পাকিস্তানী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
স্যার মালিক ফিরোজ খান নুন, কেসিএসআই কেসিআইই ওএসটিজ (উর্দু: ملک فیروز خان نون; ৭ মে ১৮৯৩ – ৯ ডিসেম্বর ১৯৭০)[১] ছিলেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ। স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে তিনি বেশ কিছু সরকারি পদে দায়িত্বপালন করেছেন। পাকিস্তান আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান ব্যক্তিত্ব।
মালিক ফিরোজ খান নুন ملک فیروز خان نون কেসিএসআই কেসিআইই ওএসটিজ | |
---|---|
![]() | |
পাকিস্তানের ৭ম প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৫৭ – ৭ অক্টোবর ১৯৫৮ | |
রাষ্ট্রপতি | ইস্কান্দার মীর্জা |
পূর্বসূরী | ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড় |
উত্তরসূরী | নুরুল আমিন |
প্রতিরক্ষামন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৫৭ – ৭ অক্টোবর ১৯৫৮ | |
পূর্বসূরী | মমতাজ দৌলতানা |
উত্তরসূরী | মুহাম্মদ আইয়ুব খুহরো |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ – ৭ অক্টোবর ১৯৫৮ | |
প্রধানমন্ত্রী | হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী |
পূর্বসূরী | হামিদুল হক চৌধুরী |
উত্তরসূরী | মনজুর কাদির |
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৩ এপ্রিল ১৯৫৩ – ২১ মে ১৯৫৫ | |
গভর্নর | মিয়া আমিরউদ্দিন হাবিব ইবরাহিম রহিমতুল্লা মুশতাক আহমেদ গুরমানি |
পূর্বসূরী | মমতাজ দৌলতানা |
উত্তরসূরী | আবদুল হামিদ খান দাস্তি |
পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ৩১ মার্চ ১৯৫০ – ৩১ মার্চ ১৯৫৩ | |
মুখ্যমন্ত্রী | নুরুল আমিন |
পূর্বসূরী | ফ্র্যাডেরিক চালমার্স বোর্ন |
উত্তরসূরী | চৌধুরী খালিকুজ্জামান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সারগোধা, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান পাঞ্জাব, পাকিস্তান) | ৭ মে ১৮৯৩
মৃত্যু | ৯ ডিসেম্বর ১৯৭০ ৭৭) নুরপুর নুন, পাঞ্জাব, পাকিস্তান | (বয়স
রাজনৈতিক দল | মুসলিম লীগ (১৯৫৫ সালের পূর্বে) রিপাবলিকান পার্টি (১৯৫৫–১৯৭০) |
দাম্পত্য সঙ্গী | ভিকার উন নিসা নূন |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
ফিরোজ খান নুন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেছেন। ১৯৩৬ সাল থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যে ভারতের হাই কমিশনার ছিলেন।
১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত তিনি ভাইসরয়ের কাউন্সিলে প্রতিরক্ষা বিষয়ক দায়িত্বপালন করেছেন। ভারতীয়দের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম এই পদ লাভ করেন। ১৯৪২ সালে তাকে পাঞ্জাবের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সিকান্দার হায়াত খানের সম্ভাব্য উত্তরসুরি হিসেবে ধরা হয়েছিল।
১৯৪৫ সালে তিনি লন্ডনে চার্চিলের যুদ্ধ মন্ত্রীসভায় ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আরকোট র্যামসেমি মুডালিয়ারের সাথে অংশ নিয়েছেন।[২]
১৯৪৫ সালে তিনি সান ফ্রান্সিস্কো সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধিদলে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৪৭ সালে মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে তাকে কিছু মুসলিম রাষ্ট্রে প্রেরণ করা হয়। এটি ছিল পাকিস্তান সরকারের প্রেরণ করা প্রথম সরকারি মিশন। পাকিস্তানকে পরিচিত করা, এর প্রতিষ্ঠার কারণ ব্যাখ্যা, মুসলিম বিশ্বে সমর্থন আদায় এই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৩৩ সালের নববর্ষ সম্মাননা তালিকায় ফিরোজ খান নুন নাইট উপাধিতে ভূষিত হন।[৩] পরবর্তীতে তিনি ১৯৩৭ সালের রাজ্যাভিষেক সম্মাননা তালিকায় কেসিআইই[৪] এবং ১৯৪১ সালের অক্টোবরে কেসিএসআই উপাধি লাভ করেন।[৫] ১৯৩২ সালে তিনি ভেনেরেবল অর্ডার অব সেইন্ট জনের সহযোগী অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান।[৬]
ফিরোজ খান নুন ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত পূর্ব বাংলার গভর্নর হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
১৯৫৩ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ফিরোজ খান নুন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ১৯৫৭ সালে তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন।
১৯৫৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি পাকিস্তানের ৭ম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। এরপর ইস্কান্দার মীর্জা সামরিক আইন জারি করেছিলেন।
ফিরোজ খান পাঁচটি বই লিখেছেন। এরমধ্যে তার আত্মজীবনী ফ্রম মেমরি অন্যতম। তার স্ত্রী ভিকার উন নিসা নূন একজন খ্যাতনামা সমাজকর্মী ছিলেন এবং ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
ফিরোজ খান নুন ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর তার পৈতৃক নিবাস নুরপুর নুন গ্রামে মারা যান।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.