প্লেবয় (ইংরেজি: Playboy) মার্কিনপুরুষদের এবং জীবনধারা এবং বিনোদন ম্যাগাজিন, যা সাংবাদিকতা ও কল্পকাহিনীর পাশাপাশি নগ্ন নারীর আলোকচিত্র প্রকাশ করে। এটা হিউ হেফ্নার এবং তার সহযোগী কর্তৃক ১৯৫৩ সালে শিকাগোতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং যেখানে হেফ্নারের মায়ের কাছ থেকে নেয়া $১,০০০ ঋণের একটা অংশ নিহিত ছিল।[3] ম্যাগাজিনটি নগ্ন এবং অর্ধ-নগ্ন[4]মডেলদের (প্লেমেট) কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে উল্লেখযোগ্য, প্লেবয়যৌন বিপ্লবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে,[5] এবং বিশ্বের সেরা পরিচিত ব্যান্ডগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত।[6] ম্যাগাজিনটি প্রায় প্রতিটি মাধ্যমের উপস্থিতির পাশাপাশি প্লেবয় এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক গড়ে উঠে।[6] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্ল্যাগশিপ ম্যাগাজিন ছাড়াও, প্লেবয়র জাতি-নির্দিষ্ট সংস্করণ বিশ্বব্যাপী প্রকাশ করা হয়।
ম্যাগাজিনটির উল্লেখযোগ্য ঔপন্যাসিকদের ছোটো গল্প প্রকাশের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যাদের মধ্যে ছিলেন আর্থার সি ক্লার্ক,[7]ইয়ান ফ্লেমিং,[7]ভ্লাদিমির নাবোকভ,[8]সল বেলো, চাক পালহানিয়াক, পি. জি. উডহাউস,[7]হারুকি মুরাকামি, এবং মার্গারেট অ্যাটউড।[7] সম্পূর্ণ পৃষ্ঠা জুড়ে রঙিন কার্টুনের নিয়মিত প্রদর্শনের পাশাপাশি, এটি উল্লেখযোগ্য কার্টুনিস্টদের জন্য একটি শোকেসে পরিণত হয়ে ওঠে, যাদের মধ্যে হার্ভি কার্টজম্যান, জ্যাক কোল,[9]এলডন দেদিনি,[10]জুলেস ফিফার,[11]শেল সিলভারস্টোন,[12] এরিখ সকোল,[7]রয় র্যামন্ড,[13]গহান উইলসন, এবং রোল্যান্ড বি. উইলসন অর্ন্তভূক্ত।[14]প্লেবয় উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের, যেমন শিল্পী, স্থপতি, অর্থনীতিবিদ, সুরকার, কন্ডাকটর, চলচ্চিত্র পরিচালক, সাংবাদিক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ এবং রেস কার চালকের মাসিক সাক্ষাতকারে প্রচার করেছে। ম্যাগাজিনটি সাধারণত একটি উদার সম্পাদকীয় অবস্থান অবলম্বন করে থাকে, যদিও এটি প্রায়ই রক্ষণশীল তারকাদের সাক্ষাত্কারও প্রকাশ করে থাকে।[15]
প্লেবয় ম্যাগাজিনে বেশিরভাগ নগ্ন আলোকচিত্র এক বছর-দীর্ঘ অপসারণের পর, মার্চ-এপ্রিল ২০১৭ সালের সংখ্যায় পুনরায় নগ্নতা ফিরিয়ে অনা হয়।
১৯৫০-এর দশক
র্যাবিট লোগো
একটি সাক্ষাৎকারে হেফ্নার ইটালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফাল্লাচির নিকট, প্লেবয়ের জন্যে তার র্যাবিট লোগো পছন্দের কারণ ব্যাখ্যা করেনঃ
“
The rabbit, the bunny, in America has a sexual meaning; and I chose it because it's a fresh animal, shy, vivacious, jumping - sexy. First it smells you then it escapes, then it comes back, and you feel like caressing it, playing with it. A girl resembles a bunny. Joyful, joking. Consider the girl we made popular: the Playmate of the Month. She is never sophisticated, a girl you cannot really have. She is a young, healthy, simple girl - the girl next door . . . we are not interested in the mysterious, difficult woman, the femme fatale, who wears elegant underwear, with lace, and she is sad, and somehow mentally filthy. The Playboy girl has no lace, no underwear, she is naked, well-washed with soap and water, and she is happy.
”
"হিউ হেফ্নার: 'আই অ্যাম ইন দ্য সেন্টার অব দ্য ওয়ার্ল্ড,'" ওরিয়ানা ফাল্লাচির কর্তৃক গৃহীত সাক্ষাৎকার, লুক ম্যাগাজিন, জানুয়ারি ১০, ১৯৬৭
১৯৬০–১৯৯০
২০০০–২০১০
অনেক উল্লেখযোগ্য আলোকচিত্রী প্লেবয়-এ অবদান রেখেছেন, যেমন: কেন মার্কাস,[16]রিচার্ড ফেগলে,[17]আর্নি ফ্রেইট্যাগ,[18]রন হ্যারিস,[19]টম কেলি,[16]ডেভিড ম্যাকেই,[20]রাস মেয়ার,[21]পম্পিও পোসার,[22]Suze Randall,[23]হার্ব রিটস্,[24]স্টিফেন ওয়েডা,[25][26]স্যাম উ,[27]মারিও ক্যাসিলিয়া,[28]অ্যানি লিবভিত্জও,[24]হেলমুট নিউটন,[24] এবং বানি ইয়েগার।[29]
সম্পূর্ণ তালিকার জন্য, দয়া করে দেখুনঃ প্লেবয় ব্যক্তিদের তালিকা ১৯৫৩–১৯৫৯, ১৯৬০–১৯৬৯, ১৯৭০–১৯৭৯, ১৯৮০–১৯৮৯, ১৯৯০–১৯৯৯, ২০০০–২০০৯, ২০১০–২০১৯।
বিভিন্ন সেলিব্রিটি (গায়িকা, অভিনেত্রী, মডেল, প্রভৃতি) প্লেবয়ের জন্য নিজেদের উপস্থিত করেছেন। এটি একটি সংক্ষিপ্ত তালিকাঃ
চলচ্চিত্রঃ
মেরিলিন মনরো(ডিসেম্বর ১৯৫৩) (প্রকৃতপক্ষে প্লেবয় নিজস্বভাবে উপস্থাপন করে নি)