শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ভূজপুর ইউনিয়ন
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ভূজপুর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।
Remove ads
Remove ads
আয়তন
ভূজপুর ইউনিয়নের আয়তন ১৩,৩১১ একর (৫৩.৮৭ বর্গ কিলোমিটার)।[১]
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভূজপুর ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৩০,৪৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫,৪১৫ জন এবং মহিলা ১৫,০৩৯ জন। মোট পরিবার ৫,৮৪৬টি।[১]
অবস্থান ও সীমানা
ফটিকছড়ি উপজেলার মধ্যাংশে ভূজপুর ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের উত্তরে নারায়ণহাট ইউনিয়ন, পশ্চিমে বাগানবাজার ইউনিয়ন, দক্ষিণে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন ও পাইন্দং ইউনিয়ন এবং পূর্বে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মানিকছড়ি ইউনিয়ন অবস্থিত।
ইতিহাস
ব্রিটিশ শাসনামলের জমিদার কাজি হাসমত আলীর সময়ে ভূজপুর ইউনিয়ন গঠিত হয়। ঐ সময়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে গ্রাম প্রেসিডেন্ট বলা হত। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান শাসনামলে গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর পদকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদবী ঘোষণা করা হয়। ১৯৫৪ সালে প্রথম গ্রাম প্রেসিডেন্ট হন মৌলানা ফজলুল করিম।তার পূর্বে গ্রাম প্রেসিডেন্ট ছিলেন কাজী দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। তারপর পর্যায়ক্রমে হাফেজ শামসুদ্দিন গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরবর্তী সময়ে জনাব নুরুল আলম আজাদ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জনাব রজি আহমদ (বি.কম) দায়িত্ব পালন করেন।[২]
Remove ads
নামকরণ
ভূজপুর ইউনিয়নের নাম নিয়ে জনশ্রুতি রয়েছে, প্রাচীন ভোজ রাজার নাম অনুসারে এ ইউনিয়নের নাম হয় ভূজপুর। ভোজ রাজা ছিলেন বর্তমান পশ্চিম ভূজপুর গ্রাম এবং তৎসংলগ্ন গ্রামের জমিদার। কিন্তু তার কোন উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পশ্চিম ভূজপুর গ্রাম নিবাসী মধ্যযুগীয় আবদুল মজিদ পণ্ডিতের রচিত পুঁথিতেও একই ইতিহাস বিবৃত হয়েছে। এছাড়া একটি জায়গার নাম রোসাইংগাঘোনা। সেখানে পূর্বে রোহিংগারা বসবাস করত। মোট ১১টি গ্রাম নিয়ে ভূজপুর ইউনিয়ন গঠিত।[২]
Remove ads
প্রশাসনিক কাঠামো
ভূজপুর ইউনিয়ন ফটিকছড়ি উপজেলার আওতাধীন ৪নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম উপজেলার ভূজপুর থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৭৯নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-২ এর অংশ।

ভূজপুর ইউনিয়ন ১১টি মৌজায় বিভক্ত:
- পশ্চিম ভূজপুর
- পূর্ব ভূজপুর
- আমতলী
- সিংহরিয়া
- পশ্চিম কৈয়া পুকিয়া
- জঙ্গল কৈয়া পুকিয়া
- পূর্ব কৈয়া পুকিয়া
- হরিণা
- কোটবাড়িয়া
- আজিমপুর
- পাগলীছড়ি
ভূজপুর ইউনিয়নে গ্রামের সংখ্যা ১৩টি। গ্রামগুলো হল:
- পূর্ব ভূজপুর
- পশ্চিম ভূজপূর
- মিরেরখীল
- আজিমপুর
- আমতলী
- সিংহরিয়া
- কোটবাড়িয়া
- হরিণা
- পাগলীছড়ি
- রোসাইংগা ঘোনা
- পূর্ব কৈয়া পুকিয়া
- পশ্চিম কৈয়া পুকিয়া
- জঙ্গল কৈয়া পুকিয়া।
Remove ads
শিক্ষা ব্যবস্থা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভূজপুর ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৪৮.৫%।[১] এ ইউনিয়নে ১টি স্কুল এন্ড কলেজ, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা ও ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান


- স্কুল এন্ড কলেজ[৩]
- ভূজপুর ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়[৪]
- ভূজপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
- ভূজপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়
- মাদ্রাসা[৫]
- আল জামিয়া আল ইসলামিয়া ভুজপুর
- কাজিরহাট এমদাদুল ইসলাম মাদ্রাসা
- ভূজপুর শরিয়তুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা
- প্রাথমিক বিদ্যালয়
- আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কমর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- গাছবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পশ্চিম কৈয়া পুকিয়া গাছুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পশ্চিম ভূজপুর এ গণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পশ্চিম ভূজপুর গাছুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পশ্চিম ভূজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পূর্ব ভূজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ভূজপুর শরিয়তুল উলুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ভূজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সন্দীপনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সন্দ্বীপপাড়া রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সিংহরিয়া গাছুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
Remove ads
যোগাযোগ ব্যবস্থা

ভূজপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক গিয়েছে। আঞ্চলিক মহাসড়ক R151 (৪৮ কিমি দীর্ঘ) পেলাগাজীর দীঘির মোড় হতে কাজিরহাট, নারায়ণহাট এবং হেয়াকোঁ হয়ে বারইয়ারহাটে গিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের সাথে মিলিত হয়েছে।[৬] এছাড়াও ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়ক এবং ৮.৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কাজিরহাট-গাড়িটানা সড়ক সড়ক-যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে আছে। একসময় নৌকা যোগে চট্টগ্রাম শহর হতে মালামাল আনা নেয়ার জন্য হালদা নদী নৌ-পথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। চাকতাই থেকে মাল বোঝাই করে নৌকা আসতো কাজিরহাট পর্যন্ত। স্থল যোগাযোগ ব্যবস্থা সুলভ হওয়ায় এবং হালদার নাব্যতা কমে যাবার দরুণ নৌ-যোগাযোগ কমে এসেছে।
ভূজপুর প্রায় গ্রামীণফোন, একটেল এবং বাংলালিংকের নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকায় মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারও সুলভ।
Remove ads
চা শিল্প
ভূজপুর ইউনিয়নের প্রাকৃতিক পরিবেশ চা উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট চমৎকার। এই ইউনিয়নে তিনটি চা বাগান রয়েছে।[৭] যথা:
- আচিয়া চা বাগান
- কৈয়াছড়া চা বাগান
- মোহাম্মদ নগর চা বাগান
নদ নদী
এই ইউনিয়নের প্রধান নদী হালদা নদী। এছাড়াও ছোট খাট খাল এবং ঝর্ণার মধ্যে আছে ফটিকছড়ি খাল, হরিণা ছড়া, পাগলী ছড়া আর বাগনালা ছড়া। এই ইউনিয়নের একটি ঝর্ণা ফটিকছড়ি খালের নামানুসারে ফটিকছড়ি উপজেলার নামকরণ হয়েছে।[৮]
হাট-বাজার
ভূজপুর ইউনিয়নের প্রধান প্রধান হাট/বাজারগুলো হল কাজিরহাট, মির্জারহাট এবং ফকিরহাট।[৯]
দর্শনীয় স্থান
ভূজপুর ইউনিয়নের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:[১০]
- ভুজপুর জমিদার বাড়ি এবং ফাঁসির ঘর, পূর্ব ভূজপুর।
- মং রাজার দীঘি (পশ্চিম ভূজপুর)
- হালদা রাবার ড্যাম
- ফটিকছড়ি খালের উৎপত্তিস্থল (সীতাকুণ্ড পাহাড়)
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
ভূজপুর ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগণের মধ্যে রয়েছেন:[১১]
- কাজি হাসমত আলী – সাহিত্যিক।
- চৌধুরী আহমদ ছফা – শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও গবেষক।
- শফিউল আলম নুরী-সাবেক চেয়ারম্যান, শিক্ষাবিদ ও ইসলামিক গবেষক
জনপ্রতিনিধি
- বর্তমান চেয়ারম্যান: এস এম এইচ শাহজাহান চৌধুরী[১২]
- চেয়ারম্যানগণের তালিকা[১৩]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads