আইনশাস্ত্র ও দর্শনশাস্ত্রে ন্যায়বিচার বলতে কোন ব্যক্তির প্রাপ্য কী হবে এবং তার জন্য ভাল ও মন্দের ভাগের সঠিক অনুপাত কী হবে, তার তত্ত্বকে বোঝায়।
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
ন্যায়বিচারকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা সম্ভব। এদের মধ্যে একটি হল বিতরণমূলক ন্যায়বিচার, যেখানে সম্পত্তি ও অন্যান্য পণ্য বিতরণ করা হয়। বিতরণমূলক ন্যায়বিচারের তত্ত্বগুলিতে কী বিতরণ করা হবে, কাকে করা হবে এবং সঠিক বিতরণ কীরকম হবে, সেগুলি আলোচনা করা হয়। অন্যটি হল শাস্তিমূলক বা সংশোধনমূলক বিচার, যেখানে কোন ব্যক্তি মন্দকাজ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। আবার পুনরুদ্ধারমূলক বা ক্ষতিপূরণমূলক ন্যায়বিচারের তত্ত্বে ভুক্তভোগী ও অপরাধীর চাহিদার কথা চিন্তা করে যা ভাল বা উত্তম, সেটিকে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়।
সংস্কৃতিভেদে ন্যায়বিচারের ধারণা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। ন্যায়বিচার সম্বন্ধে পশ্চিমী মতবাদগুলির সবই গ্রিক দার্শনিক প্লেটো এবং তার শিষ্য আরিস্টটলের লেখা থেকে উৎসারিত হয়েছে। কেউ কেউ বলেন ন্যায়বিচার ঈশ্বর নির্ধারণ করেছেন; একে স্বর্গীয় আদেশ তত্ত্ব নাম দেওয়া হয়। ১৭শ শতকে জন লক ও অন্যান্য তাত্ত্বিকরা প্রাকৃতিক বিধিভিত্তিক তত্ত্বের পক্ষে যুক্তি দেন। অন্যদিকে সামাজিক চুক্তি ঘরানার চিন্তাবিদেরা বলেন যে সমাজের সবার নিজেদের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়া যায়। ১৯শ শতকে জন স্টুয়ার্ট মিল ও অন্যান্য উপযোগবাদী চিন্তাবিদেরা বলেন ন্যায়বিচার তা-ই যার ফলাফল সবচেয়ে শুভ হয়। মানবসমতাবাদীরা যুক্তি দেন যে বিচার কেবলমাত্র মানুষে মানুষে সমতার নিরিখে ধার্য হতে পারে।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.