বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (জন্ম: ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য[1][2][3]

দ্রুত তথ্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য ...
বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৩ মার্চ ২০১৮  ৭ জানুয়ারি ২০২৪
পূর্বসূরীমোহাম্মদ ছায়েদুল হক
উত্তরসূরীসৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মবদরুদ্দোজা মো: ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম
(1971-09-19) ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ (বয়স ৫৩)
বড়বাড়ি, গুনিয়াউক, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
পিতামাতাএম ফখরুল হোসেন (পিতা),
ফেরদৌস আরা বেগম রুনু (মাতা)
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
ডাকনামসংগ্রাম
বন্ধ

প্রাথমিক জীবন

বদরুদ্দোজা মো: ফরহাদ হোসেনের জন্ম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের গুনিয়াউক ইউনিয়নের বড়বাড়িতে।

তার পিতা মৃত এম ফখরুল হোসেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক মহাসচিব। মাতা ফেরদৌস আরা বেগম রুনু বাংলাদেশ আনসার ভিডিপির উপ-পরিচালক ছিলেন।

তিনি ১৯৮৮ সালে ঢাকা রেসিডিন্সিয়াল মডেল স্কুল হতে এসএসসি পাশ করে ১৯৯০ সালে ঢাকা কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৯৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক পাশ করেন। ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ২০১৪ সালে এলএলবি ও ২০১৬ সালে এলএলএম ডিগ্রী লাভ করেন।[2]

রাজনৈতিক জীবন

বদরুদ্দোজা মো: ফরহাদ হোসেন রেসিডিন্সিয়াল মডেল স্কুলে পড়ার সময় ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে ঢাকার তৎকালীন ৩৩নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩-৯৪ সালে মতিঝিল থানা শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য মনোনিত হন। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনিত হন। ১৯৯৮-২০০২ সালে গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২-২০০৬ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি ১৩ মার্চ ২০১৮ সালের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন।[3][2][1]

একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।

সংসদ সদস্য থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে। পরবর্তীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান এর কাছে ৪৩,২২৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

তথ্যসূত্র

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.