হান্ড্রেড পার্সেন্ট লাভ: বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না হচ্ছে ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী অ্যাকশন ও প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন বদিউল আলম খোকন ও প্রযোজনা করেছেন জননী কথাচিত্র। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাসরুমানা খান এবং মিশা সওদাগর, সোহেল রানা, সাদেক বাচ্চু, উজ্জ্বলখালেদা আক্তার কল্পনা সহ অন্যান্যরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এটি বংশী পৈডিপল্লি পরিচালিত এন টি রামা রাও জুনিয়র, কাজল আগারওয়ালসামান্তা আক্কিনেনি অভিনীত ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তেলুগু চলচ্চিত্র বৃন্দাবনম-এর আনুষ্ঠানিক পুনঃনির্মাণ। এটি ২০১২ সালের ২৭ অক্টোবর ঈদুল আযহায় মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করে এবং সুপারহিট হিসাবে তকমা পায়। চলচ্চিত্রটি ২০১২ সালের সর্বাধিক উপার্জনকারী বাংলাদেশী চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।[1][2][3][4]

দ্রুত তথ্য বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না, পরিচালক ...
বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না
Thumb
বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না চলচ্চিত্রের পোস্টার
হান্ড্রেড পার্সেন্ট লাভ: বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না
পরিচালকবদিউল আলম খোকন
প্রযোজকজননী কথাচিত্র
রচয়িতাআলম
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারআলী আকরাম শুভ
প্রযোজনা
কোম্পানি
জননী কথাচিত্র
পরিবেশকজননী কথাচিত্র
মুক্তি২৭ অক্টোবর ২০১২; ১১ বছর আগে (2012-10-27)
স্থিতিকাল২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
বন্ধ

কাহিনী সংক্ষেপ

রিমান (শাকিব খান) শিল্পপতি মির্জা সাঈদ (কাজী হায়াৎ) এর একমাত্র সন্তান। রিমানকে তার কলেজের বান্ধবী সোহানা (রুমানা খান) ভালোবাসে কিন্তু রিমান  সোহানাকে শুধু বান্ধবী মনে করে। সোহানা আর টিউলিপ (অপু-বিশ্বাস) তারা দুজন বান্ধবী। তবে তারা আসলে একে অপরের চাচাতো বোন। কিন্তু সেটা কেউই জানে না। যদিও পরবর্তীতে ঘটনার একপর্যায়ে তারা জানতে পারেন যে তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন।

টিউলিপের বাবার নাম শরীফ চৌধুরী (সোহেল রানা) ও সোহানার বাবার নাম ফরিদ চৌধুরী (উজ্জল)। টিউলিপ (অপু-বিশ্বাস) এর ফুপা আমজাদ খান (সাদেক বাচ্চু) টিউলিপ কে পুত্রবধূ করে শরীফ চৌধুরীর সম্পত্তির মালিক হতে চায়। তাই আমজাদ খান ষড়যন্ত্র করে শরীফ ও ফরিদ চৌধুরীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করে দুই ভাইকে আলাদা করে দেন। আমজাদ খানের পুত্র "বদরুল'' (মিশা সওদাগর) একজন গুন্ডা এবং মাস্তান। বদরুল টিউলিপকে বিয়ে করতে চায়। যখন টিউলিপের বিয়ে নিয়ে কথা হয় তখন টিউলিপ নিজের দাদার সাথে পরামর্শ করেন এবং বিয়ে আটকাতে প্রেমিকের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য রিমানকে বাড়িতে নিয়ে আসে, এবং সবাইকে জানিয়ে দেয় যে রিমানকে সে ভালোবাসে। কিন্তু রিমান অভিনয় করতে এসে সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলে টিউলিপকে এবং টিউলিপও রিমানকে ভালোবেসে ফেলে। আর এই কথা জানতে পেরে খুবই কষ্ট পায় সোহানা তাই সে টিউলিপের সুখের জন্য নিজের ভালোবাসাকে উৎসর্গ করেন।

এদিকে রিমান ফরিদ চৌধুরী ও শরীফ চৌধুরীর মধ্যে শত্রুতার বিরুদ্ধ মিটিয়ে দিয়ে দুই ভাইকে একসাথে মিলিয়ে দেন। অন্যদিকে শরীফ চৌধুরী টিউলিপকে রিমানের সাথে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে বদরুল এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হন, এবং সবাইকে বলে দেন যে রিমান টিউলিপ এর প্রেমিক নয় সে শুধুমাত্র প্রেমিকের ভূমিকায় অভিনয় করছে। এদিকে সোহানার বাবা জানতে পারেন যে সোহানা এক ছেলেকে ভালোবাসতেন এবং সেই ছেলেটি সোহানাকে ছেড়ে চলে গেছেন। তাই সোহানার বাবা রাগান্বিত হয়ে সেই ছেলের মা-বাবাকে ধরে নিয়ে আসেন এবং জানতে পারেন যে, যেই ছেলেটিকে সোহানা ভালোবাসতেন সেই ছেলেটি হলো রিমান! আর তখন সবাই  রিমানকে প্রতারক ভেবে ভুল বুঝে। তবে প্রতারণার কারণে রিমানকে যখন সোহানার বাবা মারতে থাকেন তখন সোহানার দাদা এসে সব ঘটনা সবার সামনে খুলে বলেন। আর এতে প্রমাণ হয় রিমান এসবকিছু টিউলিপের ভালোর জন্যই করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে টিউলিপকে অপহরণ করেন বদরুল। এরপর রিমান বদরুলের কাছ থেকে টিউলিপ কে উদ্ধার করলে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় বদরুলকে। তারপর সবার মিলনে চলচ্চিত্রটির সমাপ্তি ঘটে।

অভিনয়

সংগীত

বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না চলচ্চিত্রের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আলী আকরাম শুভ

আরও তথ্য গানের তালিকা, নং. ...
গানের তালিকা
নং.শিরোনামদৈর্ঘ্য
১."কেমন করে জানি না তো ভালোবাসা হয়"৩:২৫
২."এই তুমি সেই জিবনে যাকে চায়"৩:৪০
৩."হৃদয়ের জানালায় প্রেম দেয় উঁকি"৩:৫০
৪."একটু একটু ভালোবাসা একটু একটু কাছে আসা"৪:০২
বন্ধ

তথ্যসূত্র

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.