পাঁশকুড়া
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পাঁশকুড়া শহর ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর বিভাগের অন্তর্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমার পাঁশকুড়া সমষ্টি উন্নয়ন কেন্দ্রের সদর ও পৌরসভা৷ এটি কংসাবতী নদীর তীরে অবস্থিত, স্থানীয়ভাবে এটি কাঁসাই নদী নামে পরিচিত৷
পাঁশকুড়া | |
---|---|
শহর | |
পাঁশকুড়ার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২.৪১৭° উত্তর ৮৭.৭০০° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | পূর্ব মেদিনীপুর |
সরকার | |
• ধরন | পুরসভা |
• শাসক |
|
আয়তন[১] | |
• মোট | ১৭.০৪ বর্গকিমি (৬.৫৮ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৭ মিটার (২৩ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৫৭,৯৩২ |
• জনঘনত্ব | ৩,৪০০/বর্গকিমি (৮,৮০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | বাংলা |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৭২১১৩৯ |
টেলিফোন কোড | ০৩২২৮ |
লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র | ঘাটাল |
বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র | পাঁশকুড়া পশ্চিম |
গ্রীষ্মকালীন গড় উষ্ণতা | ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) |
শীতকালীন গড় উষ্ণতা | ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৪৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) |
ওয়েবসাইট | panskuramunicipality |
পাঁশকুড়া নামের একাধিক মতবাদ রয়েছে৷ কাশীজোড়া পরগনার রাজা তার দীক্ষার সময় কালে দীক্ষা দানকারী নিত্যানন্দ চক্রবর্তীকে কিছু জমি দান করেন৷ মানিকরাম গঙ্গোপাধ্যায়ের শীতলামঙ্গল কাব্যে উল্লেখ রয়েছে 'পঞ্চকুড়্যা জমি দিল কর্য ব্রহ্মোত্তর'৷ পঞ্চ অর্থ পাঁচ, কুড়্যা অর্থ নদী উপত্যকার বসতি অঞ্চল৷ এই পঞ্চকুড়্যা বা পাঁচকুড়্যা থেকেই পাঁশকুড়া নামটি এসে থাকতে পারে৷[২] দ্বিতীয় মতবাদ অনুযায়ী ব্রিটিশরা উলুবেড়িয়া থেকে মোহনপুর যাবার জন্য মেদিনীপুর খাল খনন করার সময় তাঁরা কংসাবতীর নিকট এসে ছাই বা পাঁশ ফেলে এগান থেকে জ্বালানি বা কুড়া সংগ্রহ করে নিয়ে যেতেন৷ ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে সদরঘাটের নিকট পাঁচকুড়া স্কুল নামে পরিচিত বিদ্যালয়টি বর্তমানে পাঁশকুড়া ব্রাডলি বার্ট হাইস্কুল নামে পরিচিত৷ আরো একটি মতবাদ রয়েছে পাঁশকুড়া নামটি এসেছে পশংগড়া থেকে৷ অতীতে জলসেচের সুবিধার্থে মেদিনীপুর খালের এই এলাকায় লকগেট বা পশং তৈরি করা হয় ও লকগেট সংলগ্ন স্থানকে বলা হত পশংগড়া।
কারিগরি সমস্যার কারণে গ্রাফ এই মূহুর্তে অস্থায়ীভাবে অনুপলব্ধ রয়েছে। |
পাঁশকুড়ার অবস্থান ২২.৪২° উত্তর ৮৭.৭° পূর্ব স্থানাঙ্কে৷[৩] এর গড় উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৭ মিটার বা ২৬ ফুট উঁচুতে৷ কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী ১৬ নং জাতীয় সড়কের কলকাতা-খড়্গপুর অংশের মাঝামাঝি রয়েছে পাঁশকুড়া৷ এখান থেকে উত্তরে বিস্তৃত রয়েছে ১১৬ এ নং জাতীয় সড়ক।
২০০১ খ্রিস্টাব্দে তমলুক সদর মহকুমার নগরীয় জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫.৯২ শতাংশ, যা ২০১১ খ্রিস্টাব্দে বৃৃৃৃদ্ধি পেয়ে ১২.১৫ শতাংশ হয়েছে৷[৪]
২০১১ খ্রিটাব্দে ভারতের জনগণনা অনুযায়ী[৬] পাঁশকুড়ার মোট জনসংখ্যা ৫৭,৯৩২ জন, যেখানে ২৯,৭৪০ জন পুরু ও ২৮,১৯২ জন নারী৷ অর্থাৎ প্রতিহাজার পুরুষে ৯৪৮ জন নারীর বাস৷[৭] মোট পরিবার সংখ্যা ১১,৭৪৩ টি৷ ছয় বছর অনূর্ধ্ব শিশু সংখ্যা ৬,৯৪৩, যা মোট জনসংখ্যার ১১.৯৮ শতাংশ৷ পাঁশকুড়ার মোট সাক্ষরতার হার ৮৪.৯৭ শতাংশ, যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৮৯.৯১ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৭৯.৭৭ শতাংশ৷[৮]
পাঁশকুড়া পুলিশ স্টেশন পাঁশকুড়া ব্লক সহ পাঁশকুড়া পুরসভার ন্যায়বিচারের দায়িত্বে রয়েছে৷ এর ক্ষেত্রফল প্রায় ২৮৫ বর্গ কিলোমিটার ও জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ৷[৯][১০]
পাঁশকুড়ার চপ বা পাঁশকুড়ার আলুর চপ একটি বিখ্যাত জল খাবারের পদ৷[১১]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.