্ভিদ রসায়নের ইতিহাস – উদ্ভিদরসায়ন শব্দটির সঠিক অর্থে উদ্ভিদজনিত রাসায়নিক পদার্থগুলোর অধ্যয়ন বোঝানো হয়।
- পলিমার রসায়নের ইতিহাস – পলিমার রসায়ন একটি বহুমুখী বিজ্ঞান। এটি পলিমার বা বৃহৎ অণুর রাসায়নিক সংশ্লেষণ এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করে।
- কঠিন-অবস্থা রসায়নের ইতিহাস – কঠিন অবস্থার রসায়ন হল এমন একটি শাখা, যা কঠিন অবস্থার উপাদানের সংশ্লেষণ, কাঠামো এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করে। এটি বিশেষত অণুর বাইরের কঠিন পদার্থ নিয়ে কাজ করে।
- রসায়নের বহুমুখী ক্ষেত্রসমূহ
- রাসায়নিক জীববিজ্ঞানের ইতিহাস – রাসায়নিক জীববিজ্ঞান একটি বিজ্ঞান শাখা, যা রসায়ন এবং জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলোকে সংযুক্ত করে। এতে রাসায়নিক পদ্ধতি এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করে জীবজগতের সিস্টেমগুলো অধ্যয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
- রসায়ন প্রকৌশলের ইতিহাস – রাসায়নিক প্রকৌশল একটি প্রকৌশল শাখা, যা পদার্থবিজ্ঞান (যেমন রসায়ন এবং পদার্থবিদ্যা) এবং জীববিজ্ঞান (যেমন জীববিদ্যা, অণুজীববিদ্যা এবং জীবরসায়ন) নিয়ে কাজ করে। এটি গণিত এবং অর্থনীতির সাহায্যে কাঁচামাল বা রাসায়নিক পদার্থগুলোকে আরও কার্যকর বা মূল্যবান রূপে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করে।
- রাসায়নিক মহাসাগর বিজ্ঞানের ইতিহাস – রাসায়নিক মহাসাগর বিজ্ঞান পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর মধ্যে রাসায়নিক উপাদানগুলোর আচরণ নিয়ে গবেষণা করে।