শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
বেজ (রঙ)
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
বেজ বা বেজেরাঙা হলো হালকা-ধূসরাভ বাদামী অথবা ফ্যাকাশে হলুদাভ-ধূসর ঘরানার একটি রঙ। [১] বেজ শব্দটি এসেছে ফরাসি ভাষা থেকে, যা দ্বারা মূলত বোঝানো হয়েছে প্রাকৃতিক উল।[২][৩] এটি প্রাকৃতিক উলের বর্ণের একটি গড়পড়তা ফ্যাকাশে উপস্থাপন।

Remove ads
বেজ রঙের রকমফের
সারাংশ
প্রসঙ্গ
কসমিক ল্যাট
ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত ফ্যাকাশে হলুদাভ সবুজ রঙটি হলো কসমিক ল্যাট।
কসমিক ল্যাট হলো এমন একটি নামশব্দ যা ২০০২ সালে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল কর্তৃক মহাবিশ্বের (২০০,০০০টি ছায়াপথের তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণ এর নমুনা হতে) গড়পড়তা ও সাধারণ রঙকে নির্দেশের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ক্রিম
প্রাকৃতিক চারণভূমিতে হলুদ ক্যারটিনয়েড রঞ্জক সমৃদ্ধ উদ্ভিদ ভক্ষণের মাধ্যমে গবাদিপশু ক্রিম রঙ তৈরি করে। এটি মূলত তাজা দুধ, মাখনের চর্বিতে পাওয়া যায়। ক্রিম হলুদের পেস্টেল রঙ। হলুদ এবং সাদার মিশ্রণ দ্বারা ক্রিম রঙ উৎপাদন করা যায়।

ইংরেজিতে রঙের নাম হিসাবে ক্রিমের প্রথম নথিভুক্ত ব্যবহারটি ছিল ১৫৯০ সালে [৪]
শিরোনেরি
শিরোনেরি একটি জাপানি শব্দ। ইংরেজিতে এটিকে বলা হয় আনব্লিচড সিল্ক। শিরোনেরি জাপানের ঐতিহ্যবাহী রঙগুলোর মধ্যে একটি যা ৬৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকে কিমোনোতে নকশা করতে রঞ্জক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।[৫][৬]

তাস্কান
ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত হালকা হলুদ ঘরানার রঙটি হলো তাস্কান লাল রঙ।
ইংরেজিতে রঙের নাম হিসেবে তাস্কান লাল বা টাস্কান রেড শব্দটির রেকর্ডকৃত প্রথম ব্যবহার হয় ১৮৮৭ সালে।[৮]
মোষ

মোষ একটি রঙ বিশেষ যা অনেকটা হালকা বাদামী হলুদ রঙের মতো। আফ্রিকান মহিষ বা মোষের গায়ের রঙ থেকে এরূপ নামকরণ। মোষ আদতে গৈরিক মাটির রঙেরই সমগোত্রীয়।[৯][১০]
আরওয়াইবি চতুর্থমাত্রা রঙ হিসাবে এটি তৃতীয় মাত্রার সিট্রন এবং রুসেটের সমপরিমাণ মিশ্রণ দ্বারা উৎপন্ন একটি রঙ।[১১]
মরুধূলিকা
মরুধূলিকা বা মরুবালুকা হলো অতি হালকা ও অতি অল্পরকম লালচে হলুদ রঙের একটি রকমফের যা মরুভূমিতে থাকা ধূলিকণা বা বালুকণার রঙের প্রতিনিধিত্ব করে। এটিকে বেজ রঙের গূঢ় আভা বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।
১৯৯৮ সালে ক্রেয়লা ক্রেয়নে মরুবালুকা রঙটি অন্তর্ভুক্ত হয়।[১৩][১৪]

১৯৬০ এর দশকে আমেরিকান টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ কোম্পানি অফিস-কার্যালয় ও বাসাবাড়ির জন্য মরুবালুকা বা মরুধূলিকা রঙের টেলিফোন বাজারজাত করে। তবে তারা এটিকে বেজ রঙে বলে উল্লেখ করেছিলো। এটা খুবই সাধারণ যে অনেকেই মরুবালুকাকে বেজ রঙ বলে ডেকে থাকেন।
কোরা

উইকিঅভিধানে কোরা শব্দটি খুঁজুন।
কোরা বা একরু (ecru) হলো কোরা (অধৌতকৃত বা অশুভ্রকৃত) রেশম বা লিনেনের রঙ। এটি দেখতে অনেকটা হালকা বেজ রঙের মতো।
মূলত ১৯ শতকে এবং অন্তত ১৯৩০ সাল পর্যন্ত একরু বলতে বেজ রঙকেই বুঝানো হতো।[১৫]
একরু শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ একরু (écru) হতে, যার আক্ষরিক অর্থ কাঁচা বা কোরা (অধৌত বা সাদা করা হয়নি এমন) ।
অন্তত ১৯৫০এর দশক হতে একরু রঙকে বেজ থেকে ভিন্ন ও আলাদা একটি রঙ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, সম্ভবত অভ্যন্তরীন (ইন্টেরিয়র) ডিজাইনারদেরকে আরও বিস্তৃতভাবে রঙের প্যালেট বেছে নিতে দেওয়ার জন্য এমনটা করা হয়েছিল।[১৬]
খাকি
ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটি হলো খাকি। ১৯৩০ সালে আ ডিকশনারি অভ কালার নামে একটি বইয়ে এটি প্রথম নকশা করা হয়।
ইংরেজিতে রঙের নাম হিসেবে খাকি শব্দটির রেকর্ডকৃত প্রথম ব্যবহার হয় ১৮৪৮ সালে।[১৭]
হালকা ফরাসি বেজ
ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত ধূরাভ হলুদ রঙটি হলো 'হালকা ফরাসি বেজ
ফ্রান্সে জনপ্রিয় রঙের তালিকা pourpre.com এর ওয়েবসাইটে এটিকেই বেজ রঙ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ফরাসি বেজ
ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটি হলো ফরাসি বেজ বা ফ্রেঞ্চ বেজ।
ইংরেজিতে রঙের নাম হিসেবে ফ্রেঞ্চ বেজ (ফরাসি বেজ) শব্দটির রেকর্ডকৃত প্রথম ব্যবহার হয় ১৯২৭ সালে।[২০]
মোড বেজ
মোড বেজ হলো বেজেরাঙার গাঢ় কালচে আভা। বাংলায় এটিকে বেজরাগিনী বলা যেতে পারে।
১৬৮৬ [২২] এবং ১৯২৫ [২৩] এর দশকে এটি ড্রাব (ম্যাটমেটে বাদামি) ও স্যান্ড ডিউন (বালিয়াড়ি)[২৪] নামেও পরিচিতি পেয়েছিলো।
ইংরেজিতে রঙের নাম হিসেবে মোড বেজ শব্দটির রেকর্ডকৃত প্রথম ব্যবহার হয় ১৯২৮ সালে।[২৫]
Remove ads
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads