বাসুদেব

কৃষ্ণের রূপভেদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

বাসুদেব

কৃষ্ণ বাসুদেব পূজা হল ঐতিহাসিক ভাবে কৃষ্ণধর্মবৈষ্ণবধর্মের অন্যতম আদি রূপ। বাসুদেব কৃষ্ণ কথাটির অর্থ হল বসুদেবের পুত্র কৃষ্ণ। এটি ছিল প্রাচীনকালের কৃষ্ণপূজার একটি অন্যতম প্রধান ধারা। এই ধারাটি ছিল সম্পূর্ণ পৃথক একটি ধারা। পরে এটি অন্য ধারার সঙ্গে মিশে যায়। ভাগবতধর্ম, গোপাল কাল্টবালগোপাল কাল্টের সঙ্গে এই ধারাটি মিশে গিয়ে বর্তমান বৈষ্ণবধর্মের একেশ্বরবাদী রূপটি গড়ে উঠেছে।[১][২] কোনো কোনো প্রাচীন পণ্ডিত এই ধারাটিকে ভাগবতধর্মের সঙ্গে এক করে দেখেন।[৩] এই ধর্মীয় প্রথাটির প্রতিষ্ঠাতা মনে করা হয় স্বয়ং কৃষ্ণকে। তিনি ছিলে বসুদেবের পুত্র। তাই তাঁর অপর নাম ছিল বাসুদেব। তিনি ঐতিহাসিক সত্বত জাতির বাসভূমিতে বসা করতেন। তাদের মতে, কৃষ্ণের অনুগামীদের বলা হত ভাগবত। এই ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয় খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে (পতঞ্জলির সমসাময়িক) অথবা খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে (মেগাস্থিনিসকৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের বর্ণনা থেকে জানা যায়)। এই ধর্মে বাসুদেব হলেন সর্বোচ্চ ঈশ্বর।[৪] এই ধর্মের বাইরে ভক্তকে অনেক স্থানে "বাসুদেবক" বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[৫]

Thumb
কৃষ্ণ বাসুদেব, সময়: ১৮০-১৯০ খিঃপূর্ব

হরিবংশে কৃষ্ণ, বসুদেব, সঙ্কর্ষণ, প্রদ্যুম্ন ও অনিরুদ্ধের মধ্যে জটিল সম্পর্কগুলির ব্যাখ্যা আছে। এগুলিই পরে বৈষ্ণব অবতার ধারণার জন্ম দেয়।

আরও দেখুন

পাদটীকা

তথ্যসূত্র

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.