Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আলফ্রেড জিনেমান (২৯ এপ্রিল ১৯০৭ - ১৪ মার্চ ১৯৯৭) ছিলেন অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণকারী মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি লোমহর্ষক, পশ্চিমা ধাঁচের, নোয়া চলচ্চিত্র, ও সাহিত্যের উপযোগকরণসহ বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চারটি একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেছেন। পঞ্চাশ বছরের কর্মজীবনে তিনি ২৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল দ্য সার্চ (১৯৪৮), দ্য মেন (১৯৫০), হাই নুন (১৯৫২), ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি (১৯৫৩), ওকলাহোমা! (১৯৫৫), দ্য নান্স স্টোরি (১৯৫৯), আ ম্যান ফর অল সিজন্স (১৯৬৬), দ্য ডে অব দ্য জ্যাকল (১৯৭৩), ও জুলিয়া (১৯৭৭)। তার নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ ৬৫টি বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছে ও ২৪টি পুরস্কার জিতেছে।
জিনেমানের পরিচালনায় অভিনয় করে ১৯ জন অভিনয়শিল্পী অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছেন ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, মন্টগামারি ক্লিফট, অড্রি হেপবার্ন, গ্লিনিস জন্স, পল স্কোফিল্ড, রবার্ট শ, ওয়েন্ডি হিলার, জেসন রবার্ডস, ভানেসা রেডগ্রেভ, জেন ফন্ডা, গ্যারি কুপার, ও ম্যাক্সিমিলিয়ান শেল।
জিনেমান ১৯০৭ সালের ২৯ এপ্রিল রৎসেৎসোভে জন্মগ্রহণ করেন।[1][2][3][4] তার পিতা অস্কার জিনেমান একজন ডাক্তার ছিলেন এবং তার মাতা আনা (ফেইওয়েল)।[5][6] তার পিতামাতা অস্ট্রীয় ইহুদি ছিলেন।[7][8] তার এক ছোট ভাই ছিল। শৈশবে অস্ট্রিয়ায় থাকাকালীন তিনি সঙ্গীতজ্ঞ হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীকালে ১৯২৭ সালে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।[7]
আইন বিষয়ে অধ্যয়নকালে তিনি চলচ্চিত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তার পিতামাতাকে প্যারিসে চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে পড়ার বিষয়ে রাজি করান। প্যারিসে একোল তেকনিক দ্য ফোতোগ্রাফি এ সিনেমাতোগ্রাফিতে এক বছর পড়ার পর তিনি চিত্রগ্রাহক হন এবং বার্লিনে কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ পান। পরবর্তীকালে তিনি হলিউডে অভিবাসিত হন।[7] তার পিতামাতা দুজনেই ইহুদি গণহত্যার স্বীকার হন।[9]:৮৬
জিনেমানের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রশিক্ষণ ও তার ব্যক্তিগত জীবন "সামাজিক বাস্তববাদী" হিসেবে তার পরিচালনার পদ্ধতিতে অবদান রেখেছিল। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪২ সালে তার শুরুর দিকের চলচ্চিত্রে তিনি এই পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করেন। ১৯৫২ সালে তার শ্রেষ্ঠকর্ম হিসেবে বিবেচিত হাই নুন চলচ্চিত্রে তিনি পর্দা সময়ের সাথে বাস্তব সময়ের সমন্বয় ঘটিয়ে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ আবহ তৈরি করেছিলেন।[7]
জিনেমানের পরিচালিত হাই নুন (১৯৫২), ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি (১৯৫৩), দ্য নান্স স্টোরি (১৯৫৯), আ ম্যান ফর অল সিজন্স (১৯৬৬), ও জুলিয়া (১৯৭৭)-সহ অধিকাংশ চলচ্চিত্রই নাট্যধর্মী ধারার এবং এগুলোতে কোন একাকী ও নীতিসম্পন্ন ব্যক্তির বিয়োগান্ত ঘটনাবলি দেখানো হয়েছে।
বছর | চলচ্চিত্রের শিরোনাম | অস্কার মনোনয়ন |
অস্কার জয় | বাফটা মনোনয়ন |
বাফটা জয় | গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন |
গোল্ডেন গ্লোব জয় |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১৯৩০ | মেনশেন আম সনতাগ (প্রামাণ্য চলচ্চিত্র) | প্র/ন | প্র/ন | প্র/ন | প্র/ন | ||
১৯৩৬ | রিডস (দ্য ওয়েব নামেও পরিচিত) | ||||||
১৯৪২ | কিড গ্লোভ কিলার | ||||||
আইজ ইন দ্য নাইট | |||||||
১৯৪৪ | দ্য সেভন্থ ক্রস | ১ | |||||
১৯৪৬ | দ্য ক্লক (কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি ) | ||||||
১৯৪৬ | লিটল মিস্টার জিম | ||||||
১৯৪৭ | মাই ব্রাদার টকস টু হর্সেস | ||||||
১৯৪৮ | দ্য সার্চ | ৪ | ১ | ১ | ১ | ||
১৯৪৯ | অ্যাক্ট অব ভায়োলেন্স | ||||||
১৯৫০ | দ্য মেন | ১ | ১ | ||||
১৯৫১ | টেরিজা | ১ | ১ | ১ | |||
১৯৫২ | হাই নুন | ৭ | ৪ | ৭ | ৪ | ||
দ্য মেম্বার অব দ্য ওয়েডিং | ১ | ||||||
১৯৫৩ | ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি | ১৩ | ৮ | ১ | ২ | ২ | |
১৯৫৫ | ওকলাহোমা! | ৪ | ২ | ||||
১৯৫৭ | আ হ্যাটফুল অব রেইন | ১ | ১ | ৩ | |||
১৯৫৮ | দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি (কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি) | ৩ | ১ | ১ | |||
১৯৫৯ | দ্য নানস স্টোরি | ৮ | ৫ | ১ | ৫ | ||
১৯৬০ | দ্য সানডাউনার্স | ৫ | ৩ | ১ | |||
১৯৬৪ | বিহোল্ড আ পেল হর্স | ||||||
১৯৬৬ | আ ম্যান ফর অল সিজন্স | ৮ | ৬ | ৭ | ৭ | ৫ | ৪ |
১৯৭৩ | দ্য ডে অব দ্য জ্যাকেল | ১ | ৭ | ১ | ৩ | ||
১৯৭৭ | জুলিয়া | ১১ | ৩ | ১০ | ৪ | ৭ | ২ |
১৯৮২ | ফাইভ ডেজ ওয়ান সামার | ||||||
মোট | ৬৬ | ২৪ | ৩৬ | ১৪ | ৩৪ | ১৩ | |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.