বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দর
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দর হল ভারতের একটি আভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরটি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচি শহরে অবস্থিত। বিমানবন্দরটি রাঁচি বিমানবন্দর হিসাবেও পরিচিত। বিমানবন্দরটি পরিচালনা করে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরটি শহরের কেন্দ্র থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়েছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী বিরসা মুন্ডার নামে। সমগ্র বিমানবন্দরটি ১৫৬৮ একর জমির উপর বিস্তৃত হলেও এএআই এর ৫৪৬ একর (২২১ হেক্টর) এলাকার [২] উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বছরে ১.৫ মিলিয়ন এরও (২০১৭-২০১৮ সালে ১.৭ মিলিয়ন) বেশি যাত্রী পরিবহন করে এবং ২০১৭-২০১৮ সালের হিসাবে এটি ভারতের ২৮ তম ব্যস্ত বিমানবন্দর। [৩]
বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দর | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() | |||||||||||
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | জনসাধারন | ||||||||||
পরিচালক | ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | রাঁচি জামশেদপুর বোকারো ধানবাদ | ||||||||||
অবস্থান | হিনোও, রাঁচি | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ২,১৪৮ ফুট / ৬৪৬ মিটার | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২৩°১৮′৫১″ উত্তর ০৮৫°১৯′১৮″ পূর্ব | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
হেলিপ্যাড | |||||||||||
| |||||||||||
পরিসংখ্যান (এপ্রিল ২০১৭- মার্চ ২০১৮) | |||||||||||
| |||||||||||
প্রান্তিক
সারাংশ
প্রসঙ্গ
সমন্বিত টার্মিনাল
২৪ শে মার্চ ২০১৩ সালে বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দরের নতুন সমন্বিত যাত্রী টার্মিনালটি উদ্বোধন করেন প্রাক্তন বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী অজিত সিং।
এখানে ১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯,৬০০ বর্গমিটারের বেশি ক্ষেত্রফলের টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। টার্মিনাল ভবনে টার্মিনাল ও উড়োজাহাজকে যুক্তকারী দুটি সেতু এবং ছয়টি এস্কালেটর রয়েছে। সব উপকরণ চীন, জার্মানি এবং সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করা হয়েছে। বিমানবন্দরটির একই সময়ে ৫০০ জন গার্হস্থ্য ও ২০০ জন আন্তর্জাতিক যাত্রীকে একযোগে পরিচালনা করার ক্ষমতা রয়েছে॥ [৪]
মার্চ ২০১৩ সালে, বিমানবন্দরে বিক্রি করা বিমানের জ্বালানি তেলের বিক্রির উপর কর ২০% থেকে হ্রাস করে ৪% করা হয় যাতে শহরটি থেকে আরও বিমান চলাচল করতে পারে। বিমানবন্দরের বিমানসংস্থাকে রাতে বিমান থাকা ও বিমান চালানোর জন্য উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে বিমানবন্দর ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল, যাতে মেট্রো শহরে আরও বেশি বিমান যাত্রা শুরু হতে পারে। [৫] ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আরও তিনটি বিমান দাঁড়ানোর জন্য স্থান নির্মাণের ঘোষণা করেছিল, যার ফলে ভারতের প্রথম টিয়ার -২ বিমানবন্দরটি আটটি পরিকল্পিত বিমানের দাঁড়ানোর জন্য স্থান দিতে সক্ষম হয়েছিল। [৬]
পণ্যসম্ভার টার্মিনাল
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের মাধ্যমে একটি নতুন পণ্যসম্ভার টার্মিনাল উদ্বোধন করা হয়। টার্মিনালটি ৫০ মেট্রিক টন (এমটি) পণ্যসম্ভার দৈনন্দিন পরিচালনা করতে পারে।
পণ্যসম্ভার টার্মিনালটি বিস্ফোরক সনাক্তকরণ ডিভাইস, পণ্যসম্ভার এক্স-রে মেশিন, হার্ডওয়্যার নিরাপত্তা মেশিন এবং সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা সজ্জিত। [৭]
গন্তব্য
বিমান সংস্থা | গন্তব্যস্থল |
---|---|
এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া | বেঙ্গালুরু, দিল্লি, কলকাতা [৮] |
এয়ার ইন্ডিয়া | দিল্লি |
এয়ার ওড়িশা | ঝাড়সুগুডা, ভুবনেশ্বর (উভয় শুরু ১৫ জুন ২০১৮) |
গো এয়ার | বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মুম্বই, পাটনা |
ইন্ডিগো | কলকাতা, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, ইন্দোর, মুম্বই, পাটনা |
ভিস্তারা | দিল্লি |
ঘটনা এবং দুর্ঘটনা
সারাংশ
প্রসঙ্গ
১৯ অক্টোবর ২০১১ সালে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর একটি এইচএল ধ্রুব হেলিকপ্টার বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দর থেকে চাইবাসা পর্যন্ত চলে যায় এবং খুন্তির কাছাকাছি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সকল সদস্য মারা যায়। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে পাইলট হঠাৎ করেই হেলিকপ্টারে অতিরিক্ত ইনপুট প্রয়োগ করতে গিয়ে স্থানিক বিচলিত হয়েছিলেন এবং বিমানবন্দরে ফেরার সময় রোটার এর গুরুতর ক্ষতির ফলে বিপর্যয় ঘটেছিল। [৯] তবে স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞরা এইচএএল ধ্রুভের পূর্বেকার ডিজাইনের ত্রুটি উল্লেখ করেছেন, যা হঠাৎ করে বাঁকানো অবস্থায় হেলিকপ্টার কন্ট্রোল স্যাচুরেশন হিসাবে আবির্ভূত হয়। এই দুর্ঘটনার পর এইচএএল একটি নিয়ন্ত্রণ সম্পৃক্ততা সতর্কীকরণ ব্যবস্থা তৈরি করে যা একটি নিয়ন্ত্রণ সম্পৃক্ততা পরিস্থিতির সংঘর্ষের আগে পাইলটদের সতর্ক করবে। [১০][১১]
৯ মে ২০১২ সালে, আগুস্ত ওয়েস্টল্যান্ডের এডব্লিউ১০৯ হেলিকপ্টারটি বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দর থেকে কুচাই হেলিপ্যাডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ঝাড়খণ্ডের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিপদগ্রস্ত হয়ে জরুরী অবতরণ করে। হেলিকপ্টারের মেরামতির পর বিমানবন্দরে ফিরে আসে। দুর্ঘটনার পর সমস্ত যাত্রী এবং ক্রু বেঁচে ছিলেন । [১২]
১১ নভেম্বর, ২০১৭ সালের দিল্লি-নিবন্ধিত এয়ার এশিয়া উড়ানটি রাঁচি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। বিমানটির মালবাহী বিভাগ থেকে ধোঁয়া সনাক্তকরণ সতর্কতা পাওয়ার পর শনিবার উড়ান আই৫-৫৪৯ বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দর (বিএমএ) থেকে বিকাল ৫ টায় ক্রু সহ ১৪০ জন যাত্রী নিয়ে উড়ে যায়। [১৩]
ছবি
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.